মহানগর বিএনপিতে ব্যর্থতার বোঝা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ব্যর্থতার বোঝা দিন দিন ভারি হতে শুরু করেছে। মহানগর বিএনপি‘র মধ্যে দেখা যাচ্ছে আরেক দৈন্যদশার। কমিটিতে থাকা অনেক নেতাকর্মীকেই এখন দেখা যায় না কোন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে। বর্তমান কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাকর্মীরা কমিটি হওয়ার পর দফায় দফায় হওয়া বিএনপির সকল কর্মসূচিগুলোতে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছেন ও অনেকটাই উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু কর্মকান্ডে পিছিয়ে যাওয়া শুরু করে তারা। যার কারণে মহানগর বিএনপি আরেক অংশ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু দলের দূর সময়ের কারণে অনেক নেতাকর্মীই মূল নেতাদের ব্যর্থতা দেখে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ দিতে দিধাবোধ করছে। আবার তারা পারছে না কমিটি হওয়ার পরে পদত্যাগ করা বিদ্রোহী নেতাদের মতো হতে ও কারণ এখন দলের দূর সময় আর এ সময়ে দলকে মানুষের কাছে ছোট করতে চায় না। কিন্তু তারা টিপুর কর্মকান্ডে ত্যক্ত হয়ে বর্তমানে কর্মসূচিতে আসাই বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাকর্মীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে শূন্যের পথে চলে যাচ্ছে। যা নিয়ে এখন চিন্তিত হয়ে আছেন মহানগর বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীই। তৃণমূলের ধারনা সংগঠনকে যারা নষ্ট করে তারা দলের শত্রু তারা দলকে ভালো না বেসে দলের সুবিধাকে ভালোবাসে। তাদের নেতৃত্বে সংগঠন থাকলে আগামীতে মহানগর বিএনপি নামে কোন সংগঠনই আর আগামী প্রজন্ম পাবে না। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। তার পরেই অযোগ্য টিপুকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব করায় দুই দিনের মধ্যেই কমিটিতে দেখা মিলে ছন্নছাড়া অবস্থা। কমিটি থেকে প্রথমে কমিটিতে স্থান পাওয়া যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা পদত্যাগ করেন। তার পরেই একে একে ১৫ জন বিদ্রোহী নেতা কমিটি থেকে পদত্যাগ ঘোষণা দেয়। যার কারণে মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। পরবর্তীতে মহানগর বিএনপি ৪১ জন থেকে ২৬ জনে পরিনত হয়। এভাবেই দীর্ঘদিন চলতে থাকে মহানগর বিএনপি। কিন্তু হঠাৎ দেখা মিলে মহানগর বিএনপির দ্বিতীয় দৈন্যদশা এখন কমিটিতে থাকা ২৬ জন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নানা কর্মকা-ে এখন ২৬ জন নেতা থেকে এখন ১২জনে পরিনত হয়েছে। জানা গেছে, গত শনিবার বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে প্রতিটি মহানগরে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি। এই কর্মসূচিকে সফল করতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রস্তুতিমুলক সভা করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। কিন্তু এই প্রস্তুতি মূলক সভায় দেখা গেছে মহানগর বিএনপির ১২ জন নেতাকে আর বাকি সব ছিলেন মহানগর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। যার কারণে কেন্দ্রীয় নেতা সালাম অনেকটাই ক্ষিপ্ত ছিলেন কিন্তু দলের এ দূর সময়ে যেভাবেই হোক না কেন কর্মসূচি পরিচালিত করতে লোকের প্রয়োজন সেই কথা মাথায় রেখে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিকে অসম্মান না করে চুপ করে ছিলেন। এছাড়া ও গত শনিবার মহানগর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে এই অনুষ্ঠানে ও দেখা মিলেনি ১২ জন নেতা ছাড়া মহানগর বিএনপির কমিটির অন্য কাউকে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কিন্তু তাতে ও দেখা মিলেনি কাউকে পদযাত্রা হয়েছে মহানগর বিএনপির কিন্তু পদযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে সব থেকে বেশি দেখা গেছে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। যার কারণে নেতাকর্মীরা ধারনা করছে মহানগর বিএনপির ধ্বংসের কারিগর আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নানা দূন্নাম ও ব্যাপক ব্যর্থতার কারণেই মহানগর বিএনপি এখন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপরে ভর করে চলছে। অনেক নেতাকর্মীরা ধারনা করছে টিপু একজন এডভোকেট ও অনেক পুরনো নেতা তার নেতৃত্বে থাকার মাধ্যমে দল আরো সুসংগঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আবু আল ইউসুফ খান টিপু ব্যর্থতা এখন বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের মুখে মুখে। এছাড়া আরো জানা গেছে, সদস্য সচিব টিপু দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করতে এখন মরিহা হয়ে উঠেছেন। তার এই ধরনের নীল নকশা অনেক নেতাকর্মীর চোখেই পড়ে গিয়েছে। এছাড়া ও বর্তমানে টিপু মহানগর বিএনপি থেকে বেশি অঙ্গসংগঠন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। তার ইচ্ছা রয়েছে তার এক নিজস্ব নেতার ইচ্ছা মতোই অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠন করবে। এ নিয়ে চলছে মহানগর বিএনপির মধ্যে নানা আলোচনা। অপর দিকে মহানগর বিএনপির কমিটিকে তারা এখানো পূর্ণাঙ্গ করে গড়ে তুলতে পারেনি। আবার তাদের দুইটি ইউনিয়ন ছাড়া নেই কোন থানা, ওয়ার্ড বা উপজেলা কমিটি। তাই মহানগর বিএনপির সকল বিষয় ও সকল কর্মকা-ে এখন নেতাকর্মীদের আঙ্গুল উঠছে টিপুর দিকে। তাই তৃণমূল বলছে টিপুতে ভালো নেই মহানগর বিএনপি। আর তার কারণে মহানগর বিএনপি ব্যর্থ হচ্ছে বার বার।