
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে এবার শীর্ষ নেতাদের কদর কমতে শুরু করেছে তৃনমূল নেতাকর্মীদের কাছে। তৃনমূল নেতাকর্মীরা নতুন নেতার দ্বারস্থ হতে শুরু করেছে। এতে তরে শীর্ষ নেতারা নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শীর্ষ নেতারা তাদের নেতৃত্বে হারাতে পারেন বলে আশংকা করছেন। দেখা যায়, বিএনপির রাজনীতিতে মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদের জায়গা করে নেয়ায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতির মোড় যেন ঘুরে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে ওলট পালট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু নেতৃত্ব শঙ্কায় রয়েছেন। আগামী দিনে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব তাদের হাতে না থাকার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিএনপিতে মাসুদুজ্জামান মাসুদের উত্থানকে তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সেই সাথে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও নতুন শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে ফুল দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। তার এই যোগদান বিএনপির রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে। কেন্দ্রীয় অফিসে গিয়ে যোগদান করার ইতিহাস বিএনপিতে খুব কমই রয়েছে। সেই সাথে তার যোগদান অনুষ্ঠানই জানান দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিক নিয়ন্ত্রক হবেন তিনি। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছায়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজির আহমেদ টিটো, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। মাসুদুজ্জামান মাসুদের এই উত্থানে বিপাকে পড়ে যাচ্ছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। শুরু থেকেই তারা মাসুদের বিরোধীতা করে আসছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাসুদুজ্জামান মাসুদ জানবেন তার বলয়ের লোকদেরকে মহানগর বিএনপিতে প্রতিষ্ঠা করতে। সূত্র বলছে, বিগত প্রায় ১৬ বছর ধরেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো আওয়ামী লীগ। আর এই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করতে পারতেন না। আর এসময়ে প্রত্যক্ষভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো কিংবা কোনো রকমের সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি মাসুদুজ্জামানকে। যদিও বিএনপির অনেক নেতার দাবী মাসুদুজ্জামান মাসুদ দুঃসময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে নিজেদের জানান দিতে থাকেন। তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আর এই প্রস্তুতিতে মাসুদুজ্জামানও হাজির হন। সেই সাথে বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেকে জানান দিতে থাকেন। এদিকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বিএনপির ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেন। গত ১৪ জুন মেজবান তথা ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছেন মাসুদ। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সেই সাথে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাসুদুজ্জামান তার নির্বাচনের বাসনা জানান। আর তার সমর্থনে বিএনপির একটি বিশাল অংশ মাঠে সক্রিয় রয়েছে। যারা মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে মাসুদুজ্জামানের এই সক্রিয়তায় কিছুটা বিপাকে পড়ে যান দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা বিএনপির প্রবীণ নেতারা। মাসুদুজ্জামানের কারণে তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু মাসুদুজ্জামান মাসুদের বিপরীতে অবস্থান করে আসছিলেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের বিরোধী অবস্থান জানান দিয়ে আসছিলেন। সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু যেন মাসুদুজ্জামান মাসুদকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। কিন্তু তাদের বিরোধীতাকে কেন্দ্রীয় বিএনপি কোনো রকমের গুরুত্বই প্রদান করেনি। তাদের মতামতের উপেক্ষা করেই মাসুদুজ্জামান মাসুদকে কেন্দ্রীয় অফিসে নিয়ে আয়োজনের মধ্য দিয়ে সদস্যপদ দেয়া হয়।
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জে আইনের শাসন কড়াকড়ি ভাবে প্রয়োগ না হওয়ার ফলে শহরে চলাচল সাধারণ নগরবাসীর জন্য এক বিড়ম্ভনা। শহরে ব্যটারি চালিত ইজিবাইক দিন দিন বাড়ছে। ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় পথচারিরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছেন না। বন্ধন ও উৎসব বাসগুলি চেম্বার রোডের পুরোটাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দখল করে রাখে। রাত ৮টার পর থেকে শহীদ […]
মতিউর রহমান চৌধুরী কোনো প্রস্তাবেই সায় দিচ্ছেন না ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সামনে দুটো প্রস্তাব। এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আপনাকে নিয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আপনার বিপক্ষে চলে গেছে। যেমনটা হয়েছে ভারতের বেলায়। গণহত্যা চালানোর দায় আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আপনার বিরুদ্ধে ট্রাইবুন্যালে মামলা […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ | ||
« সেপ্টেম্বর | নভেম্বর » |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯