শক্তিশালী হচ্ছে না’গঞ্জ আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট টানা তৃতীয়বারের মত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেও নারায়ণগঞ্জে আওযামীলীগের মাঠ পর্যাযের নেতারা বরাবরের মতই অবমূল্যায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে নারাযণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সুবিধাবাদি নেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মাঠ পর্যাযের ত্যাগী নেতারা অমূল্যায়িত হচ্ছে। এছাড়াও অনেকটা ব্যাক্তি কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি থাকলেও অধিকাংশরাই কর্মীশূণ্য ও সুবিধাবাদি নেতা। পাশাপাশি থানা কমিটিগুলো পূর্নগঠিত না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মীরা অমূল্যায়িত হচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জ আওযামীলীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন সাংসদ শামমি ওসমান। একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজের নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও অন্যান্য আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কাজ করেছেন তিনি। কর্মীদের মতে, অনেকটা শামীম ওসমানের প্রতি ভালবাসায় উজ্জীবিত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ। তাদের দাবী, শামীম ওসমান পাশে না থাকলে দলের কর্মীরাও জিমিয়ে পরে। তিনি দেশে থাকলে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মকান্ডে স্বতফূর্ত ভাবে অংশ নিলেও দেশের বাইরে থাকলে ঘটে তার উল্টোটা। সাংসদ শামীম ওসমান দেশের বাহিরে থাকলে সৃষ্টি হয় দলীয় কোন্দল। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্নক্ষেত্রে বিভিন্ন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের মানুষও দেখেছে শামীম ওসমান না থাকলে কর্মীরা উজ্জীবিত থাকে না। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে এবং বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক অবস্থা বিএনপির চেয়ে অনেক শক্তিশালী হলেও এ দলটি ধীরে ধীরে ব্যাক্তি কেন্দ্রীয় হয়ে পড়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধের কারণে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার মতো সংগঠকের অভাব রয়েছে। দীর্ঘদিন জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি হলেও অন্যান্য থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে পুরনো কমিটি দিয়ে দলের কর্মকান্ড পরিচালনাকে দায়ী মনে করছেন দলে সাধারণ নেতাকর্মীরা। কর্মীদের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের উদাসিনতা বড় একটি কারণ। সম্প্রতি ঢাকায় আওয়ামীলীগের আনন্দ র‌্যালীতে শো-ডাউন করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে থাকা নেতারা। কর্মীদের মতে, সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে ঐ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিশাল শো-ডাউন করে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের মান রেখেছে। এতে স্পষ্ট শামীম ওসমান কাছে থাকা মানেই দলীয় নেতাকর্মীরা উজ্জিবিত থাকা। তিনি দূরে থাকলে নেতাকর্মীরাও ঝিমিয়ে পড়েন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু কর্মী জানান, শামীম ওসমান একজন যোগ্য এবং দক্ষ সংগঠন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থার উত্তরণ ঘটানো প্রয়োজন। দলের মধ্যে যোগ্য ও দক্ষ সংগঠক গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। এর জন্য দলের দায়িত্বশীল নেতাদের এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। যাতে আগামী দিন গুলিতে দলীয় কর্মসূচি গুলি পালন করতে তাদের বেগ পেতে না হয়।