আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৮:৩৯

দুই ইউনিয়নে ছাড় দিতে নারাজ তৃনমুল!

ডান্ডিবার্তা | ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি  ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক ভীত শক্তিশালী করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। সে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রায় সকল জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে শীর্ষ নেতারা। তবে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন বাকি ৪টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে অনেকটা ধোঁয়াশায় থাকলেও এবার বিন্দু পরিমান ছাড় দিতে নারাজ তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। বন্দর উপজেলার বাকি ৪টি ইউনিয়ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোন তাল-বাহানা হলে কঠোরভাবে দমন করবে তৃনমুল। প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করার পক্ষে তৃনমুলের ত্যাগী, সাচ্ছা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কলাগাছিয়া ও বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছে প্রায় ডজন খানিক প্রার্থী। ২টি ইউনিয়নে ডজন খানিক প্রার্থী থাকলেও ২টি পদে স্থান পাবে ৪ জন। ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতাকে মেনে নিবে না সম্ভব্য প্রার্থীরা। আওয়ামলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি সম্মেলন করে যাতে ঘোষণা দেয়া সেজন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এড.আবু হাসনাত শহিদ মোঃ বাদলের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা সম্ভব্য প্রার্থীদের। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী আমিরুজ্জামান, মাঈনুদ্দিন তুষার, কুতুবউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক পদে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইব্রাহিম কাশেম ও আক্তার হোসেন, জারজির্স। সেই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিল নিয়ে নাটকের কোন শেষ নেই। অপরদিকে বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে ৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান ও জাকির হোসেন পনির। আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আওয়ামী পরিবারের ও দলের স্বার্থে রয়েছে তার ত্যাগ স্বীকার। ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু হয়ে চারদলীয়জোট সরকার আমলে হামলা- মামলার শিকার হয়েছে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রচারনায় মাঠ অনেকটা নিজের কবজায় থাকলেও পরে তাকে দলের স্বার্থে নিজের অবস্থান থেকে সরে যেতে হয়। জাকির হোসেন পনির এ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রায় দেড় যুগ গত হলেও নিজ দায়িত্ব পালনে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছেন বলে একাধিক নেতাকর্মী জানান। দেড় যুগেও সংগঠনের কোন গতিশীলতা বা কর্মী সৃষ্টি করতে পারেননি। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে।  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি শহিদুল্লাহ (ভাইস)’র ছেলে এড. জাহাঙ্গীর আলম, এড. তাজুল ইসলাম ও মোঃ বাদল মিয়া সম্ভব্য প্রার্থী। বন্দর ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াডের ২জন আর ৫নং ওর্য়াডের ১জন। ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াডের এড. জাহাঙ্গীর আলম পারিবারিক ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি সাথে জড়িত। তার পিতা ছিলেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। এড. জাহাঙ্গীর আলম  বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক  সহ সভাপতি ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি সদস্য। এড. তাজুল ইসলামও একই ওর্য়াডের হলেও পারিবারিক ভাবে রাজনৈতিক ভিন্নতা রয়েছে। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল করিমের ছেলে মোঃ বাদল মিয়াও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। পারিবারিক ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করলেও বাদল মিয়াকে রাজপথে তেমন একটা দেখা যায়নি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সার্বিক বিশ্লেষণে ২টি ইউনিয়নে ২টি পদের জন্য প্রায় ডজন খানিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। ইউনিয়ন কমিটিগুলো চলতি মাসে না হলেও কয়েক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি হবে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে। কোন প্রকার পকেট কমিটি বা বির্তকিত কোন কমিটি ঘোষণা হবে না বলে নিশ্চিত করেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন। জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৩০ মাস পর বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা হয় গত রমজান মাসে। যে কমিটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। প্রায় ৩০ মাস পর কমিটি ঘোষণা করলেও পূর্ণাঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কমিটির তালিকায় এক হাবিব নাম নিয়ে শংশয় দেখা মিলে। যেমন তাদের ইচ্ছে ঠিক তদরুপ ওই হাবিবকে নিয়ে মন ভাসনা পূরন করে। উপজেলা কমিটির মত ইউনিয়ন কমিটিগুলো নিয়ে কোন জজ মিয়ার নাটক সৃষ্টি করতে চাইলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে ইতিমধ্যে আটঘাট বেঁধে রেখেছে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। কাউন্সিল ছাড়া ৪ টি ইউনিয়নের কোন মনগড়া কমিটি করলে তা সাথে প্রতিবাদ করবে তারা। কাউন্সিলের মাধ্যমে সচ্ছতার সাথে কমিটিগুলো হলে দল সুসংগঠিত হবে। কারন কমিটি গুলো হতে হবে নির্বাচনমুখী। দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে পকেট কমিটির পক্ষে যে থাকবে তাকেই প্রতিহত করার প্রত্যায় তৃনমুলের। বন্দরে দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার রির্পোটে এমনই আশংকার কথা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দর উপজেলার একাধিক শীর্ষ নেতা তৃনমুলের দাবীর সাথে একমত পোষণ করে বলেন চলতি মাসের মধ্যে না হলেও কয়েক মাসের মধ্যে  ইউনিয়ন কমিটিগুলো হতে পারে। তবে যে কমিটি হোক না কেন তৃনমূলের দাবী কাউন্সিলের মাধ্যেেম যোগ্য নেতাকে মূল্যায়ন পূর্বক যথাযথ পদে পদায়ন করা হোক। সচ্ছতা বজায় রেখে দলের সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা নির্ধারন করা হোক। কোন পকেট কমিটি হতে দেয়া যাবে না। কারন কমিটিগুলো দল ও দেশের স্বার্থে নির্বাচন মুখি করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও, পোড়াও ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে পারে এমন কর্মীবান্ধব নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে।  কোন মুখ চিনে বা বিনিময়ের কমিটি হলে বন্দরে প্রতিটি ইউনিয়নে দলের মধ্যে বিভাজন ও বিস্ফোরণের মত সিনিয়রদের দিকে বাকা দৃষ্টি দিতে বাধ্য হবে তৃনমুল।  যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।  দল টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও কোন সুবিধা পায়নি বরং আরো উল্টো দলের নেতাদের চাপিয়ে রেখে গুটি কয়েকজনকে সুবিধা দিয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে কোন জজ মিয়ার নাটক মঞ্চায়িত করতে চাইলে তার ফলাফল হবে অনেক কঠোর।  দাবানলের মত জেগে উঠে জবাব দিতে ইতিমধ্যে ঐক্য হয়েছে তৃনমুলের বিশাল একটি গ্রুপ এমনই তথ্য মিলেছে বিভিন্ন মাধ্যমে।  উপজেলার বন্দর ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী প্রায় ১২ জন। প্রত্যাশিত পদের জন্য ১২ জন ইতিমধ্যে আটঘাট বেঁধে নেমেছে। শুরু করেছে বিভিন্ন মাধ্যমে দৌড়ঝাঁপ। কোন দৌড়ঝাঁপ বা মুখ দেখে পকেট কমিটি ঘোষণা করে জজ মিয়ার নাটক করতে চাইলে তা কঠোর ভাবে জবাব দেয়া হবে বলে জানান একাধিক নেতাকর্মী।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা