আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৯

সোনারগাঁয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

ডান্ডিবার্তা | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ঘাট ব্যবহার করে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। গত বছরের ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালে এ ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভেঙে যায় পন্টুন, জেটি ও পাটাতন। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঘাট মেরামতে উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। অর্ধশতাধিক ব্যক্তি কয়েক মাসে আহত হয়েছেন। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এ ঘাটের জেটিটি বেহাল। কোথাও রেলিং ভেঙে পড়েছে, কয়েক জায়গার কাঠ উঠে গেছে। লোকজন নৌযান থেকে ঘাটে নেমেই জেটিতে পা দিয়ে বিপাকে পড়ে। পন্টুন থেকে নামতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ সময় মালপত্র নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। এলাকাবাসীর জানান, বৈদ্যেরবাজার ঘাট দিয়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার, কুমিল্লার মেঘনা ও হোমনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। তারা এখান দিয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও মুন্সীগঞ্জে আসা-যাওয়া করেন। এ ছাড়াও হাসপাতালসহ জরুরি সেবা নিতে আসেন। গত ২৭ মে রিমালের প্রভাবে ঘাটের জেটি, পন্টুন ও পাটাতন ভেঙে যায়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে আট মাসে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। গত ৩ ডিসেম্বর ভাঙা জেটিতে পড়ে আহত হন কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা গ্রামের হোসেন মিয়ার অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী শিবলী বেগম। এতে তাঁর গর্ভের সন্তান মারা যায়। জনদুর্ভোগ বিবেচনায় নিয়ে দ্রæত ঘাটটি মেরামতের দাবি জানান ঘাটের শুল্ক আদায়ের ইজারাদার মো. শফিকুল ইসলাম বাবু। চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, বৈদ্যেরবাজার ঘাট দিয়ে আশপাশে দর্শনীয় স্থানে যাতায়াত করেন পর্যটকরা। তারা নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে মেঘনা নদী, মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন চর ও সোনারগাঁয়ের বারদী উপজেলার নুনেরটেক মায়াদ্বীপের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করেন। কিন্তু এখন তাদের যাতায়াতে ঝুঁকি বেড়েছে। তাই পর্যটকদের আনাগোনাও কমেছে। নুনেরটেক মায়াদ্বীপে স্ত্রী রিপা আক্তারকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এত সুন্দর পর্যটন এলাকায় যাওয়ার জন্য একমাত্র জেটিটি বিধ্বস্ত। যে কোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। সবার জন্যই জেটিটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিঞ্জিরা থেকে আসা আরেক পর্যটক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, জেটির কোথাও রেলিং নেই, আবার কোথাও কোথাও কাঠের পাটাতন উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় পানিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ইজারাদার বলেন, এ ঘাট দিয়ে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। পন্টুন থেকে নামার জন্য বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়েছে। ঘাটটি মেরামতে বিআইডবিøউটিএ বরাবর আবেদন করেছেন। কিন্তু সংস্কারের উদ্যোগ দেখছেন না। দ্রæত এটি মেরামত করা না হলে আহত ব্যক্তির সারি দীর্ঘ হতে থাকবে। বিআইডবিøউটিএ মেঘনা ঘাট বন্দরের উপপরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, তিনি এ স্টেশনে নতুন যোগ দিয়েছেন। বৈদ্যেরবাজার ঘাটের অবস্থা দেখতে শিগগির পরিদর্শনে যাবেন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা