আজ সোমবার | ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ | ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৪৯

মদনপুরে আওয়ামী দোসরদের চোখ রাঙানী

ডান্ডিবার্তা | ৩১ আগস্ট, ২০২৫ | ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
প্রশাসনের তেমন নজরধারী না থাকায় আওয়ামী দোসররা বারবার মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন কায়দায় হঠাৎ রাস্তায় বেরিয়ে ঝটিকা মিছিল করে আবার নিমিষেই লুকিয়ে যায়। যার প্রমান গত শুক্রবার বন্দরের মদনপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ঝটিকা মিছিল ও হুন্ডা মহড়া দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গত শুক্রবার বিকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাস স্টান্ড থেকে শুরু হওয়া এ ঝটিকা মিছিল ও হুন্ডা মহড়া কেওঢালা, জাঙ্গাল, মালিবাগ, লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত প্রদক্ষিন করে। এ মিছিলে অংশ নেন মদনপুরের পলাতক যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের অনুসারীরা। এদিকে পর্দার আড়াল থেকে ঝটিকা এ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী হত্যাসহ ১৭টি মামলার আসামি যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের নির্দেশে তার আপন খালাতো ভাই রোমান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ ওরফে টুক্কা সহ অনেকেই একসাথে মদনপুরের ভোজন বিলাস রেষ্টুরেন্টে একটি গোপন বৈঠক করেছেন। আর সেই গোপন বৈঠকেই গত শুক্রবারের মিছিলের সিদ্ধান্ত হয়। ভোজন বিলাস রেষ্টুরেন্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জসিমের সহযোগিতায় এ গোপন বৈঠকটি হয়েছে। কয়েক মাস ধরেই এই সন্ত্রাসীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম-এ মেসেজ গ্রুপ খুলে কর্মীদের একত্রিত করার চেষ্টা করে। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ধামগড়, মুছাপুর, মদনপুর ইউনিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড এলাকা বন্দরের উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছিল যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের হাতে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে কেওঢালা ও মদনপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছিল কমপক্ষে ৩০ জন। গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থীর নাম আল আমিন (১৭)। সে মদনপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার পিতার শাহ আলম গাজী, চাঁনপুর হালিম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। এছাড়াও ওইদিন আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করার অভিযোগে অহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে মদনপুর এলাকার ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই সময় বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া হীরন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য নূর নবী, মদনপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা দিপু ভুইয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অহিদুজ্জামান অহিদ। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৭টি মামলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে অহিদ পালিয়ে গেলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় অহিদুজ্জামানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা এখনো এলাকায় রয়ে গেছে। তারা মদনপুরে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের গ্রেফতার দাবি করেছেন।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা