আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৮:৫৮

রুপগঞ্জে মাদ্রাসার জমি অবৈধ দখলে

ডান্ডিবার্তা | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি বেয়াল্লিশ বছর আগে মাদ্রাসার জন্য ওয়াকফ করা প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মুল্যের পনের শতাংশ জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে এলাকার প্রভাবশালী একটি পক্ষ। নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালত ভবন নির্মাণের ব্যাপারে ষ্ট্যাটাস ক্যু দিলেও তা উপেক্ষা করেই ভবন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। ঘটনা নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী সাহাজ উদ্দিন জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার। মাদ্রাসার জমিদাতাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশের আইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।  কালাদী সাহাজ উদ্দিন জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার জমির পরিমান ১৮৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এ জমির মধ্যে ১২৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ দান করেন প্রয়াত সাহাজ উদ্দিন। সাহাজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল হাই পারভেজ জানান, আমাদের এলাকায় অনেক কিছু থাকলেও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। এ কারনে ১৯৮০ সালে এলাকার ধর্মানুরাগী ব্যাক্তিরা মিলে নিজেদের অর্থে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠাতাদের বেশিরভাগ মারা গেলে এলাকার লোকজন ও প্রতিষ্ঠাদের পরিবার মাদ্রাসা পরিচালনার স্বার্থে পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও বর্তমান দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খাঁনের স্মরণাপণœ হন। এছাড়া মাদ্রাসা কমিটিতে রয়েছে জাকির হোসেন, ম্যানেজিং কমিটিতে সিলেকশনে আসা বিল্লাল হোসেন, আব্দুল হক সরকার। সাহাজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল হাই পারভেজ আরো জানান, মাদ্রসা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল হকদের সহযোগিতায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তি হাজী মনির হোসেন মাদ্রাসার জন্য দান করা পনের শতাংশ জমি দখল করে নেয়। এর মধ্যে দশ শতাংশের উপরে সে তৃতীয় তলা ভবন নির্মাণ করেছে। মাদ্রাসার জায়গা দখল করে কাজ শুরু করলে আমি এই অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে আদালত ‘ষ্ট্যাটাস ক্যু’ (সবাই যার যার অবস্থানে যে অবস্থানে আছে সে অবস্থায় থাকবে) এর আদেশ প্রদান করে। কিন্তু সে আদেশ উপেক্ষা করে মনির হোসেন এ ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা হাজী মোজাম্মেল জানান, এলাকাবাসি হিসেবে আমি মাদ্রাসার জায়গা দখলের প্রতিবাদ জানালে আমার বিরুদ্ধে মনির হোসেন চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে দিয়েছে। এলাকার একটি কনফেকশনারী দোকানের মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, এলাকার জমির সরকারি মুল্য কম হলেও বাজার মুল্য ত্রিশ লাখ টাকা শতাংশ। সে হিসেবে যে জমি দখল করা হয়েছে তার মুল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।  মাদ্রাসার জায়গা দখলে অভিযুক্ত মনির হোসেন বলেন, মাদ্রাসার জায়গা যারা দান করেছে তাদের মধ্যে আমার পূর্ব পুরুষও রয়েছে। মাদ্রাসার ভেতরে আমাদের উনিশ শতাংশ জমি রয়েছে। যে জমি দখল করেছি বলে অভিযোগ করছে সেটি পয়তাল্লিশ বছর ধরে আমাদের দখলে। সেখানে মিল-ফ্যাক্টরি আছে। তার পরেও যদি নিরপেক্ষ লোকজনের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মেপে আমার কাছে মাদ্রাসার কোনো জায়গা আছে বলে প্রমান হয় তাহলে ছেড়ে দেবো। তিনি বলেন, মাদ্রাসার জায়গা দখল করেছি বলা হচ্ছে কিন্তু মাদ্রাসা কতৃপক্ষ তো আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। মামলা করছে এলাকায় যারা আমার প্রতিপক্ষ তারা। সাংবাদিকদের কাছেও তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।  জমি দখলে নিজের সহযোগিতার অভিযোগ অস্বিকার করে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মনির হোসেন বলেন, মাদ্রাসার জায়গা কম আছে এটা সত্য। তবে মাদ্রাসার বাউন্ডারির বাইরের মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে জমি আদায়ের ব্যাপারে আমাদের মাদ্রাসা কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত নেই। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক খান কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছিলেন। কিন্তু একটি পক্ষ সেটি মানছে না। কমিটির সভাপতি বলেছেন, তারা মামলা করে যদি মাদ্রাসার জন্য জমি আদায় করে আনতে পারে তাহলে মাদ্রাসা তা গ্রহন করবে। কিন্তু মাদ্রাসা কমিটি কোনো মামলায় যাবেনা। এ ব্যাপারে কথা বলতে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক খাঁনের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ধরেননি। এস এম এস পাঠালেও উত্তর দেননি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা