সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারী জায়গা বেদখল হচ্ছে
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি করপোরেশন (নাসিক) এর রাস্তা ও লেকের চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য উচ্ছেদকৃত সরকারী জায়গা ফের দখল করে দোকান নির্মানের অভিযোগ উঠেছে আবুল হোসেন টাওয়ারের মালিক পারুল (৪০) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। গতকাল রোববার দুুপুরে সরজমিনে নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দখল হওয়া জমি সিটি করপোরেশনের চলমান উন্নয়নের জন্য উদ্ধার করলেও অভিযুক্ত আবুল হোসেন টাওয়ারের মালিক মোসা: পারুল তা ফের দখল করে সেখানে পাকা মার্কেট নির্মান করছেন। জানা গেছে এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর হাজী মিজানুর রহমান খাঁন রিপন একাধিকবার ওই মার্কেট মালিককে দোকান নির্মাণে বাধা দিলেও তা অমান্য করে সেখানে পাকা দোকান নির্মাণ করছেন অভিযুক্ত। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাস্তা করার পূর্বে এই জায়গা দখলমুক্ত করে সিটি করপোরেশন। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ চলমান। কাজ চলমান থাকা সত্বেও তারা কিভাবে সরকারি জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে। আমরা মেয়র আইভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা জব্বার মিয়া নামের এক বৃদ্ধের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তারা জোর করে রাস্তার জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে। এ নিয়ে কাউন্সিলর রিপন একাধিকবার বাধা দিলেও তারা কারো কথা শুনেননি। কেউ প্রতিবাদ করলে তারা মামলা হামলার ভয় দেখান। তাই কেউ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এদিকে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের চলমান কাজ করছেন। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জোর পূর্বক সরকারি জায়গা দখল করে চলাচলের বিঘœ ঘটাচ্ছে ও লেকের সৌন্দর্য নষ্ট করার পায়তারা করছে। তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তাই এসব ভূমিদস্যু ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে মেয়র ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল। তারা আরও বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দোকান ভাড়ার কথা বলে এককালিন মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খাঁন রিপন বলেন, আমাদের সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়ন কাজের জন্য দখল হওয়া জমি উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ওই মার্কেট মালিক সরকারী দখলমুক্ত জমি ফের দখল করে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করছে শুনেছি। আমি তাদের একাধিকবার বাধা দিয়েছি। তারা আমার কোন কথা শুনেনি। আমি মেয়র মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করবো। সরকারি জায়গা দখল করে পাকা দোকান নির্মাণের বিষটি স্বীকার করে আবুল টাওয়ারের মালিক পারুল বলেন, সবাই সবার বাড়ির সামনের জায়গা দখল করে খায়। তাই আমিও আমার বাড়ির সামনে দোকান নির্মাণ করছি। সরকারের যখন প্রয়োজন হবে তখন ভেঙে দিবো। এ বিষয়ে ডিএনডি প্রজেক্টের কার্য-সহকারী মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি কাউন্সিলরের মাধ্যমে শুনেছি। ব্যস্ততার জন্য সরজমিনে যাওয়া হয়নি। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।