আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:২৫

কথা রাখেনি জেলা বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েও মাঠে ছিলেন না জেলা বিএনপির নেতারা। এদিন আদালতপাড়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতাকেই দেখা যায়নি। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জেলা বিএনপির নেতাদের ছাড়াই তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। আদালতপাড়া সূত্র বলছে, গত সোমবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেলিম ওসমান ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভোট গ্রহণ করা হয়। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদিনজুড়েই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর ছিল নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই শোডাউন করেছেন। কিন্তু এখানে অনুপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এদিন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির কোনো নেতাকেই নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় দেখা যায়নি। অন্য সময় তারা সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও এদিন ছিলেন তারা নিরব। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের প্যানেল পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়। আর এই পরিচিতি সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেছিলেন, এই সরকার আসার পর গত তিনটি নির্বাচন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। প্রত্যেক নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, এটা কোনো সভ্য মানুষের সমাজে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে হতে পারে না। বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনের দিন যেভাবে নির্বাচন হয়েছে সকল নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল বারের সম্মানকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, আমরা আমাদের দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে এসে এখানে মাস্তানি কিংবা ভোট কারচুপি করতে সম্পূর্ণভাবে বিমুখ। আমরা এতে অংশগ্রহণ করতে চাই না। কিন্তু আপনারা যদি সম্মান চান এই প্রতিষ্ঠানকে সম্মান দিন। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কারণ আপনাদের দুর্নামের কারণে জনগণ থেকে নিগৃত। জনগণ আপনাদের পছন্দ করে না। আপনাদের কারণে আইনজীবীরাও প্রশ্নবিদ্ধ। বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে করে বলেছিলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থকে পরিহার করে দলের স্বার্থে আপনারা এই ১৭ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে নির্বাচিত করার চেষ্টা করবেন। এ আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া আপনাদের প্রয়োজন। কোন ভয়ের চিন্তা করবেন না। অতীতে যা হওয়ার হয়েছে। আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকবে। আমরা এখানে অনৈতিক কাজ করতে আসবো না। আমরা প্রহরা দিতে আসবো। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. গিয়াস উদ্দিনের এই বক্তব্যের বাস্তবতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মহানগর বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেলেও জেলা বিএনপির কোনো নেতার উপস্থিতি দেখা যায়নি। যা বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন গোলাম ফারুক খোকন। সেই সাথে কমিটিতে ১ম যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন মামুন মাহমুদ। অন্যান্য যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশারফ হোসেন ও জুয়েল আহমেদ। আর এই কমিটি গঠনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা জোরালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। এমন কোনো কর্মসূচি পরলক্ষিত হচ্ছে না যেখানে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতির দেখা মিলছে না। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তাদের নিরব ভূমিকায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা