আজ মঙ্গলবার | ২৪ জুন ২০২৫ | ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | ২৭ জিলহজ ১৪৪৬ | ভোর ৫:২৩

পাগলনাথ মন্দিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

ডান্ডিবার্তা | ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বাজারস্থ পাগলনাথ মন্দির এখন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় সাধারন মানুষের। এখানে ঝাঁড়-ফুক ও কবিরাজির নামে সপ্তাহের প্রতিদিনই চলে ভন্ডামী। ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে মহাদেবের আরাধনা করা নামে মন্দিরের ভিতরে চলে মদ, গাজা ও ইয়াবা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকসেবন আসর। তথ্য নিয়ে জানা যায় যে, এই মন্দিরে আসা অধিকাংশ সেবাপ্রার্থীরাই ভিন্ন ধর্মের অনুসারী। বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সংসারিক কলহ, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, কুফুরী কালামের মাধ্যমে বানমারা, সন্তান না হলে গর্ভে সন্তানদান, চুরি  হওয়া জিনিস উদ্ধার করা সহ নানাবিধ রোগ ও সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে আশা সাধারন মানুষের কাছ থেকে সমস্যা সমাধানের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়াও মন্দিরের বরাদ্দকৃত সরকারী অনুদানের টাকা এবং সাধারণ মানুষ জনের দানের টাকা মন্দিরে দানকৃত ছাগল, হাঁস, মুরগি আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। উক্ত মন্দিরের সেবায়েত ও পুরোহিতগণ স্থানীয় প্রভাশালী মহল ও সন্ত্রাসীদের হাত করে যুগযুগ ধরে সাধারন সহজ সরল মানুষদেরকে ঠকানো সহ নানান ধরনের অপকর্ম করে আসছে চক্রটি। আর এ সকল বিতর্কিত কর্মকান্ডের এলাকার ভোক্তভোগী মানুষজন প্রতিবাদ করতে গেলে সেবায়েত ও পুরোহিতগণ সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তাদেরকে মারধর কবার মত ঘটনা ঘটিয়ে আসছে চক্রটি। এছাড়াও মন্দিরের দুর্নিতী ও অপকর্ম নিয়ে স্থানীয় থানায় একাধিক জিডি এবং মামলা হয়েছে। যে সকল মামলাগুলো অদালতে বিচারধীন অবস্থায় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পাগলানাথ রাম সীতা মন্দিরের সেবাহিত চিন্ময় দাস মহন্ত ও তন্ময় দাস মহন্তের সু-পরিকল্পিত কৌশলের মাধ্যমে দীর্ঘদীন ধরে সংগঠিত হয়ে আসছে এ সকল অপরাধ কর্মকান্ড। পাগলা এলাকায় বসবাসরত একাধিক ব্যাক্তি জানান, আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে ও দেখে আসছি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে পাক-পবিত্র স্থান। যেখানে ধর্মীয় কাজকর্ম হবে এবং ধর্মীয় নীতি রীতির মাধ্যমে। অথচ এখানে দেখছি এর উল্টো চিত্র। ধর্মীয় অনুভূতিকে পুজিঁ করে এ মন্দিরের মহারাজ তন্ময় দাস মহন্ত এবং চিন্ময় দাস মহন্ত সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষদের বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এদিকে দীর্ঘদীন ধরে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ভন্ডামীর মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মন্দিরের মহারাজ তন্ময় দাস মহন্ত এবং চিন্ময় দাস মহন্তের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্ভক সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা সাধারন মানুষের। এ ব্যাপারে পাগলা পাগলানাথ রাম সীতা মন্দিরের মহারাজ চিন্ময় দাস মহন্ত বলেন, কেউ যদি বিশ্বাস করে মন্দিরে আসে তাহলে আমরা তাদের সেবা দিয়ে আসছি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের রীতিনীতি অনুয়ারী এ মন্দিরের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছি। কারো পেট ব্যথা, কারো মাথা ব্যাথা কিংবা মনের বাসনা পূরনের জন্যই বাবা ভোলানাথের আর্শিবাদ নিয়েই আমরা এ সেবা প্রদান করে আসছি। আর আমাদের চেষ্টায় কারো সমস্যা সমাধান হয় আবার কারো হয় না। এর বিনিময়ে কোন ভক্ত যদি আমাদের কিছু দেন তাহলে আমরা গ্রহন করি। আর আমাদের কোন চাহিদা নেই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা