আজ শনিবার | ২ আগস্ট ২০২৫ | ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:০৭

পরিত্যক্ত অবস্থায় শহীদ জিয়া হল নেয়া হয়নি সংস্কারের উদ্যোগ

ডান্ডিবার্তা | ৩১ জুলাই, ২০২৫ | ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান একজন ত্যাগী ও আদর্শ নেতা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনিই দেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। যুদ্ধের পর তিনি ব্যারাকে ফিরে গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিস্থিতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে নারায়ণগঞ্জে একটি মাত্র স্থাপনা রয়েছে, যার নাম শহীদ জিয়া হল। আওয়ামী শাসনামলের ১৬ বছরে এই স্থাপনাটি ছিল অরক্ষিত অবস্থায়। এমনকি এটাকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করে গুড়িয়ে দিয়ে একটি বহুতল ভবন নির্মানের কথাও ভাবা হয় সেসময়। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে পরিকল্পনাটি বাতিল হয় কিন্তু বর্তমানেও এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন সময় জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ এটিকে সংস্কার করার দাবী জানালেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকলেও দলের প্রতিষ্ঠাতার একমাত্র স্মৃতি চিহ্নটি রক্ষার্থে নেতৃবৃন্দ যেন অনেকটাই উদাসিন। সরেজমিনে দেখা গিয়েছে, শহীদ জিয়া হলের অভ্যন্তরে মঞ্চ, চেয়ার বা অন্যকোন আসবাবপত্র কোনো কিছুই অক্ষত নেই। এর সিলিং ভেঙে পড়েছে, দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। স্থাপনার বিভিন্ন জায়গায় আগাছা ও শেওলা জন্মেছে। হলের অভ্যন্তরে প্রায় প্রতিদিন বসে মাদক সেবীদের আড্ডা। সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮১ সালে নির্মাণের পর দ্বিতল বিশিষ্ট জিয়া হলটি হয়ে উঠেছিল জেলাবাসীর সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম স্থান। মঞ্চনাটক, যাত্রাপালা, আবৃত্তি, সরকারী অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো হলটিতে। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর হলটিতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে হলের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ভেতরের বিভিন্ন আসবাব গায়েব হয়ে গিয়েছে। ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণার পর দরজা, জানালা এমনকি গ্রিলও কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সর্বশেষ জিয়া হল ভেঙে বহুতল মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও নতুন নামকরণ নিয়ে ঝামেলার কারনে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পরেও ছাদে দৃশ্যমান ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল। কিন্তু ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা