আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:১৮

ইউপি চেয়ারম্যানের রোষানলে নারী গ্রাম পুলিশ

ডান্ডিবার্তা | ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি   ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নিজের পক্ষে কাজ করতে গ্রাম পুলিশ জোছনা বেগমকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন। জোছনা বেগম তার নির্দেশে কাজ করেননি। মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তার রোষানলে পড়েন জোসনা বেগম। চেয়ারম্যান হয়েই বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে গ্রাম পুলিশ জোছনা বেগমের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন মাকসুদ হোসেন। এভাবে বেতনভাতা বিহীন কেটে গেছে ৭ বছর। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জোছনা বেগম। এ নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। এ নিয়ে তার আক্ষেপের শেষ নেই। গতকাল শুক্রবার বন্দর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মাকসুদ চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়ে নিজের দুর্বিষহ জীবনের কথা তুলে ধরেন জোসনা বেগম। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মাকসুদ চেয়ারম্যান আমাকে তার পক্ষে মাঠে কাজ করার কথা বলেন। তার কথায় রাজি না হওয়ায় তিনি নির্বাচিত হয়েই পরিষদে প্রবেশে বাঁধা দেন। এরপর বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন। বন্দর থানায় নিয়মিত হাজিরা দিয়েও সাত বছর ধরে আমি কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছিনা। বেতন না পেয়ে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে  মানবেতর জীবনযাপন করছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশদের মাঝে বিভিন্ন সময় সাইকেল ও পোশাক বিতরণ করা হলেও মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরোধিতার কারণে সরকারি সাইকেল ও পোশাক দেওয়া থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও এ পর্যন্ত কোনো সুফল পাইনি। এ ব্যপারে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীসহ তার মা হালিমা বেগম অভিযোগ করেছে। সে অভিযোগের কারণে আমরা ইউএনও দফতরে লিখিত জানিয়েছি। এর পর থেকে সে আর ইউনিয়ন পরিষদে আসে না এবং কোন কাজ করেনা। আর আমরা গ্রাম পুলিশের বেতন দেই না। বেতন দেয়া হয় উপজেলা থেকে। সে ইউনিয়ন পরিষদে কাজ না করায় ২০১৬ সালে আমরা ডিসি ও ইউএনওকে জানিয়েছি। এখন তার চাকরি আছে কি না জানিনা। সে এর আগেও অনেকবার নানা কথা বলেছে। তা নিয়ে তদন্তও হয়েছে। আবারও পুনরায় উপজেলা সমাজসেবা থেকে তদন্ত চলছে। আর ইউনিয়ন পরিষদ সবার জন্য খোলা। সে তার চাকরি টিকিয়ে রাখতে থানায় হাজিরা দিলেও ইউনিয়ন পরিষদে হাজিরা দেয় না এবং কাজও করে না। কাজ না করার কারণে উপজেলা তার বেতন বন্ধ করেছে কিনা জানিনা। সে উপজেলা থেকে বেতন নিবে তাতে আমার বাধা নেই। প্রকৃত পক্ষে তার বিষয়ে এলাকাবাসীসহ তা মা হালিমা বেগম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সে কারণে তার চাকরি চলে গেছে। আর নির্বাচনে কাজ করেনি বলে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। কারণ গ্রাম পুলিশ কখনো কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারে না। আর আমি তাকে কখনও এ ধরনের নির্দেশ দেই নাই। সে ইউনিয়নের কর্মচারি ইউনিয়নে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। আর কাজ না করলে কে তাকে বেতন দিবে? এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারলাম। এর  তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুছাপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সরকার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা