আজ বুধবার | ১ অক্টোবর ২০২৫ | ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ | ৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ | সকাল ১১:২০

পিআর দাবিতে সোচ্চার ইসলামি দলগুলো

ডান্ডিবার্তা | ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে পিআর দাবেতে ইসলামী দলগুলি মিছিল ও সভা করেছে। কিন্তু তাদের দাবিতে সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি। এমনকি সরকারও এ বিষয়ে কোন প্রকার শুখ খুলেনি। আর পিআর বিষয়টি সাধারণ মানুষ এখনো বুঝেনি তাই এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের কোন মাখা ব্যথা নেই। এ পিআরের দাবিতে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে জায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস মিছিল মিটিং করেছে। এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন কমিশনও সেই সময়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে আলোচনা চলছে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর দাবিতে আন্দোলন করছে সাতটি ইসলামি দল। পিআর-সহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা রাজধানী থেকে শুরু করে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করছে। তবে এ দাবি নিয়ে কতদূর যেতে পারবে এসব দল, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে সংশয়। যদিও স্বাধীনতার পর দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন কখনো পিআর পদ্ধতিতে হয়নি। যদিও ইসলামি দলগুলোর বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান এ নিয়ে ভিন্ন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের কেউ কেউ সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর সমর্থন করলেও, নি¤œকক্ষে এই প্রক্রিয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে দল দুটি আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসসহ যুগপৎ আন্দোলন করা দলগুলোর নেতারা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে একইভাবে চলছে, অথচ বিশ্বের অনেক দেশে নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সেটি কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় জনগণের আস্থা তৈরি হয়েছিল। তাই এখন নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কারের দাবিও জোরালো হচ্ছে। তারা বলছেন, সংস্কার বা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে নির্বাচনের পরে তা বাস্তবায়ন করা হবে কি না, সেই সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায় অতীতে নানা রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল। অথচ তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি থাকাকালীন সময়ে নির্বাচন তুলনামূলক শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পিআর সিস্টেমই হলো ফ্যাসিবাদ ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সব দল একভাবে পিআর সিস্টেম চাচ্ছে না, তবে অধিকাংশের অবস্থান এক। বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। কেউ কেউ আন্দোলনে নামতে দেরি করছে, তবে তারা দাবি থেকে সরে যায়নি। পিআর দাবি ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিকে সামনে রেখে ইসলামি দলগুলো আন্দোলন করলেও কওমি ঘরানার কয়েকটি দলের মধ্যে সংসদের নি¤œকক্ষে পিআর দাবির বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। বর্তমানে দেশে ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ ভোটদান পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই পদ্ধতিতে একটি আসনে যে দলের প্রার্থী অন্যদের চেয়ে বেশি ভোট পান সেই দলের প্রার্থী জয়ী হন। একইভাবে যে দলের প্রার্থী বেশি আসন পান, সেই দল সরকার গঠন করে। বিগত নির্বাচনগুলোতে এভাবেই ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে। অন্যদিকে পিআর হলো এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যেখানে কোনো একটি রাজনৈতিক দল সারাদেশে মোট যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদেও তারা ঠিক তত শতাংশ আসন পাবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা