আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:০৪

জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পত পলাতক রয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। জেলা, মহানগর, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও মুখ লুকিয়ে চলছেন। কেবল ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত সহ অন্যান্য মানুষের সহযোগীতায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজন ভিন্ন দলে থাকার সুবাদে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চলাফেরা করতে পারছেন নির্বিঘেœ। এরই মধ্যে কর্মসূচী ঘোষণা করায় সক্রিয় হয়েছেন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেয়া ছাত্র জনতা সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। স¤প্রতি ১৮ দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর প্রথম ধাপে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে দলের কর্মীরা। নেতা পর্যায়ে কাউকে দেখা না গেলেও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা কর্মীরা কিছুটা আড়ালে আবডালে কর্মসূচী পালন করে তা পৌছে দিচ্ছেন দলের পেইজে। যা পরবর্তীতে দলীয় পেইজের মাধ্যমে প্রচার প্রচারনা চালানো হচ্ছে। জুলাই-আগস্টে প্রায় ২ হাজারের বেশী ছাত্র জনতা হত্যার দায়ে এখন পর্যন্ত অনুশোচনা বা ক্ষমা না চেয়ে উল্টো বর্তমান সরকারকে অবৈধ, অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে কর্মসূচী পালন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা। গত সোমবার রাতে আলোচনায় আসে বন্দরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের লিফলেট বিতরণের ছবি ফেইসবুক পেজে প্রচারের মধ্য দিয়ে। বন্দরের সোনাকান্দা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ করা হয়। সেই ছবি প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বন্দরের মানুষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খুজতে শুরু করে চিহ্নিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। রাতেই বন্দরের সোনাকান্দা ওয়াসা মোড়ে অবস্থিত একটি গ্যারেজের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জামানকে গ্রেপ্তার করে। একই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে। তাদের প্রত্যেককেই হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে কলাগাছিয়া সহ অন্যান্য এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা অন্যান্য নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনও গণবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে আসছে ক্রমাগত। রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের জন্য তাদের যে ক্ষমা চাওয়া এবং অপরাধীদের থেকে নিজেদের আলাদা করা প্রয়োজন সেই বোধ নিয়ে তারা রাজনীতিতে আগাচ্ছে না। বরং হত্যাকারীদের পক্ষে সাফাই গেয়েই রাজনীতি চালিয়ে নিচ্ছে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ শামীম ওসমান, বাবু, কায়সার, গাজী, সেলিম ওসমানের কিছু অনুসারীরা রাস্তায় নেমে ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়েছে। এই কাজের সাথে সমর্থন দেয়নি অনেকেই। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই শীর্ষ নেতাদের এসব সিদ্ধান্তকে মৌন সম্মতি দেয়নি। অপকর্ম, দুর্নীতি করে পুরো দল ও দেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই নেতৃত্ব মেনে নিয়ে দল পরিচালনা করা অসম্ভব। যারা এখনও বিতর্কিত নয়, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়, নৈতিক অবস্থান ভিন্ন। তাদেরও বাধ্য করা হচ্ছে এই রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে। অর্থ্যাৎ জনবিরোধী রাজনীতিতে এখনও অটল থাকতে চাচ্ছে নেতারা। এর বদলে সরকার পরিচালনা ও রাজনীতিতে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারনে আজকে দলের এই অবস্থার পেছনে যারা দায়ী, তাদের মাইনাস করে নতুন করে আওয়ামী লীগ গঠন করে নিতে পারলেই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে আওয়ামী লীগ। অন্যথায় জোড় খাটিয়ে, ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে গণবিরোধী রাজনীতি চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা