আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৮:৪২

কথিত সাংবাদিকের ষ্টিকারযুক্ত অবৈধ ইজিবাইকে শহর সয়লাব!

ডান্ডিবার্তা | ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের শহর ও শহরতলীতে চলঅচলরত ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক,রিক্সা ও মিশুকে কথিত নামধারী সাংবাদিকদের স্টিকারে সিন্ডিকেট বানিজ্যে পুরো শহরকে যানজটের আখড়া হিসেবে গড়ে তুলেছে। যানজট নিরসনে দ্বায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও অসহায়ত্ব বরন করছে নামধারী সাংবাদিকদের অটো গাড়ির চাদাঁবাজিতে। শহরকে সাধারন মানুষের নির্বিগ্নে চলাচলের জন্য সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীসহ ট্রাফিক বিভাগ দ্বায়িত্ব সহকারে যে কাজ করে যাচ্ছে তাতে প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে নামধারী এ সকল সাংবাদিকরা। যাদের অতিলোভের ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের যানজট থাকে তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ অনেকে। শহর ও শহরতলীতে  ইজিবাইক ও মিশুকগুলোতে বড় মাপের সাংবাদিক মাসুদুর রহমান দিপুর নিউজ স্বাধীন বাংলা ও অপরাধ রিপোর্ট,আবদুল রিয়েল রাজার নগর সংবাদ,শাহ আলম তালুকদারের রুদ্রবার্তা ও রুদ্রকন্ঠ ২৪,সাংবাদিক রনির প্রেস মিডিয়া, নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা মালিকদের সংগঠনের দুই নেতার ম্যাকাও ও ঘোড়া ষ্টিকার ছাড়াও অটো,সাংবাদিক আল মামুন,দেলোয়ার হোসেনসহ প্রায় ৫/৭ জন সাংবাদিক বিভিন্ন নামে ষ্টিকার বের করে তা উক্ত গাড়িতে লাগিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাদাঁবাজি করছে আর শহরে কাজ করতে আসা মানুষগুলো সীমাহীন যানজটে পড়তে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এদিকে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা মালিকদের সংগঠনের দুই নেতার ম্যাকাও গাড়িগুলো আটকের সাহস পায়না ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। কারন তাদের গাড়িগুলো আটকের পর থেকেই ফোনের পর ফোন দিতে থাকেন সেই গুনধররা। এমনকি তাদের গাড়ি আটকের ফলে উক্ত ট্রাফিক পুলিশকে বদলি করারও হুমকী দিয়ে থাকের তারা। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একটি দল পাখিযুক্ত ম্যাকাও ১০টি গাড়ি অঅটকের পর মহাখুশিতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা উক্ত দলকে ৫০০ টাকা দিয়েছেন মিষ্টি খাওয়ার জন্য। শহরে তিন চাক্কার অবৈধ গাড়ীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই কথিত সাংবাদিকদের ষ্টিকারের মাধ্যমে সহজেই শহরে প্রবেশ করছে এই অবৈধ যান। শহরে প্রতিটি এই অবৈধ যান চলাচলের জন্য নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা কথিত এই সাংবাদিকরা। প্রতিটি অটো,অটোরিকশা ও মিশুককে দিতে হচ্ছে এককালীন দেড় হাজার হাজার টাকা এই কথিত সাংবাদিকদের স্টিকারের জন্য। এছাড়াও প্রতিটি গাড়ীর জন্য মাসিক দিতে হয় আরো ১৫০০-২৫০০ টাকা। এই গাড়ীগুলো আবার মাসিক চুক্তিও হচ্ছে সেই কথিত কিছু সাংবাদিকদের মাধ্যমে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার সাথে। এছাড়াও চাষাড়া শহরমুখী আসা গাড়ী দুই বেলা করে সকাল ৮টায় দিতে হচ্ছে ৫০টাকা ও দুপুরে জন্য ১২টায় দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। দিনে মোট ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে ২নং রেলগেইট ও ফলপট্টিতেও আলাদা আলাদা করে সকাল ৮টায় ও দুপুর ১২টায় ২০ টাকা করে ৪০ টাকা দিতে হয় পুলিশ সদস্যকে এবং এই অটো,মিশুক গুলোকে আবার শহরে দায়িতপ্রাপ্ত তিন রেকারের কর্মকর্তাকে মাসিক ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। রেকারের কর্মকর্তারা এই টাকার কিছু অংশ ব্যয় করছে। ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত অনেক কর্মকর্তা জানান,ভাই আমরা একেবারেই নিরুপায় হয়ে পড়েছি। প্রতিদিন আমরা যে পরিমান গাড়ি আটক করছি তার অর্ধেক ছাড়িয়ে নিতে আসেন উক্ত ষ্টিকার সাংবাদিকরা কিংবা তাদের নিযুক্ত ম্যানেজার। কি পরিমানে সাংবাদিকদের ষ্টিকারযুক্ত গাড়ি চলছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে ২/১ জন বলেন, প্রায় ৩ হাজারের মত ষ্টিকারযুক্ত গাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে নিউজ স্বাধীন বাংলা এবং ম্যাকাও পাখির সংখ্যা অনেক বেশী। আপনাদের পুলিশ সদস্যদের অনেক ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ি ও ইজিবাইক-মিশুক রয়েছে সে সর্ম্পকে জানতে চাইলে তারা বলেন,ভাই আপনারা সাংবাদিকরা যদি অন্যায়ের প্রতিবাদের পরিবর্তে অপরাধ করতে পারেন প্রকাশ্যে তাহলে আমাদের ২/৩ জন সদস্য সেটা করতে পারে। তবে প্রমান সাপেক্ষে উক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রেস ষ্টিকারে ব্যাটারী চালিত গাড়ি শহরে প্রবেশ করিয়ে সাংবাদিকদের চাদাঁবাজি বন্ধ করা এবং উক্ত গাড়িতে ষ্টিকার লাগানোর জন্য চাপ প্রয়োগ নতুবা পুলিশে ধরিয়ে দেয়া এসংক্রান্ত বিষয়ে চলতি মাসে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নীচে অটো গাড়ি চালক-মালিক ও গ্যারেজ মালিকরা মানববন্ধনও করেছেন। সেখান থেকে মালিক-চালকরা প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন উক্ত চাদাঁবাজ নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। জেলায় কথিত সাংবাদিকদের এহেন কার্যক্রমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তারা জানায়,সাংবাদিকরা হলো জাতির চতুর্থ স্তম্ভ এবং জাতির বিবেক। তাদের কাছ থেকে এই ধরনের কার্যক্রম আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী আশা করি না। নারায়ণগঞ্জ শহর একটি শান্তিময় স্থান কিন্তু এই শহরে দিন দিন যানজটের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। আর এই যানজটের মূল হচ্ছে শহরে তিন চাক্কার অবৈধ যান ইজিবাইক,ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটো। এক তো জেলায় এমনেই অপসাংবাদিকদের দিয়ে ভরপুর অন্যদিকে এদের নামে বেনামে ছেড়ে স্টিকারে শহরে সহজেই প্রবেশ করছে এই অবৈধ যানগুলো। ট্রাফিক পুলিশের নেই তাতে কোন নজরদারি। কিছু হলেই তখন পুলিশ থেকে বলে ট্রাফিক পুলিশে তাদের লোকবল কম কিন্তু তারা যদি কঠোর অবস্থানে থেকে কয়েকদিন দায়িত্ব পালন করে এই অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অবশ্যই শহর থেকে অবৈধ যান ও যানজট নিরসন করা সম্ভব। সচেতন মহল জেলার সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে অপসাংবাদিক ও কথিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেয় তার কথা উল্লেখ করে বলেন,নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিকদের এত এত সংগঠন তারা কেনো এই অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রেস ক্লাব,সাংবাদিক ইউনিয়ন,রিপোর্টাস ক্লাব,রিপোর্টাস ইউনিটি,ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সহ একাধিক সংগঠন রয়েছে তারা যদি জেলার এই অপসাংবাদিকদের ব্যবস্থা নেয় তাহলে জেলা থেকে আরো অপরাধ কমবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা