শহরের যানজটে দুর্ভোগে মানুষ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট যানজটের কারণে শহর যেন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে। সকাল থকে শুরু করে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অসহনীয় যানজট সৃষ্ট হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের মানুষ। তবে যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও এ সমস্যা নিরসনে তেমন কোন ভূমিকা পালন করছে না দায়িত্বশীল কতৃপক্ষ এমনটাই অভিযোগ ভোক্তভোগীদের। তবে শহরের যানজট নিরসন করতে হলে অবৈধ রিকশা প্রবেশ বন্ধ ও ফুটপাতগুলো হকার মুক্ত করা প্রয়োজন। অন্যথায় শহরের যানজট কোন ভাবেই কমিয়ে আনা যাবে না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। শহরবাসীর মতে, শহরের যানজট কমিয়ে আনতে হলে ট্রাফিকদের সঠিক দায়িত্ব পালন এবং নিদিষ্ট স্থান ছাড়া সড়কে গাড়ি পার্কি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট কোন ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যাবে না বলে মনে করছেন শহরবাসী। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ এখন যানজটের শহরে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হওয়া এই যানজট সারাদিন থাকে। শহরের যানজট অনেকটা লিংক রোড়, পাগলা সড়কে ছড়িয়ে পরে। এর ফলে ঘন্টার ঘন্টা যানজটের কবলে পরে সময় নষ্ট হয় পথচারীদের। ফতুল্লা থেকে শহরে আসতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘন্টা। শহরের চষাঢ়া থেকে ২ নং গেই যেতে সময় লাগে আধ ঘন্টা কিংবা তারও বেশী। যানজটের এই দূভোর্গের শিকার হচ্ছে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষ। শহরের যানজটের কবলে পরে তারা নিয়মিত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগ ভূক্তভোগী মহলের। তবে শহরের যানজট কমিয়ে আনতে হলে শহরের বাইরের অবৈধ রিকশা প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। শহরের ফুটপাতগুলো হকার মুক্ত করা সড়কের পাশে যানবাহন পাকিং বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় শহরের যানজট কোন ভাবেই রোধ করা সম্ভব হবে না। অপর দিকে যানজটের জন্য ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালনে আরো কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। সাধারন মানুষের মতে, শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে এই সমস্যা নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ একটু দায়িত্বলীল হলেই এ সমস্যা থাকে না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এছাড়া সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন তারা। তাদের মতে, সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিয়ে অবৈধ রিকশা প্রবেশ বন্ধ করা ও ফুটপাত হকার মুক্ত রাখলে শহরের যানজট দ্রুত কমে আসবে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।