
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট মানুষের মৌলিক যে ৫টি চাহিদা কিংবা অধিকার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো শিক্ষা। “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড কিংবা আজকের শিশু আগামী ভবিষ্যত” এ রকম কতই বানী রয়েছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সর্ম্পুন ভিন্নরুপ ধারন করেছে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। বর্তমানে “টাকা যার শিক্ষা তার” এমনটাই চলছে শহর ও শহরতলীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতিকল্পে এবং সবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বিনামুল্যে বই বিতরন এবং উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করলেও অনেক শিক্ষার্থী মাঝ পথেই ঝড়ে পড়ছে শিক্ষা ব্যায়ের অভাবে। এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, অতীতের তুলনায় চলতি বছরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় এবং নতুন বইয়ের মাত্রাতিরিক্ত মুল্যবৃদ্ধির কারনে অনেক মধ্যবিত্ত,নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানগুলো যেন অনেকটাই অসহায়ত্ব বরন করছে উভয় কারনে। বিগত বছরের তুলনায় কাগজ সংকটের অযুহাতে প্রতিটি বইয়ের মুল্য প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ। ২য় শ্রেনী থেকে ১০ম কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকের প্রতিটি বইয়ের মুল্যবৃদ্ধি অস্বাভাবিক হারে। আর শিশু শ্রেনীর বইগুলো যে যার মত মুল্য লিখে বাজারে ছেড়েছে। আবার মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে পরিচালনা পর্ষদ কিংবা প্রধান শিক্ষকদের সাথে যোগসাজেস করে বিভিন্ন প্রকাশনার কর্তারা পার্সেন্টিজ হারে তাদের মনমত বইগুলো শিক্ষার্থীদের ক্রয় করাতে বাধ্য করাচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকরা বুকলিষ্ট দিচ্ছে তাদের মনোনীত লাইব্রেরী থেকে বই ক্রয় করতে। আবার বর্তমানে স্কুলের চেয়েও ভয়ংকর হচ্ছে কোচিংয়ের শিক্ষকদের ভুমিকা। স্কুলে ভর্তি হতে ২-৩ হাজার টাকা হলেও কিছু কিছু কোচিং সেন্টারে ভর্তি ফি বাবদ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছে অভিভাবকদের কাছ থেকে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলের আশেপাশে খুলেছেন বিভিন্ন কোচিং সেন্টার। স্কুলে ভাল শিক্ষার পরিবর্তে তাদের কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষার্থীদের পড়ানোকে জোড় দিচ্ছেন। অসহায় অভিভাবকগুলো তাদের সন্তানদের ভালো রেজাল্টের জন্য কোচিংংে পড়াতে বাধ্য হচ্ছে নতুবা পরীক্ষার রেজাল্টে তার সন্তান অকৃতকার্য হবে। এ দিকে সরকারি নিয়মনিতী তোয়াক্কা না করে পুরোজেলার বিভিন্ন বই বিতান গুলোতে চলছে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা জমে উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছে সচেতন মহল। অভিভাবকদের অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনের নজরধারী ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা না থাকায় বন্দরে অসাধু ব্যবসায়ীরা সবাইকে ঘুমে রেখে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। শহর ও বন্দরে ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি বই বিরতণের পর থেকে বন্দর উপজেলার আলীনগর, ফরাজিকান্দা, কল্যান্দী, সোনাকান্দা, বন্দর বাজার, শাহীমসজিদ, পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী, নবীগঞ্জ কদম রসুল, নবীগঞ্জ বাজার, বক্তারকান্দী, লক্ষনখোলা, মদনপুর, ফুলহর, ধামগড়, বিবিজোড়া, মীরকুন্ডী, গকুলদাশেরবাগসহ বেশ কিছু এলাকায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। শহরের খাজা সুপার মার্কেট ও ডিআইটিতে বইয়ের দোকানগুলোতে দেখা যায় ব্যবসার সাথে বিভিন্ন প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে একাধিক অভিভাবক গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, উল্লেখ্যিত বই বিতান গুলোতে ২য় শ্রেণীর পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ২শ ৩০ টাকা, লেকচার গাইড বই বিক্রি হচ্ছে ২শ ৫০ টাকা ও অনুপম গাইড বিক্রি হচ্ছে ২শ ৩০ টাকা। ৩য় শ্রেণীর পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৫শ ৩০ টাকা, লেকচার ৫শ ৩০টাকা, ও অনুপম ৫শ ২০ টাকা। ৪র্থ শ্রেণীর অনুপম গাইড বিক্রি হচ্ছে ৬শ ২০ টাকা, লেকচার ৬শ ৩০ টাকা ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৬শ ৩০ টাকা। ৫ম শ্রেণীর লেকচার গাইড ৮শ ৫০ টাকা, অনুপম ৮শ ৩০ টাকা ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৮শ ৫০ টাকা। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অনুপম, লেকচার ও পাঞ্জারী গাইড ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২শ টাকা। ৭ম শ্রেণী ও ৮ম শ্রেণীর লেকাচার, অনুপম ও পাঞ্জারী বই বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২শ টাকা। এ ছাড়াও ৮ম শ্রেণীর পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ১৪শ ৬০ টাকা, লেকচার ১৪শ ৯০ টাকা ও অনুপম ১৪ শ ৬০ টাকা। এক পাঠ্যপুস্তক ব্যবসায়ী জনৈক মামুন জানান, কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে এ বছর বইয়ের মূল্য অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানো অনেক বই বাকি রয়েছে। আশাকরি আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে সব বই বের হলে আমাদের বই বিক্রি বেড়ে যাবে। তবে নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান ও মানববিক শাখার গাইড বইয়ের বিক্রয় মূল্য তাৎক্ষনিক জানা যায়নি। অবাধে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রির কারনে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য মারাতœক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভূক্তভোগী অভিভাবক বিভিন্ন বইবিতান গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯