আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:১৯

শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রেস্টুরেন্ট ও পার্কে অড্ডা

ডান্ডিবার্তা | ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দর স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রেস্টুরেন্ট, পার্কে ও ফাঁকা জায়গায় অশালীন ও বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজের ক্লাশ চলাকালীন সময়ে এসব শিক্ষার্থীদের বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করতে দেখা যায়। পার্কে ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে জোড়ায় জোড়ায় স্কুল শিক্ষার্থীরা দৃষ্টিকটু ভাবে বসে সময় কাটাচ্ছে। সচেতন মহল মনে করেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি খোঁজ-খবর নেয়া জরুরি তাদের সন্তানরা ঠিকমতো স্কুল-কলেজে যাচ্ছে কিনা বা সবগুলো ক্লাশে অংশ নিচ্ছে কিনা। অভিবাবকরা সচেতন না হলে তাদের আর পড়াশুনায় মনোযোগী করা যাবে না। প্রশাসনের তদারকি করা উচিৎ ক্লাশ চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা যেন পার্কে বা বাহিরে চলাফেরা না করতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া। গত বন্দরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজ পোশাক পড়ে একসাথে বসে মাদক সেবন করছে। তারা প্রত্যেকেই মাদক সেবন ও ধুমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে। আর এই চিত্র খুব সহজে দেখা মিলে বন্দরের সিএসডির মাঠ, রুপালীর মাঠ, মেরিন এর জেটির পাশে, টিউশেন গার্ডেন, বাবুপাড়া এলাকায় আলী মামার চটপটির দোকানসহ বিভিন্ন বিনোদনের স্থানে। দেখার যেন কেউই নেই। মা-বাবা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে  নিশ্চিন্ত থাকে। ভাবেন সন্তান মানুষ হচ্ছে। কিন্তু মা-বাবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে তারা সময় কাটায় বিভিন্ন পার্কে। যেন সেই স্কুল-কলেজ ফাঁকির উৎকৃষ্ট স্থানে পরিণত হয়েছে। সকাল ১১টা ১৫ মিনিট স্কুল বা কলেজের ক্লাস চলাকালীন এই সময়টায় বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার বালুর মাঠে আলী মামার চটপটির দোকানে গিয়ে দেখা গেল কোথাও জোড়ায় জোড়ায় আবার কোথাও দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছে স্কুল-কলেজে পড়–য়া ছেলে-মেয়েরা। গায়ে স্কুলের ইউনির্ফম আর সাথে বইয়ের ব্যাগ। কয়েক জন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ, কদম রসুল কলেজসহ বিভিন্ন সনামধন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। চটপটির দোকানে অড্ডারত এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে সে বলে, এটা ভাল না, তবে ক্লাশের পড়া কমপ্লিট করতে পারিনি বিধায় ফুসকা খেতে এসেছি। অন্য এক শিক্ষার্থী বলে, মা-বাবা জানলে কষ্ট পাবে, তবে নদীর পারে বসে বন্ধুদেও সাথে আড্ডা মারতে ভাল লাগে। শিক্ষার্থীরা নিত্যদিন স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখছে না। ঝুঁকে পড়ছে নানান অসামাজিক ও অশ¬ালীন কর্মকান্ডে। এই বিষয়ে অভিভাবকরা বলেন, আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। শিক্ষক-অভিভাবকদের সমন্বয়ে ছেলে-মেয়েদেরকে সচেতন করতে হবে। এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষক বলেন, স্কুল চলাকালে কোন ছাত্র বা ছাত্রী পার্কে কিংবা কোথাও ঘোরাফেরা করা উচিত না। তাছাড়া এ বিষয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি অবশ্যই অবিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মো: আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাকালীন সময় আমি বাহিরে দেখলেই তাদের সাথে আমি কথা বলি এবং সাবধান করে দেই ভবিষ্যতে যেন ক্লাস চলাকালীন সময় বাহিরে না দেখি। আমি আমার অফিসারদের বলে দিয়েছি কোন শিক্ষার্থী ক্লাস চলাকালীন সময় আড্ডা দিতে দেখলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা