আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:১০

বন্দরের উত্তরাঞ্চলের ত্রাস অহিদের বিরুদ্ধে মাঠে পুলিশ

ডান্ডিবার্তা | ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারে ফুলহরের সন্ত্রাসী অহিদ। তার বিরুদ্ধে ডিবি ও থানা পুলিশ মাঠে নেমেছে। পুলিশ তার অপকর্মের খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছে। তাই অত্র অঞ্চলের মানুষজন পুলিশের এ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বর্তমানে বন্দরের উত্তারঞ্চল নিয়ে ফের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মদনপুর, ফুলহর ও কুড়িপাড়াবাসী। কামু-সুরত ্আলী বাহিনীর আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার পর দীর্ঘ দিন এ অঞ্চলের মানুষ অনেকটা স্তস্তিতে ছিল। কিন্তু আবার নতুন করে এ অঞ্চলে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করছে ফুলহরের অহিদুজ্জামান অহিদ। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী জানান, যার ১০ বছর পূর্বে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে খেতে হত এখন সে বিশাল অর্থের মালিক। ভূমি দস্যুতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের সেল্টার দিয়ে সে রাতারাতি অঢেল অর্থের মালিক বনে যায়। সে মদনপুরে তৈরী করে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তার নিয়ন্ত্রণে অটো বাইকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজি করছে। তার তাকে সেল্টার দিচ্ছে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ। এমন অভিযোগ অটোবাইক চালকদের। এম এ রশিদ মদনপুরে আসলে বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ভোজন বিলাস নামক হোটেলে আপ্যায়ন করিয়ে সন্তুষ্ট করে থাকে। আওয়ামীলীগের কোন মিটিং হলে সে তার বাহিনীসহ কিছু লোককে টাকা দিয়ে মিছিল করে নিয়ে গিয়ে জাহির করার চেষ্টা করে সে আওয়ামীলীগের বড় নেতা। কিন্তু সে আওয়ামলিীগের কেউ নয়। সে এম এ রশিদের নাম ভাঙ্গিয়ে যত অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। আর এতে করে বদনাম হচ্ছে এম এ রশিদের ও আওয়ামীলীগের। তার অপকর্মের কারণে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এলাকাবাসী আরো জানান, এ অহিদ ২টি হত্যা মামলার আসামী। সে কুড়িপাড়ার সালু মাদবরের ছেলে খোকনকে হত্যা করে বস্তায় ভরে খালে ফেলে দেয়। ফুলহর এলাকার মৃত আ: মান্নান মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রিপনকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মাটে হত্যা করে। তার বাহিনীর জাহিদ ও রিয়াদসহ একাধিক সন্ত্রাসী রয়েছে যারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি কুড়িপাড়া এলাকার ডা. সামাদ মিয়ার ছেলে মিজানকে জামি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বাহিনী নিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে আজরার বিলে প্রথমে পিটিয়ে অজ্ঞান করে অটোবাইকে তুলে ফুলহরে তার ইটভাটায় এনে তার পকেটে ইয়াবা ও চাকু দিয়ে পুলিশে দিয়ে দেয়। পুলিশ তাৎক্ষনিক মাদক উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দিয়ে মিজানকে গ্রেফতার করে। এদিকে মিজানকে মারধরের পর তাকে বলে দেয়া হয় পুলিশের সামনে মুখ খুললে তাকে খোকন ও রিপনের মত হত্রা করা হবে বলে হুমকি দেয় অহিদ। আহত মিজানের স্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন ভিডিতে দেখেছি আমার স্বামীকে যখন পিটিয়ে অজ্ঞান করা হয় তখন তার পড়নে ছিল প্যান্ট। আর পুলিশ যখন গ্রেফতার করে তখন তার পড়নে ছিল লুঙ্গি। আর পুলিশ মামলায় উল্লেখ করেছে আমার স্বামীর প্যান্টের পকেট থেকে মাদক উদ্ধার করেছে। আমার স্বামী কখনো মাদক সেবন বা মাদক বিক্রির করেনি। সে সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। তা হলে এ মাদক আসল কোথা থেকে এ মাদকের উৎস কোথা থেকে তার পুলিশকে তদন্ত করে বের করার আহবান জানাই। এ ব্যপারে অহিদ জানান, আমি মিজানের ঘটনার সাথে জড়িত নই। দুই গ্রামের মানুষের সাথে মারামারি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে অহেতুক জড়ানো হচ্ছে। এদিকে অহিদের এ সন্ত্রাসী ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভকারীরা অহিদ ও তার ব্রবসায়ীক পার্টনার আইয়ূব মেম্বারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এ ব্যপারে আইয়ুব মেম্বার বলেন, আমি এ ঘটনার কিছুই জানিনা। আমি অহিদের ব্যবসায়ীক পার্টনার হতে পারি কিন্তু তাকে কখনো বলিনী এ ধরনের কাজ করতে। আর সে একাজ করেছে কি না আমি তা জানিনা। আমি মিজানের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি। সেই সাথে প্রকৃত অপরাধী তার শাস্তি দাবি করছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা