নয়া মিশনে তামাকপট্টির সেমাই রিপন!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শহরের তামাকপট্টি এলাকার সেমাই রিপন। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারেরে আমলে নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের আর্শিবাদে শহরেরে তামাকপট্টি এলাকাকে সন্ত্রাসের নগরীতে পরিনত করেন এই সেমাই রিপন। জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও পতন ঘটেনি সুবিধাভোগী সেমাই রিপনের মত সন্ত্রাসীদের। বিষধর সাপের মত তাদের সিজনালি ¯েøাম পাল্টিয়ে নতুন নতুন ‘বাপদের’ ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে আবারো অপকর্মে লিপ্ত হয় সেই রিপনের মত সন্ত্রাসীরা। ঠিক তেমনি, বিএনপির কিছু প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের মিশনে নেমেছে সেমাই রিপনের মত সন্ত্রাসীরা। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে যুবলীগ নেতা পরিচয় দেয়া রিপন স্থানীয় কতিপয় বিএনপি নেতাকে হাত করে রাতারাতি ভোলপাল্টে ফেলেন। যুবলীগ থেকে নিজেকে বিএনপি ঘরনার দাবি করে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দেন। কেননা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলো রিপন। আওয়ামী লীগের শাসনামলেও যুবলীগের পরিচয়ে এলাকায় সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন। ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর ও সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। মামলার এজাহারগুলোতে উল্লেখ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছে রিপন। ৫ আগস্টের পর ভোলপাল্টানো এই যুবলীগ ক্যাডার অর্থের বিনিময়ে এক বিএনপি নেতার ছায়ায় থাকলেও রেহায় পায়নি। গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। তবে ৫ আগস্টের পরে এবং গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্তও রিপন ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়িয়েছিলেন। তার কিশোরগ্যাং বাহিনী নিয়ে গত ৫ আগস্টের পর সৈয়দপুরে ব্যবসায়ীর জমি দখলের জন্য দফায় দফায় হামলা চালিয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় যুবলীগ ক্যাডার রিপনকে গ্রেফতার করার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় থাকা একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজী, প্রতারণা ও ভূমিদস্যুতাসহ সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হককে হেনস্থা, সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদের ইমাম শহীদ মাওলানা মোঃ ইকবাল হত্যা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয় তদন্ত কর্মকর্তারা। বর্তমানে জেলে বন্দি থাকলেও সেখান থেকেই ষড়যন্ত্রের জাল বুনে যাচ্ছ রিপন; এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীর। ব্যবসায়ী এসএম রানা দাবি করেন, তাকে ঘায়েল করতে সাগরসহ রিপন তার সিন্ডিকেটের লোকেরা মাঠে নেমেছে। রিপন শত্রæতা বশতঃ তার পরিবার ও সহযোগিদের যোগসাজসে এবং মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপচেষ্টা চারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহীদনগর সুকুমপট্টি এলাকার চিহ্নিত যুবলীগ ক্যাডার, ভূমিদস্যু, প্রতারক, মামলাবাজ এবং ক‚টকৌশলী হিসেবে পরিচিত ফারুক হোসেন রিপন মানুষের জমি দখলের সাথে জড়িত। জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে সাইনবোর্ড সরিয়ে নিজেদের লোকের নামে সাঁটানো সহ জমি জবর দখল, গাছপালা নিধন ও নির্মান সামগ্রী লুটের ঘটনায় রিপনের লালিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়। বর্তমানে এ বাহিনীর প্রধান সেমাই রিপন জেল হাজতে থাকলেও থেমে নেই তার অপকর্ম। সেমাই রিপনসহ তার বাহিনীদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।