আজ শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ১১ জিলকদ ১৪৪৬ | ভোর ৫:৩০
শিরোনাম:
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজরা বেপরোয়া কোটি টাকার মালামাল লুট    ♦     শেখ হাসিনা গডফাদারদের রক্ষা করতে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল    ♦     পুলিশ কেন আত্মহত্যা করে?    ♦     শেখ হাসিনা গডফাদারদের রক্ষা করতে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল    ♦     রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন খালেদা জিয়া    ♦     সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল    ♦     রূপগঞ্জে জমিদার সিটির সাইনবোর্ড গুড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমান আদালত    ♦     মুসলিমনগর এলাকার জ্বলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন    ♦     বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতির মামলা বাণিজ্যের অডিও ফাঁস    ♦     আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞ: জাকির খান    ♦    

মানবিক ডিসি জাহিদুল ইসলামের মানবিক কাজ

ডান্ডিবার্তা | ০৫ মার্চ, ২০২৫ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের মানবিক ডিসি এক হাত হারা প্রতিবন্ধী যুবককে ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে মানবিকতার আরিকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। গত সোমবার জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে হাত না থাকা এক যুবকে দেখে তার বিস্তারিত নাম ও পরিচয় যাচাই-বাছাই করে জানা যায় যুবকের নাম আব্দুর রাহিম, বয়স ২২ বছর। জেলার ফতুল্লা থানার উত্তর নরসিংপুর এলাকার বাসিন্দা মরহুম আজিজুল বেপরীর ছেলে এই রহিম। রহিমের মাতা রেহেনা পারভিন এই প্রতিবেদকে জানায়, রহিমকে মাদ্রাসায় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগী না হওয়ায় ২০১৫ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সেই তার পিতা তাকে স্থানীয় একটি হোসিয়ারি কারখানায় অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ দেয় সংসারের অভাব অনুটন দূর করতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস কাজে যোগ দেয়ার মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যেই খবর আসে হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তারে হাত লেগে সারা শরীর অগ্নিদগ্ধ হয় শিশু রহিমের। দ্রæত নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। কিন্তু ডাক্তারদের অনেক চেষ্টার পরেও জীবন বাচাতে রহিমের দুই হাতই কেটে ফেলতে হয়। পরিবারের বোঝা হয়েই থাকতে হয় তাকে। বয়স বাড়তে থাকায় ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার মা রহিমা বেগম দরিদ্র ঘরের মেয়ে পপি আক্তারের সাথে বিয়ে দেন রহিমকে। তাদের ঘরে তিন বছর বয়সী সন্তান মোতাকাব্বির। দুই হাত না থাকায় মানুষের কাছে সাহায্য নিয়েই চলে রহিম-পপির সংসার। তিনি বলেন, গত সোমবার ডিসি স্যারের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। ডিসি স্যার একদিনের মধ্যেই তার অফিসে ডেকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ১০ হাজার টাকার চেক দেন। সাথে ব্যাক্তিগতভাবেও নগদ দুই হাজার টাকা দেন আমার শিশু সন্তানের ঈদের পোশাক কেনার জন্য। বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চেক গ্রহণ কালে কান্নায় ভেঙে পড়েন রহিম। কান্নাভেজা কন্ঠে বলেন, স্যার, অভাবের কারনে সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। আমি এভাবে সাহায্য নিয়ে বাচতে চাই না। আমাকে সমাজের স্বচ্ছল ব্যাক্তিরা যদি একটা ছোট দোকান করে দিতো, তাহলে আমার স্বপ্ন আমার ছেলেটাকে পড়াশোনা করাতে পারতাম। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারী তহবিলের সীমাবদ্ধতার কারণে আমি চাইলেও শারীরিক প্রতিবন্ধী রহিমকে খুব বেশি আর্থিক সাহায্য করতে পারিনি। তবে আমি পরিকল্পনা করছি কিভাবে তাকে আর্থিকভাবে পুনর্বাসন করা যায়, যাতে যুবকটি তার স্বপ্ন তার একমাত্র সন্তানকে পড়াশোনা করানোর ব্যবস্থা করতে পারে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা