বেপরোয়া হয়ে উঠছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়নগঞ্জ আওয়ামীলীগের পলাতকরা দিন দিন বেপরোয়া উঠছে। তারা ইতিমধ্যে নাশকতার ছক একেছেন। যা গোয়েন্দা সংস্থার নজরে এসেছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কেহ গ্রেফতার হয়নি। তারা দেশের স্বার্থে নয়, শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্নের জন্য দেশে অপরাজনীতি করছেন। তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করলে ফ্রশ্নবিদ্ধ হবে অন্তর্বতি সরকার। এ মিশন নিয়ে তাদের অপরাজনীতি চালানো হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পত পলাতক রয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। জেলা, মহানগর, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও মুখ লুকিয়ে চলছেন। ইতোমধ্যে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এমন অবস্থায় ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত সহ অন্যান্য মানুষের সহযোগীতায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনের পরিচয়ে নির্বিগ্নে চলাচল করছেন নিজ নিজ এলাকায়। এরই মধ্যে নতুন করে টেলিগ্রাম সহ বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে সরব হয়ে দেশবিরোধী কর্মকা- শুরু করছেন কেউ কেউ। আর এতেই ক্ষুব্ধ আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেয়া ছাত্র জনতা সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে সারাদেশে পোস্টারিং করেছে আওয়ামী লীগ। পুলিশ হত্যা দিবস উল্লেখ করে জেলার বিভিন্ন স্থানে গোপনে পোস্টারিং করে তারা। শুধু তাই নয়, এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দলটির নির্মিত তোরনে অগ্নিসংযোগ করে। সেই সাথে এনসিপির বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ও খুলে ফেলে। নেতা পর্যায়ে কাউকে এসব কার্যক্রমে সরাসরি দেখা না গেলেও তাদের কর্মীরা অর্থের বিনিময়ে লুকিয়ে লুকিয়ে এসব কাজ করে তা পৌছে দিচ্ছেন বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের কাছে। পরবর্তীতে নেতাদের ফেইসবুক একাউন্টের মাধ্যমে এসবের প্রচারনা চালানো হচ্ছে। জুলাই আগস্টে প্রায় ২ হাজারের বেশী ছাত্র জনতা হত্যার দায়ে এখন পর্যন্ত অনুশোচনা বা ক্ষমা না চেয়ে উল্টো বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নতুন করে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নামক টেলিগ্রাম গ্রুপের চ্যাট ফাঁস হবার পর ফের আলোচনায় এসেছে পলাতক ফ্যাসিস্ট সংগঠন আওয়ামী লীগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সংগঠিত হবার চেষ্টা করছে তারা। নেতৃত্বে আছে বিদেশে অবস্থানরত যুবলীগ ক্যাডার মীর সোহেল ও মির হোসেন মিরু। টেলিগ্রামের সেই চ্যাট ফাঁস হবার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন এই গ্রুপে কারা আছেন তা তারা খুজে বের করার চেষ্টা করবেন। কুতুবপুরে বসে কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে তা তারা বের করতে চান। তবে এই চ্যাট ফাঁস হবার পরপরেই এলাকা ছেড়েছে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। যারা এতদিন স্থানীয় ভাবে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে আপোষ করে এলাকায় বসবাস করছিলো। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়েছে এলাকা ছেড়ে। তবে বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশের উদাসীনতার কারনেই এই লোকজন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার সাহস আবারও দেখাতে পারছে। ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা না হবার কারনেই তারা একই কাজ বার বার ঘটিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনও গণবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে আসছে ক্রমাগত। রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের জন্য তাদের যে ক্ষমা চাওয়া এবং অপরাধীদের থেকে নিজেদের আলাদা করা প্রয়োজন সেই বোধ নিয়ে তারা রাজনীতিতে আগাচ্ছে না। বরং হত্যাকারীদের পক্ষে সাফাই গেয়েই রাজনীতি চালিয়ে নিচ্ছে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ শামীম ওসমান, বাবু, কায়সার, গাজী, সেলিম ওসমানের কিছু অনুসারীরা রাস্তায় নেমে ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়েছে। এই কাজের সাথে সমর্থন দেয়নি অনেকেই। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই শীর্ষ নেতাদের এসব সিদ্ধান্তকে মৌন সম্মতি দেয়নি। অপকর্ম, দুর্নীতি করে পুরো দল ও দেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই নেতৃত্ব মেনে নিয়ে দল পরিচালনা করা অসম্ভব। যারা এখনও বিতর্কিত নয়, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়, নৈতিক অবস্থান ভিন্ন। তাদেরও বাধ্য করা হচ্ছে এই রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে কর্মসূচী পালন করাচ্ছে তারা। সেই ছবি নেতাদের পাঠালে ফের টাকা পাঠানো হয়। এভাবেই চলছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি।