আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:২১

কেন্দ্রের নজরধারীতে যারা

ডান্ডিবার্তা | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ১৮ নেতাকে চিহ্নিত করেছে দলের হাই কমান্ড। এসব নেতাদের ইতোমধ্যে নজরদারীতে রাখা হয়েছে। তারা কখন কি করছেন সে গতিবিধিও মনিটরিং করা হচ্ছে দলের ভেতর থেকে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজটি করছেন দলের হাই কমান্ড। দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ইতোমধ্যে একটি ইউনিট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ১৮ নেতাদের কারো কারো বিরুদ্ধে দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা তৈরি, অসন্তোষ করে সৃষ্টি করা সহ নানা অভিযোগও আছে। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিগত দিনের অভিযোগ কতটুকু মিইয়ে দিতে পেরেছে সেটাও নজরদারীতে রাখা হয়েছে। বিএনপির একটি সূত্র জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসন ঘিরে ইতোমধ্যে বিএনপি নানা তৎপরতা শুরু করেছে। কারা কি করছেন, কাদের কি ভূমিকা সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। নির্বাচনের আগে বিএনপি যেমন ঐক্যবদ্ধ দল চায় তেমনি দলের ভেতরে বিভেদ বিশৃঙ্খলা তৈরি করা নেতাদেরও চিহ্নিত করে তাদের নিস্ক্রিয় থেকে শুরু করে পদবঞ্চিত রাখতে চায়। দলের সূত্র জানান, রূপগঞ্জের নেতা দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান বিএনপি নেতা শরীফুল ইসলম টুটুল, আড়াইহাজারে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি রেজাউল করিম, ফতুল্লায় থাকা বিএনপি নেতা শাহআলম রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সিদ্ধিরগঞ্জে থাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদ, শহর বন্দরের সাবেক এমপি আবুল কালাম বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল প্রমুখ। এছাড়া ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এছাড়া তালিকাতে আরো নেতা রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২০ সালে রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি মনোনীত সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএপির সাবেক স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ টুটুল। বিএনপির পদে থেকেও দলীয় নীতির বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তাকে সমর্থন দেন কাজী মনিরুজ্জামান। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রূপগঞ্জ রাজধানীতে ছাত্রদলের ভেতরে অভ্যন্তরীণ ঝামেলায় দুই নেতার পরোক্ষ ইন্ধন পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের সেখানকার প্রভাবশালী নেতাদেরও সঙ্গে দুই নেতার সুসম্পর্কের খবরও মিলেছে। সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপি নেতা মামুন মাহমুদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সু সম্পর্কের খবরও এখন অনেকের কাছে পরিস্কার। দলের হাই কমান্ডও বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক গিয়াসউদ্দিনকে জড়ানোর পেছনে আওয়ামী লীগের কারো কারো প্ররোচনা ছিল বলেও জানি বিএনপির ঊর্ধ্বতনেরা। সে কারণেই এবার তাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে গিয়াসউদ্দিনকে সুযোগ করে দিয়েছেন। শামীম ওসমান একাধিকবার বৃহৎ সভা সমাবেশে মামুনকে ভদ্রলোক হিসেবেই অভিহিত করেন। বিপরীতে তিনি গিয়াসউদ্দিনের বিষোদাগার করেন। গত সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি পুলিশের সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শাওন হত্যার দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের মিছিলে অগ্রভাগেই ছিল শাওন। সাদেক হলেন নজরুল ইসলাম আজাদের অন্যতম অনুগামী। সেপ্টেম্বর পুলিশের এস আই কামরুজ্জামানের দায়ের করা মামলায় ৭১ জন নামীয় আসামীর মধ্যে নেই সাদেকুর রহমান সাদেকের নাম। দুই একজন নেতা ছাড়া নজরুল ইসলাম আজাদের অনুসারীরা অনেকটাই নিস্তার পেয়ে গেছেন এই মামলায়। যেমন রিয়াদ চৌধুরী, রুহুল আমিন শিকদার, মাসুকুল ইসলাম রাজীবের মত প্রভাবশালী নেতারা মামলার নামের তালিকাতেই নেই। শুধ তাই নয়, যেই শাওন যার নেতৃত্বে মিছিলে এসে মৃত্যুবরণ করেছেন তার নামও আসেনি এই মামলায়। অথচ তাকেই প্রধান টার্গেটে থাকার কথাছিলো। আড়াইহাজারের সাবেক এমপি আঙ্গুর ইদানিং সক্রিয়। তিনি বিগত দিনে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। রয়েছে ওয়ান এলেভেনের সময়ে সংস্কারবাদীর তকমাও। তবে আড়াইহাজারে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। এসব কারণে বিএনপিও তাকে তালিকায় রেখেছেন। ফতুল্লার বিএনপি নেতা নির্বাচন আসলে সক্রিয় হন। থানা কমিটির পদ ছাড়লেও দলের পদ ছাড়েনি। বিএনপির একটি অংশ এখনো তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কারণে তার ভূমিকা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। বয়স কম হলেও অনেক সিদ্ধান্তের কারিগর রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। তাকেও নিয়েও আছে সমীকরণ। বন্দরের মুকুল কেন্দ্রে যোগাযোগ রাখছেন। টার্গেট করছেন আগামী নির্বাচন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আছে ক্ষমতাসীনদের তোষামেদ করার অভিযোগ। ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকেও দল ফেরাতে চায়। কারণে তাদেরকেও নিয়ে পর্যালোচনা করছেন। একই তালিকাতে যুবদলের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। নারায়ণগঞ্জ শহরে রয়েছে তার বিশাল একটি কর্মীবাহিনী। আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা নিয়ে কেউই আপত্তি করতে পারেনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা