আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:১৯

সোনারগাঁয়ে ‘ছোট বদি’ বেপরোয়া!

ডান্ডিবার্তা | ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসা চরম আকার ধারণ করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের দাপটে অতিষ্ট স্থানীয়রা। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। হাত বাড়ালেই মিলছে মরণ নেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য। অনেক সময় এই উপজেলাকে মাদকের ট্রানজিট রুট হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে মাদক ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় এসব মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই ইচ্ছে থাকা সত্বেও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। নিজের সেই অসহায়ত্বের কথা খোদ ডিসি-এসপি’র সামনেই প্রকাশ করলেন জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত এ সাংসদ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ময়ুর পঙ্খী মঞ্চে মাদক বিরোধী এক আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য লিয়াক হোসেন খোকা বলেন, সোনারগাঁয়ে একজন মাদকের স¤্রাট রয়েছেন। যার নেতৃত্বে পুরো উপজেলায় চলছে মাদক ব্যবসা। তাকে সবাই ‘ছোট বদি’ নামে চিনে। কে সেই ছোট বদি? নিশ্চই কোন রাজনৈতিক নেতার শেল্টারে ওই ছোট বদি সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। হয়তো আমার, না হয় অন্যকারো শেল্টারে চলছে মাদক ব্যবসা। এদের থামাতে হবে। সংসদ সদস্যর এমন বক্তব্যের সময় মঞ্চে খোদ বসা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ও জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। তারা সংসদ সদস্যর বক্তব্য মনযোগ সহকারেই শুনেছেন। সূত্রমতে, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস কে সজীব পুরো উপজেলা জুড়ে ‘ছোট বদি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার নিয়ন্ত্রণেই চলছে মাদক ব্যবসা। ইতোপূর্বে তাকে একাধিকবার মাদকসহ আটক করেছে র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তেূ মোগরাপাড়া এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, এসকে সজীব ওরফে ছোট বদি একজন দুর্ধর্ষ খুনীও। আরমানকে গলাকেটে হত্যা করে জেলখেটে জামিনে বের হয়ে আসে। রাজনৈতিক শেল্টার নিয়ে মাদক ব্যবসা সহ নানান অপকর্ম করে বেড়ালেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাছাড়া সরকারী দলের স্থানীয় শীর্ষনেতারা যখন সজীবের মতো চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে ঘুরাফেরা করে তখন সাধারণ মানুষ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলে। তার মতো কুখ্যাত একজন মাদক ব্যবসায়ী এখন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী যখন রাজনীতিতে শীর্ষ পদ দখল করে বসে থাকে, তখন সমাজের ভালো মানুষেরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সূত্রটি আরও জানায়, ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার ও নাশকতার আসামি হৃদয় প্রধান, কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহ্নিত ডাকাত পায়েল এবং মাদক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম সাগর হচ্ছে সজীবের মূল হাতিয়ার। এদের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মূলত হৃদয় প্রধান হচ্ছে ছাত্রদলের ক্যাডার। সে নিজেকে বাঁচাতে সজীবের মাধ্যমে যুবলীগে যোগদান করে তার ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। আর ১৫/১৬ টি মামলার আসামি চিহ্নিত ডাকাত পায়েল এলাকায় মাদক ব্যবসা ও ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সড়ক পথে যতো ডাকাতি আছে তার অধিকাংশর সাথেই পায়েলের নাম জড়িত। এছাড়া দূর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ হিসেবে শফিকুল ইসলাম সাগর সুপরিচিত এলাকায়। মানুষের জমি দখল, ড্রেজার ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন শফিকুল। সোনারগাঁ আ’লীগকে বাঁচাতে হলে সজীব ওরফে ছোট বদি ও তার মদদদাতা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুদের মতো লোকদের দল থেকে বিতারিত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। নয়তো আগামি নির্বাচনে এই উপজেলা থেকে নৌকার ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা