বন্দরে অবৈধ ড্রেজার সন্ত্রাসীর কবল থেকে বাচতে চায় জমির মালিকরা

বন্দর প্রতিনিধি  বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো: বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাওনের ও শহরের চিহ্নিত পেশাদার সন্ত্রাসী সিজার গংদের বিরুদ্ধে কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি নষ্ট ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এতে একদিকে যেমন ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বালুখেকোরা সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় কেউ তাদের এই অপকর্মে বাধা দিতে সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, জমি কেটে গভীরভাবে খনন করে মাটি বিক্রি করে। সেই জায়গা  বালু দিয়ে ভরাট করা হলে সেই বালু আশপাসের ফসলি জমিতে গিয়ে সেখানে ফসল অবাদে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এছাড়াও কৃষকরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন কখন কার জমি ভেঙে পাশের গর্তে পড়ে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী ড্রেজার ব্যবসায়ীরা উপজেলার ফরাজিকান্দা, মাধাপাশা, দড়িসোনাকান্দা এলাকার একাধিক স্থানে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে গভির গর্ত করে তা ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করছে। শুধু তাই নয়, মাটি কেটে ট্রাকে ও ট্রলারে করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। বালু ব্যবসায়ী ড্রেজার মালিকদের তালিকা করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করলেও কৃষি কর্মকর্তার নজরদারি নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষি জমি গভীরভাবে খনন করে বিক্রি করা হচ্ছে মাটি এবং বালু দিয়ে তা আবার ভরাট করা হচ্ছে। ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করার সময় আসপাসের ফসলি জমিতে সেই বালু গিয়ে তা ফসল আবাদের অযোগ্য হয়ে পরছে। এ কাজে জড়িত রয়েছেন বন্দর উপজেলা জাতিয়পাটির সভাপতি মো: বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাওনসহ রানা ও খোকন গং। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জের শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সিজার গং আজমেরী ওসমানের লোক পরিচয় দিয়ে বন্দর ২০নং ওয়ার্ডসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বসববাড়ির উপর দিয়ে পাইপ বসিয়ে জমি ভরাট করে চলছে।  বিভিন্ন সময় বালুর পাইপ ফেটে মানুষের ঘর ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে  না। তারা আরো বলেন, ব্যক্তিমালিকানার জমি থেকে এ মাটি কাটা হচ্ছে এবং ভরাট করা হচ্ছে। দড়ি সোনাকান্দা  ও ফরাজীকান্দা এলাকার ভুক্তভোগী বল্লা মিয়া, এমতাজ মিয়া, আজিমুল্লাহসহ একাধিক কৃষক বলেন, ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় শাওনগং। আর ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করছে সিজারগং। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে প্রশাসনের লোকজন হাতেনাতে সরঞ্জামসহ আটক করলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে ছাড়া পেয়ে আবারও শুরু করেছে অবৈধ ব্যবসা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম কুদরত এ খোদা বলেন, এখানে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। তারা আবার কাজ করছে আমার জানা নেই আমি দেখে ব্যবস্থা নেব।