আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে সমাজচ্যুত নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর

ডান্ডিবার্তা | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:১২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে মসজিদের ঈমামকে লাঞ্ছিত, অর্থের বিনিময়ে বিচার সালিশ ও  এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। শুক্রবার বন্দরের কুড়িপাড়া খোদাইবাড়ি জামে মসজিদে  জুমার নামাজের প্রাক্কালে ঘোষণা দিয়ে সমাজচ্যুত ও তাকে বয়কটের ঘোষণা দেন মুসুল্লী ও এলাকাবাসী। দেড় সহ¯্রাধিক মুসুল্লী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খোদাইবাড়ি জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শাহ মাজহারুল হক মাজহার, সাবেক সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, গাজী আউয়াল, মনিরুজ্জামান পায়েল, হাজী মতিউর রহমান, কামাল হোসেন প্রমুখ। এলাকাবাসী জানান, বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে প্রায় তিন মাস আগে কুড়িপাড়া খোদাই বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা নূরে সামদানিকে ঈমামের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর মাওলানা ওমর ফারুক হেলালীকে ঈমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।  বহিস্কৃত নূরে সামদানি নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামের পছন্দের লোক হওয়ায় তিনি এতে ক্ষুব্দ হন। এ নিয়ে গত এক মাস ধরে সমাজের বিশৃংখলার চেষ্টা করছেন কাউন্সিলর সিরাজ।  এ ছাড়া তিনি অর্থের বিনিময়ে বিচার সালিশ করছেন বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এ কারণে শুক্রবার  সিরাজুল ইসলামকে সমাজচ্যুত করে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দেন তারা। এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট শাহ মাজহারুল হক মাজহার বলেন, বর্তমান ঈমাম অত্যান্ত ভাল ও শিক্ষিত মানুষ। কিন্তু  তাকে  তাড়াতে কাউন্সিলর সিরাজ উঠে পড়ে লেগেছেন। কোন কারণ ছাড়াই তিনি ঈমামকে বেশ কয়েক দিন রাস্তায় অপমান অপদস্ত করেন। যুবদল নেতা ও মুসুল্লী মিজানুর রহমান বলেন, এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তিনি সমাজটাকে বিভক্ত করতে চাইছেন। আমরা শান্তি প্রিয় মুসলমান বিভক্ত হবনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ কুড়িপাড়া খোদাবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ওমর ফারুক হেলালীকে রাস্তায় প্রকাশ্যে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি মসজিদ কমিটিকে জানালে তাকে মসজিদে এসে এর ব্যখ্যা দিতে বললেও তিনি আসেননি। তাই গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের আগে সকল মুসল্লীর সম্মতি ক্রমে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়। স্থানীয়রা জানান, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময় বির্তক সৃষ্টি করে যাচ্ছে। সে এলাকায় একজন সুদখোর ও বিচারের নামে ঘুষ নেয়ার প্রবনতা রয়েছে। যা সমাজের সকলে কাছে পরিস্কার। সে বিগত সময় দলের প্রভাব খাটিয়ে টিসিবির পন্য আত্মসাত করে যা নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সির বাধা দিলে তাকে লাঝ্ছিত করে। সে বিষয়ে মামলাও রয়েছে। এখন সে সমাজে বিখৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। তাই তাকে সমাজচ্যুত করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। এ ব্যাপারে নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, সমাজের বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ সত্য নয়। আমাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে এটা আমি মানিনা। এড. মাজহার আমাকে সমাজচ্যুত করার কে? একদল ভন্ড আমার পিছনে লেগেছে। বর্তমান ইমামও একজন ভন্ড। সে মাজার ভক্ত। সে কোরআন হাদিসের বাইরে কথা বলে আমি এর প্রতিবাদ করেছি। তবে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছি অপমান করিনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা