না’গঞ্জে সন্ত্রাসের স্থান হবে না

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
‘নারায়ণগঞ্জে আর গডফাদার-গডমাদার সন্ত্রাসী হাজী দেখতে চাই না। যারা বিএনপির উপর হামলা মামলা নির্যাতন করেছে তারা আবারো অপতৎপরতা চেষ্টা করছে। যার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই, সে আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। আমরা অনেক কিছু ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষের মুখের উপর বলতাম। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে বাড়ি করতে হবে, গাড়ি চড়তে হবে এমনটা নয়। বাড়ি গাড়ি করতে হলে অনৈতিক পথ, দুর্নীতি করতে হবে, মাদকের টাকা খেতে হবে। তাই একমাত্র বাড়ি ৩ হাত জায়গা সেটাই আমি মনে করি। ভালোবাসার বিনিময়ে যা হয় অর্থের বিনিময়ে তা হয়না আমি বিশ্বাস করি। রাজনীতি করতে গেলে সত্য বলতেই হবে। এতে যার পক্ষে যাবে সে খুশী হবে যার বিপক্ষে যাবে সে নারাজ হবে। তাতে কিছু করার নেই। আমি ভুল করলে তাও আপনারা বলবেন। এর আগে টিপু গত ২৩ আগষ্ট ফতুল্লা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আর কোন গডফাদারের উত্থান হতে দেয়া হবে না। কোন সন্ত্রাসীকে নতুন করে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। ১৭ বছর এ দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে জিম্মি ছিল। সাংবাদিকেরাও সত্য লিখতে পারেনি। ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে এ সরকারের পতন হয়েছে। এখন সাংবাদিকেরা লিখুনির মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসীদের অপকর্ম তুলে ধরবে। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এক সময় গডফাদারের নারায়ণগঞ্জ ছিলো, সন্ত্রাসের নারায়ণগঞ্জ ছিলো। সেখান থেকে উদ্ধার করে আমরা নারায়ণগঞ্জকে সুখী সমৃদ্ধ নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবো। আমরা সকলে মিলে মিশে নারায়ণগঞ্জে একসাথে সহাবস্থান করবো।
আওয়ামীলীগ সরকার আমলে ক্ষমতায় দাপটের সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে গডফাদার, সাবেক মেয়র আইভী ও পারভীন ওসমানকে গডমাদার এবং প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরি ওসমানকে হাজী হিসেবে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে পরিচিত ছিলো।