চাষাড়ায় গুলিবিদ্ধ ম্যানেজার কাজল মারা গেছেন

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহরের চাষাঢ়া এলাকার সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তেরায় আঙ্গুরা ভিলার মালিক আজাহার তালুকদারের গুলিতে আহত ম্যানেজার কাজল মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা তিনি মারা যান। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। গত রবিবার রাতে সুলতান ভাই রেস্টুরেন্টে (সুমাইয়া বিরিয়ানি নামে পরিচিত) গিয়ে আজাহার তালুকদার প্রকাশ্যে ম্যানেজার কাজলকে গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ৫জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভবনের মালিক আজহার তালুকদার ও তার ছেলে আরিফ তালুকদার মোহনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় শহরের চাষাঢ়ায় আঙ্গুরা প্লাজায় সুলতান ভাই রেস্টুরেন্টে (সুমাইয়া বিরিয়ানি নামে পরিচিত) গিয়ে আজাহার তালুকদার প্রকাশ্যে জিএমকে গুলি করেন। এসময় তার গুলিতে ম্যানেজার সহ ৫ জন আহত হয়। তারা হলেন সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্টুরেন্টের জিএম কাজল, কর্মচারী ইউনুস, আউয়াল ও জনি। তবে আহত নারীর নাম পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে কাজলের অবস্থা গুরুতর। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরপর এই ঘটনায় রেস্তোরার মালিক শুক্কুর আলী বাদী হয়ে মো. আজাহার তালুকদার ও আরিফ তালুকদার মোহনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ‘আজাহার তালুকদার ও তার চার ভাই আঙ্গুর ভিলা নামে একটি ছয়তালা বাড়ির মালিক। বাড়ির নিচতালায় থাকা বেশ কয়েকটি দোকান একেক ভাইয়ের নামে বরাদ্দ। রেস্তোরার মালিক শুক্কুর আলী আজাহারের ছোট ভাই আজিজুল হাওলাদারের কাছ থেকে ভাড়া নেয়। রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় আজাহার রেস্তোরায় প্রবেশ করে পানির জন্য ১০ লাখ টাকা এককালীন বিল চায়। এসময় রেস্তোরার মালিক জানায়, ভাড়ার বিষয়ে আজিজুলের সাথে কথা বলবে। ভাড়া নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পরে আজাহার ও দোকানের মালিকপক্ষ। এক পর্যায়ে আজাহার ক্ষুব্ধ হয়ে ঘর থেকে পিস্তল ও শটগান নিয়ে আসে এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। রেস্তোরার ম্যানেজার শফিফুর রহমান কাজলের পেটে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। একই সময়ে আহত হন রাসেল নামে এক পথচারী। আজাহারকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে তার মেয়ে লাকিও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে মারধর শুরু করলে সে দৌড়ে ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।’ রেস্তোরার মালিক শুক্কুর আলী বলেন, ‘পানির বিল বাবদ ১০ লাখ টাকা চেয়ে আমাদের গালমন্দ করতে থাকে আজাহার। আমরা প্রতিবাদ করে বলি এই বিষয়ে তার ভাইয়ের সাথে কথা বলবো। কিন্তু সে কথা না শুনে দৌড়ে পিস্তল আর বন্দুক এনে গুলি চালায়। আমাদের ম্যানেজার কাজল সহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।