বিএনপিতে ক্ষমতাসীনদের মিশন!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে ফের রাহুর গ্রাস দেখা দিচ্ছে। মিশন বিএনপিকে দ্বিখ-িত করা। বরাবরের মত এবারও এই মিশনে চালকের ভূমিকায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদ। গেল বছরের শেষ সময়ে সাবেক সাংসদ মুহম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে হাই কমান্ড। বিগত কমিটির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে নবগঠিত কমিটিতে এক নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপরই কমিটির ভেতরে বাইরে সকলকে একসাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। তবে কমিটি ঘোষণার পরপরই জেলা বিএনপির একটি অংশকে নিয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে মামুন মাহমুদকে। কিন্তু এই বিভাজনের পেছনে কারণ কী তা জানা যায়নি। এর মধ্যে জেলা বিএনপির মূল ধারার নেতারা তাকে বার বার ফোন করলে সেটিও ধরেননি তিনি। এর আগে তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। সেই সময়ও মামুনের একই রকম কার্যকালাপ দেখা যায়। প্রথম কয়েকটি কর্মসূচিতে একসাথে থাকলেও এরপর আর দেখা মেলেনি এই নেতার। নেতাকর্মীদের আলাদা করে নিয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে সেই সময়ও। মূলত ক্ষমতাসীনদের ইশারা ইঙ্গিতেই দলের ভেতর থেকে মামুন এসকল কাজ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে নেতাকর্মীদের। নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের নেতার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মামুন মাহমুদ। তার ইশারা ইঙ্গিতেই মামুন এসকল কাজ করে থাকেন বলে নিজ দলের নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে বারংবার অভিযোগ করেছেন। জেলার বিএনপিতে দলকে বিভাজিত করার নেপথ্যের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন মামুন। এবারও মামুন মাহমুদের মিশন সফল। কারন মামুনের বদৌলতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। মূলত মামুন মাহমুদকে জেলা বিএনপির কমিটিতে স্বাক্ষর ক্ষমতা দেয়ার পরই তিনি এভাবে নড়েচড়ে বসেন। তিনি জেলা বিএনপির অধীনস্থ কোন কমিটি গঠনে সহায়তা করবেনা এবং জেলা বিএনপির কার্যক্রমে বৈরীতা প্রদর্শন করবেন বলেই নেতাকর্মীদের বলে যাচ্ছেন।