আজ বুধবার | ৯ জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | ১৩ মহর্‌রম ১৪৪৭ | রাত ৮:২৭

বন্দরের সরকারি খালগুলি প্রভাবশালীদের দখলে ১২টির মধ্যে ৭টির অস্বিত্ব নেই

ডান্ডিবার্তা | ০৯ জুলাই, ২০২৫ | ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের সরকারি খালগুলি অবৈধ দখলের কারনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অস্বিত্ব হারিয়ে ফেলেছে খালের গতিপথ। ভরাট হয়ে অনেকস্থানে খালের অস্বিত্ব নেই। গড়ে তোলা হয়েছে বাড়িঘর। বন্দরের সেই খালগুলো বেদখল হয়ে ভূমিদস্যুদের রাহুগ্রাসের শিকারে পরিনত হয়েছে। এক এক করে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সেসব খাল। প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভান করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিভিন্ন সময় এসব খালের বিভিন্ন অংশে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব খাল একটু একটু করে গিলে খাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট্ট এই বন্দর উপজেলার মধ্য দিয়ে ছোট-বড় কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি খাল ছিল। এরমধ্যে ৬ থেকে ৭টি খাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করে আসছিল। বৃটিশ শাসনাামল থেকেই এসব খাল গুলির অস্তিত্ব থাকলেও আজ তা স্মৃতিতে পরিনত হয়েছে। বন্দরের খালগুলি দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নৌকা যোগে বিভিন্ন মালামাল পরিবগন হতো। সাধারণ মানুষ এ সকল খাল থেকে মাছের চাহিদা পূরণ করতেন। বৃটিশ শাসনামলে তৈরি হওয়া মদনগঞ্জ থেকে ভৈরব (পরে তা কমিয়ে নরসিংদী পর্যন্ত করা হয়) রেল সড়কটির মদনপুর থেকে মদনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এ রেললাইনের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলোকে সচল রাখার জন্য এসব খালের উপর দিয়ে রেল চলাচলের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এর পর রেল সড়ক বিলুপ্ত হওয়ার পর ১৯৯১-৯৬ সালের বিএনপির শাসনামলে এই অংশের অর্থাৎ মদনপুর-মদনগঞ্জ বাস সড়ক নির্মাণের সময়ও সেসব ব্রিজের জায়গাগুলোতে যানবাহন চলাচলের জন্য পাকা ব্রিজ তৈরি করা হয়। অর্থাৎ প্রশাসন খালগুলোর অস্তিত্ব রক্ষায় ব্রিজের জায়গাগুলো সরাসরি ভরাট না করে সেসব জায়গায় ব্রিজ নির্মাণ করে খালগুলো সচল রাখেন। বিভিন্ন সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেসব ব্রিজগুলো সংস্কারের মাধ্যমে আরও প্রশস্ত কাজ এখনও অব্যাহত আছে। কিন্তু যে খালগুলোর অস্তিত্ব সচল রাখার জন্য এতো আয়োজন সেসব খালগুলোই স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বেদখল হয়ে গেলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় প্রশাসন তা রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বন্দরের ধামগড়, লক্ষণখোলা, নবীগঞ্জ, বাগবাড়ি, কল্যান্দী ও হাজীপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত খালগুলোর উপর দিয়ে এখনও কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ হচ্ছে ব্রিজ। কিন্তু সেসব ব্রিজের নীচ দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো আজ অস্তিত্ব সংকটে। এমনকি কাগজপত্রে এসব এলাকায় কোন খালের অস্তিত্ব নেই বলেও স্থানীয় ভূমিদস্যুর অনেকে দাবি করছেন। যা স্থানীয় প্রশাসনও মেনে নিচ্ছে বলে এলাকাবাসির দাবি। এরই মধ্যে বেশিরভাগ খালের উপর মাটি ভরাট করে এখন বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে বলেও জানান তারা। এসকল খাল রক্ষায় বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও প্রশাসন এর কোন গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমানে বন্দর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সরকারি খালগুলি। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা সরকারি সম্পদ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। সরকারি খালগুরি জরিপ করে তা উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা