আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:৩৩

জেলা বিএনপিতে উলট-পালট!

ডান্ডিবার্তা | ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে উলটপালট অবস্থা চলছে। কেউ কারো তেয়াক্তা করছে না। যা যেভাবে ইচ্ছা সে সেভাবে চলছে। মানছেনা চেইন অব কমান্ড। দীর্ঘদিন ধরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা বিএনপির একটি অংশকে চরম ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সেই ধাক্কা শুরু হয়েছে যা গিয়ে ঠেকেছে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে। এর মধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপিতে আহবায়ক পদে থাকা জাহিদ হাসান রোজেলকে বাদ দিয়ে তার আমলের সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটুকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটিতে টিটুকে করা হয়েছে আহবায়ক আর রোজেলকে করা হয়েছে ১৬ নং সদস্য। অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে ঠাঁই মিলেনি মামুনের অনুগামীদের। বিএনপি নেতাদের দাবী, জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পর থেকে বিদ্রোহ করে রোজেল ও মামুন মাহমুদ আলাদা কর্মসূচী পালন করছিলেন। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে আনা হলে জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে নির্দেশনা থাকলেও জেলা কমিটির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদকে বাদ দিয়েই থানা কমিটিগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মামুন মাহমুদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সু সম্পর্কের বিষয়টিও কেন্দ্র ওয়াকিবহাল। গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে জেলা বিএনপি ফতুল্লার ৩১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন। এতে আহবায়ক করা হয় জাহিদ হাসান রোজেলকে। সদস্য সচিব ছিলেন শহিদুল ইসলাম টিটু। ওই কমিটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই জেলা বিএনপির তখনকার সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে। যে মামুন মাহমুদ অনেক আগে থেকেই পরিচালিত হয়ে আসছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী নেতা শাহ আলমের দ্বারা। সেই সাথে এবারের কমিটি গঠনেও যেন তার ইশারায় হয়েছে। শাহ আলম যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই জেলা বিএনপির ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ফতুল্লা থানা কমিটিতে স্থান পাওয়াদের মধ্যে দুইজন ব্যাতিত বাকি ২৯ জনই শাহ্ আলমের একান্ত ব্যক্তিগত লোক। তাদের মধ্যে কেউ কর্মচারি, কেউ রয়েছে শ্বশুর বাড়ির দিকের আত্মীয়। ৩ মাসের মধ্যে সম্মেলন ও ইউনিট কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও আহবায়ক ও সদস্য সচিবের মধ্যে বিরোধ লেগেই ছিল। এ অবস্থায় জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় গত ১৫ নভেম্বর। কিন্তু এ কমিটির পর থেকেই আলাদা কর্মসূচী পালন করছিলেন রোজেল ও মামুন মাহমুদ। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির সবগুলো কর্মসূচীতে মামুনের সঙ্গে রোজেল সঙ্গ দেন। তারা জেলা বিএনপির মূল ব্যানারে উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়গুলো ইতোমধ্যে কেন্দ্রে অবহিত করা হয়। বিএনপির মামুন মাহমুদ বিগত জেলা কমিটিতেও পালন করেছে সাধারণ সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ। রাজনৈতিক মামলায় জেল খেটেছেন দীর্ঘ সময়। রয়েছে নাশকতা, হেফাজত, বিস্ফোরক সহ প্রায় ত্রিশটি রাজনৈতিক মামলা। সবকটি মামলাই নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা হয়েছে। এতসব মামলার পর স্বাভাবিক ভাবেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে বিবেচনা করবেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক এমপি তাকে ভদ্রলোক হিসেবে মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। নিজ দলের মধ্যেই অন্যদের মাইনাস করে নিজের আলাদা বলয় তৈরী করার অভিযোগ রয়েছে। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে বিগত নির্বাচনে চেয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক। একই আসনে রয়েছে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের প্রতিযোগীতামূলক অবস্থান। সম্ভাবনা আছে তিনি এবার চাইতে পারেন মনোনয়ন। বেশ জোরেশোরেই নেমেছেন রাজনীতিতে। এই অবস্থান নিজ দলে বিরোধী হিসেবে উঠে আসছে একমাত্র মামুন মাহমুদের নাম। এই রাজনীতি নিয়ে যখন বিএনপির অভ্যন্তরে টানাপোড়েন তখন ঘটে ছুরিকাঘাতের ঘটনা। বিতর্কের মুখে পড়েন গিয়াস উদ্দিন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবার শামীম ওসমানও বাতাসে পাল তুলে দিয়েছেন। মামুন মাহমুদের ঘটনা টেনে এনে গিয়াসকে উপস্থাপন করেছেন ভিলেন হিসেবে। কিন্তু একজন আওয়ামী লীগের এমপি নিজের মুখে নাশকতা সহ ত্রিশ মামলার আসামীকে ভদ্রলোক হিসেবে সম্বোধন করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সকলের কাছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা