আজ শনিবার | ২৩ আগস্ট ২০২৫ | ৮ ভাদ্র ১৪৩২ | ২৮ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৪:২১

আদালতপাড়ায় বিএনপির অন্ত:কোন্দল চরমে

ডান্ডিবার্তা | ২৩ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল বারী ভুঁইয়া ও তার ছেলে আশরাফ ভুঁইয়াকে আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী মিলে বেদম পিটুনি দিয়েছিলেন। সেই নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে চান বারী ভুঁইয়া ও তার ছেলে আশরাফ ভুঁইয়া। একই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে সরকার হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি পদে চাননি আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি চেয়েছিলেন জাকির হোসেনকে সভাপতি পদে প্রার্থী করতে। কিন্তু আনোয়ার প্রধানের কৌশলের কাছে ধরাশয়ী হয়ে সরকার হুমায়ুনকে প্রার্থী করতে বাধ্য হোন সাখাওয়াত। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির অন্তঃকোন্দলেই বিএনপির দুই প্রার্থীর পরাজয়ের সম্ভাবনা উকি দিয়েছে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে। ঘটনা সূত্রে, ২০১৯ সালে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ফরম বিতরণ নিয়ে প্রয়াত আইনজীবী আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর টেবিলের সামনে সাখাওয়াত হোসেন খান ও আব্দুল বারী ভুঁইয়ার মাঝে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সাখাওয়াতকে চর-থাপ্পর দেন বারী ভুঁইয়া। বারী ভুঁইয়ার হাতে চর থাপ্পর খেয়ে সাখাওয়াত তার চেম্বারে চলে যান। পরদিন বারী ভুঁইয়া ও তার ছেলে আশরাফ ভুঁইয়া কোর্টে প্রবেশ করার সময় কোর্টের গেটের সামনে আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী বারী ভুঁইয়াকে বেদম পেটাতে থাকে এবং ওই সময় আশরাফ ভুঁইয়া পিতাকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে দুজনকেই বেদম পিটুনি দেন সাখাওয়াত পন্থী আইনজীবীরা। ওই ঘটনার পরের সপ্তাহের রবিবার সরকার হুমায়ুন কবির কোর্টে প্রবেশ করার সময় তাকে একা পেয়ে বারী ভুঁইয়া ও তার ছেলে হুমায়ুন কবিরের জামা কাপড় ছিড়ে দেন। এদিকে আগামী ২৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে হুমায়ুন কবির ও আনোয়ার প্রধানের প্রতি প্রতিশোধ নিবেন বলে আইনজীবীদের মাঝে বেরাচ্ছেন বারী ভুঁইয়া ও তার ছেলে আশরাফ ভুঁইয়া। যদিও এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেনে দায়িত্ব পালন করছেন বারী ভুঁইয়া। বারী ভুঁইয়া বিএনপর হুমায়ুন ও আনোয়ার প্যানেলকে কোনো ধরণের কারচুপি বা ভোট জালিয়াতি কিংবা প্রভাববিস্তার করতে দিবেন না বলে অনেকে জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, আইনজীবী সমিতির সাবেক দুই সভাপতি ভেতরে ভেতের নিজেরাই হুমায়ুন ও আনোয়ার প্যানেলের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠন আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীদের ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটে ফোরামের ১২৫টি ভোট পান সরকার হুমায়ুন কবির ও ১২৩টি ভোট পান জাকির হোসেন। মাত্র দুই ভোটের কারনে জাকির হোসেনকে প্রার্থী করতে পারেনি সাখাওয়াত। তিনি নিজেই জাকির হোসেনের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু আনোয়ার প্রধান চেয়েছিলেন সরকার হুমায়ুন কবিরকে প্রার্থী করতে। জানাগেছে, কয়েক মাস পূর্বে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে সমিতিতে এনে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান সরকার হুমায়ুন কবির। জাকির খানের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকার হুমায়ুন কবির সাখাওয়াতের উপর প্রভাববিস্তার ও চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। সেই থেকে সরকার হুমায়ুন কবিরের প্রতি নারাজ সাখাওয়াত হোসেন খান।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা