আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৮:৩৮

সিদ্ধিরগঞ্জে সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে চলছে মাদক ব্যবসা

ডান্ডিবার্তা | ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জে প্রশাসনের সোর্সদের মাসোয়ারা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের কারবার বহাল রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স আবার দিনে মাদক কারবারিদের সহযোগী। এদিকে সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স চালু রেখেছে প্রশাসন। সেখানে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন অলিগলিতে দেখা মিলেছে ভিন্নতার। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এ থানার অধীনে থাকা চিহ্নিত মাদক কারবারিদের থেকে মাসোয়ারা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ধুলো দিয়ে ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে আর্থীক সুবিধা ভোগ করছে ডিবি পুলিশের সোর্স তোতা নজরুল, আল আমীন, শুভ, ইলিয়াস ও নাহিদ।তাদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের জনসাধারণ। মূলত সোর্সের আড়ালে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক কারবারিদের সহযোগিতা করেন এরা। মাদক কারবার প্রসারে মুখ্য ভূমিকা রাখছেন নামধারী এসব সোর্সরা। কারণে অকারণে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিতেও দ্বিধা করে না তারা। যেসব সোর্সরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারা হলেন। নজরুল ওরফে তোতা নজরুল চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা। দীর্ঘদিন এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশাসনের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছে তিনি। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে তার পরিচিতি ব্যাপক রয়েছে এ এরিয়ায়। নিজকে পুলিশের লোক বলে নানান অপকর্ম করাই তার মূল কাজ। ধর্ষণ, মাদক, ডাকাতিসহ একাধিক মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এক আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে জেল হাজতসহ অনেকবার খেটেছে নজরুল। তবে এখন সোর্সের পাশাপাশি মাদক কারবারিদের শেল্টার দাঁতা তিনি। চুক্তিবদ্ধ হয়ে মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ইদানীং নিজের কিছুসংখ্যক লোককে সাথে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই ডাকাতি করার অভিযোগ রয়েছে তার নামে। ইলিয়াস নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত সোর্স হওয়া সত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ছোট ভাই মোঃ পলাশকে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করান এ নেশাজতক ব্যবসার। তারা দু’ভাই একাধিকবার র‌্যাব এবং ডিবি পুলিশের কাছে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছেন। শুভ নামক এ ডিবির সোর্সের অপকর্মে রয়েছে সংখ্যামূলক। ধর্ষন মামলার অভিযোগ জেল খাটা এ সোর্স এখন এক ঝাঁক কারবারিদের শেল্টার দাতা। তার নিয়ন্ত্রণে মিজমিজি রওশন চেয়ারম্যান এলাকার আশপাশে সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীরা। মাসব্যাপী টাকার বিনিময়ে অভিযান বিরত থাকে ঐ এলাকায়। আল আমীন: আল-আমীন নামের লোকটি পুলিশের সোর্স হিসেবে বেশ পরিচিত। তিনি নিজেও একাধিকবার মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে জেল হাজত খেটেছেন। তাকে নিয়মিত মাসোয়ারা দেওয়া কারবারিদের কেউ ডিস্টার্ব করেন না বলেও জানা যায়। সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা, মিজমিজি টিসি রোড এলাকায় তার একক আধিপত্যর রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই হতে হয় প্রশাসনের হয়রানির শিকার। নাহিদ বিএনপি নেতা হালিম জুয়েলের ভাতিজা একসময় ডিবি পুলিশের সোর্স ছিলেন তিনি। তবে গত কয়েক মাস ধরে নিজেই মাদক কারবারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। মিজমিজি পাগলাবাড়ি এবং বাতানপাড়া এলাকার নাম করা ব্যবসা তিনি। তার রয়েছে বিশাল বাহিনী তাদের দিয়ে করানো হয় করবার। স্থানীয় মানুষজন বলেছেন, এসব সোর্সদের মাসোয়ারা দেওয়া কারবারি বেদিত অন্যদের পুলিশ গ্রেফতার করলেও সক্রিয় কারবারিরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। শুধু মাদকই নন তাঁরা সংঘবদ্ধ ভাবে প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করে থাকেন। দীর্ঘদিন যাবত সোর্সের কাজে জড়িত থাকা তোতা নজরুলসহ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্ষণ, মাদকসহ একাধিক মামলা। সচেতন মহলের প্রশ্ন তাঁরা কিভাবে এতো বেপরোয়া পান করে থাকে?




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা