কি মধু ইউনিয়ন আ’লীগের সম্পাদক পদে?

বন্দর প্রতিনিধি এবার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন এক নেতা।  বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আক্তার হোসেন উপজেলা আওয়ামীলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করে নানা কৌতূহলের জন্ম দিলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি পদ থেকে কি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের মূল্য বেশি। এই পদে কি আছে। যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি পদ ছেড়ে ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য কাজ করছে। কি মধু ইউনিয়ন কমিটিতে এমন প্রশ্ন সর্ব মহলের। সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ-বন্দর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিলেন আক্তার হোসেন বিএ। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ও সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান এর বরাবরে তিনি এ অব্যাহতি পত্র জমা দেন। তথ্য সুত্রে জানা গেছে, বিগত সময়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে আক্তার হোসেন বিএ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মনোনীত হয়। কিন্তু তার কাঙ্খিত পদ না পাওয়ায় সে বর্তমানে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সেই সম্মেলনে তিনি উক্ত ইউনিয়নে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন। সেদিকে লক্ষ রেখেই আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী সে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেন। এ ব্যাপারে আক্তার হোসেন বিএ জানান, আমি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। এজন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বরাবরে গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় অব্যাহতি জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। কেননা, আমি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় গঠনতন্ত্রের নিয়ম-কানুনের প্রতি সম্মান রেখে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন। তবে এখনও সম্মেলনের ভেন্যু নিধার্রিত হয় নাই। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থীসহ একাধিক প্রার্থী হাজী আলমচান মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভেন্যু করায় শংকায় রয়েছে। কেননা, হাজী আলমচান মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভেন্যু হলে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা একটা বিশৃঙ্খলা করতে পারে। এমনকি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও মত ঘটনাও ঘটতে পারে। যা আমরা বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনের সময় দেখেছি। তাই উক্ত স্থানে ভেন্যু দেওয়ার ব্যাপারে মত পার্থক্য রয়েছে। তাই আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা একাধিক প্রার্থীরা কল্যান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ঘারমোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি স্থানের যে কোন একটিতে ভেন্যু নিধার্রন করার জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি বন্দর উপজেলা নেতৃবৃন্দরা সুশৃঙ্খল সমাধান করবেন।