চমক দেখাতে চায় বিএনপি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট চলতি বছরেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা শুরু হয়ে যাবে। এই মুহুত্বেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে পিছিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। অপর দিকে নতুন বছরে নতুনভাবে কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। তাদের ধারনা জনগণকে সাথে নিয়ে ব্যাপক আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটাবে এ বছর। জানা যায়, বছরের শুরুতে রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল বেশ শান্ত। পরবর্তীতে মাঝামাঝি সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভে ভোলায় দুই নেতা নিহত হওয়ার পর রাজনীতির মাঠ গরম হয়ে ওঠে। তখন থেকে নির্জীব বিএনপি হঠাৎ রাজনীতির মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। পরে বছরের অনেকখানি সময়জুড়ে একরকম নিরুত্তাপ ছিল বিএনপির রাজনীতি। পরবর্তীতে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপিকে আরো চাঙ্গা করার লক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেলায় জেলায় নবাগত কমিটি দেওয়া শুরু করেন। তার মাধ্যমেই দল বিগত দিন থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে। তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা থাকার কারণে দলের অঙ্গ সংগঠনসহ ওয়ার্ড ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিগত দিন থেকে আরো উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে এবং রাজপথে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে বছরের শেষার্ধে দলের বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়, রাজনৈতিকভাবে তা মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন দলকেও মাঠে নামতে হয়েছিল। নানা ঘটনার পর ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ সফল করে বিএনপি। এই ২০২২ সালে রাজনৈতিক মাঠে বিএনপির আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল জাতীয় সংসদ থেকে দলের সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগ, দলের বিভিন্ন কর্মসূচি চলাকালে গুলি ও সংঘর্ষে তাদের একাধিক নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বছর শেষে বিএনপির বির্ভিন্ন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার। আবার এখন শুধু রাজপথে বিএনপি একলা সীমাবদ্ধ নেই তাদের সাথে একত্রিত হয়েছে দেশের জনগণ। যার কারণে দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ আরো বেড়ে উঠেছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেখা মিলেছে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বাষির্কী সেটাতে ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকায় ব্যাপকভাবে অংশ গ্রহণ করতে পেরেছে। এখন আবার ১১ তারিখ বিএনপির আরেক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র। যেটাকে সফল করার জন্য নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তারা বলছে নতুন বছরে প্রথম কর্মসূচিতে তারা বিদায় বছর থেকে ও আরো ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। অপর দিকে চলতি বছর রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ বছরেই চূড়ান্ত হবে আগামী রাজপথ কার দখলে। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপি একটি শান্তির রাজনীতি। বিএনপি সকল সময় সাধারন মানুষের সকল দাবি আদায়ে সরব রয়েছে। গত বছর আমরা মাঠে বিগত দিন থেকে বেশি কর্মসূচি পালন করতে সক্ষম হয়েছি। চলতি বছরেও আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যতগুলো কর্মসূচি আমাদের দেওয়া হবে সবগুলো আমরা ব্যাপকভাবে সফল করবো। আপনারা অবগত আছেন এ সরকার এখন দেশটাকে পুরোপুরিভাবে একটি খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছে। আর সামনে আরো বেশি খারাপ অবস্থায় যাওয়ার আকাঙ্খা দেখা দিচ্ছে। আর আগামীতে এই স্বৈরাচারি সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি আর এ কার্যক্রম সরকার পতনের আগমুহুত্ব পর্যন্ত আবহৃত থাকবে। আর আমরা ইতিমধ্যে ১১ তারিখের যে কর্মসূচির ঘোষনা করা হয়েছে সেগুলো ব্যাপকভাবে পালনের লক্ষ্য নিয়েই আমরা আমাদের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করছি এবং তারা সকলেই সকল আন্দোলন সংগ্রাম করতে বিগত দিন থেকে এখন উৎফুল্ল হয়ে থাকে। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমাদের ৯ তারিখে একটি কর্মসূচি রয়েছে আবার ১১ তারিখে ঢাকায় একটি কর্মসূচি রয়েছে সবগুলোই আমরা ব্যাপকভাবে সফল করবো। আর তারই প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত আলাপ আলোচনা করছি আর খোঁজ খবর রাখছি তার কারণে ও তারা ও আমাদের সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে অনেকটা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। অপর দিকে দেশের বর্তমান যে অবস্থা দেশের মানুষ আর ভালো নেই। যার কারণে দেশের মানুষের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা মাঠে করে করে আসছি। এবং আগামীতে থাকবো। আর কেন্দ্র থেকে যে কর্মসূচি দেওয়া হোক না কেন আমরা সকল কর্মসূচি ব্যাপকভাবে পালন করবো। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমরা বিগত দিনে আমাদের নানা কর্মসূচি ব্যাপকভাবে পালন করেছি। এবং আমরা একটি চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমেই কাজ করছি। যার ফলে আমাদের সকল নেতাকর্মীরা এখন বিগত দিন থেকে আরো বেশি উজ্জ্বীবিত। এখন শুধু আমাদের সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নয়। দেশের জনগণ ও যুক্ত হয়ে কাজ করছে যার ফলে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম আরো ব্যাপক হচ্ছে। আগামী ১১ তারিখ আমাদের কেন্দ্রীয় যে কর্মসূচি রয়েছে সেটাকে আমরা বিগত দিনের থেকে আরো জোরদার কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে কাজ করছি। আমরা আশা করছি সকল কর্মসূচিতে আমরা সফল হবো। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন বলেন, ৯ তারিখে আমাদের দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। আবার ১১ তারিখে আমাদের ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। আর আমরা এখন সর্ব সময় প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করবো। সবাইকে অবগত রাখবো সকল কর্মসূচি উপস্থিত থাকার জন্য।