আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৮:৩৮

বক্তাবলী আ’লীগের কাউন্সিলের যত বাধা!

ডান্ডিবার্তা | ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে বহুল আলোচিত বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল তা অনেকেইে জানেন না। তবে বেশ কয়েকবার কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তন করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর বহুল কাঙ্খিত কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও দু:ভাগ্য জনিত তা পন্ড হয়ে যায় দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে মারামারি হবার কারনে। এরপর চলতি মাসের ১১ তারিখ কাউন্সিল হওয়ার একটি উড়ো কথা ভেসে উঠেছিলো নেতাকর্মীদের মাঝে। সেই উড়ো কথাটি এখনও পর্যন্ত উড়ন্ত অবস্থায় রয়েছে তবে সেটা এখনও পর্যন্ত মাটিতে নেমে না আসায় অনেকটা ক্ষোভে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগৈর নেতৃবৃন্দ। তবে অনেকেই বলছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর কারনেই নাকি কাউন্সিলের পরবর্তী তারিখ ঘোষনা হচ্ছেনা। কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক মাহমুদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদরউদ্দিন সদু মেম্বার। আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া, ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ খোরশেদ আলম মাষ্টার। ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রোটারিয়ান নুরুজ্জামান জিকু এ পদ থেকে সরে দাড়ান। স্থানীয় নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পর বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হচ্ছেনা। একটি পক্ষ চেয়েছিল কাউন্সিল না করে পকেট কমিটি গঠন করতে। কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী ছিল কাউন্সিলের মাধ্যমে তাদের পছন্দসই নেতা নির্বাচন করতে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের তারিখ ঘোষনা করে তা সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন মারামারির কারনে। সেদিন পন্ড হওয়া সত্বেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারে থাকায় তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উল্লাস পরিলক্ষিত হচ্ছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা কাউন্সিলদের সাথে মুঠোফোনে ও স্বশরীরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া কাউন্সিল পন্ড হওয়ার পর থেকে নতুন কাউন্সিল কবে নাগাদ হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের প্রার্থীরা। ভোটে জয়লাভের জন্য প্রতিটি প্রার্থীই প্রচুর টাকা খরচ করেছেন ভোট ক্রয় বাবদ এমনটা অভিযোগও রয়েছে। ২/১ জন প্রার্থীর ঘনিষ্টজনরা বলছেন যদি দ্রুতভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন না হয় তাহলে বিগত সময়ে ভোট ক্রয়ের জন্য যে পরিমান টাকা দেয়া হয়েছিলো ভোটারদেরকে তা বিফলে যাবে এবং নতুনভাবে ভোট ক্রয়ের জন্য আবারও টাকা দিতে হতে পারে ভোটারদের। একাধিক সুত্রে জানা যায়, কাউন্সিল উপলক্ষে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও সর্বনিন্ম ২ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছিলো বেশীরভাগ ভোটারদের। তবে বেশীরভাগ তৃনমুলের দাবী ইউপি চেয়ারম্যান এম.শওকত আলীর আন্তরিকতার অভাবের কারনে ইউনিয়ন কাউন্সিল সম্পন্ন হচ্ছেনা। কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে তার পছন্দের দু’জন প্রার্থী যথাক্রমে আবুল হোসেন প্রধান ও আনোয়ার হোসেন। কাউন্সিলে যদি ভোটাভুটি হয় তাহলে একজন আসবে আরেকজনের আসার সম্ভাবনা না থাকায় তিনি চাচ্ছেন ভোটবিহীনভাবেই কাউন্সিল সম্পন্ন করতে। কারন হিসেবে অনেকেই বলেন, বিগত নির্বাচনের পুর্বেও বক্তাবলীর বেশীরভাগ আয়ের উৎসগুলো চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রনে ছিলো কিন্তু নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বক্তাবলী খেয়াঘাটটি তার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যায় এক ইউপি মেম্বারের কারনে। যে খেয়াঘাটটি ইউপি চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন পর্যন্ত তার কজ¦ায় রেখেছিলেন। বিগত কোরবানীর পশু হাটটিও তিনি নিতে পারেনি উক্ত মেম্বার ও অয়ন ওসমানের সমন্ধি ভিকির শশুরের কারনে। তাই দুইটি বিষয় নিয়ে অনেকটাই ভীত হয়েছেন যার কারনে তিনি কাউন্সিল ভোটাভুটির মাধ্যমে করতে চাচ্ছেননা। এদিকে যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় তাহলে সভাপতি পদে আবুল হোসেন মাষ্টার ও শফিক মাহমুদের সাথে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ বাবুল মিয়া ও আনোয়ার হোসেনের মাঝে লড়াই হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা