আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ৪:০৬

সমালোচনায় জর্জরিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ

ডান্ডিবার্তা | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। চলছে আওয়ামীলীগ সহযোগি সংগঠনের সম্মেলন। ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ব্যতিত সদর বন্দরের ১৭টি ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করেন। অপরদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের আগে গত বছরের নভেম্বর থেকে জেলা মহানগরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিকে ঢেলে সাজানোর জন্য মাঠে নামেন কেন্দ্রীয় একাধিক নেতৃবৃন্দ। তার মাঝে বন্দর উপজেলা সহ এখানকার ৫টি ইউনিয়নের সম্মেলনের দেড় মাস পর কমিটি ঘোষণা করেন। তাদের বিপরীতে সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হলেও সেখানকার এখনো কমিটি ঘোষণা হয় নাই। অভিযোগ রয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩টি গ্রুপের কোন্দল তৈরী হওয়ায় এখনো কমিটি ঘোষণা হচ্ছে না। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন আলীরটেক এবং গোগনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলনে কোন প্রার্থী না থাকায় কমিটি ঘোষনা করা হয়। এখানকার কমিটিতে নেতৃত্বে যারা আসছে তারা কর্মীদের ভোটে না হওয়ায় তাদের ডাকে তেমন কেউ সারা দেন না বলে অভিযোগ ওই ইউনিয়নের স্থানীয় নেতারা। গতকাল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হলেও এখানেও অন্যান্য উপজেলা কিংবা ইউনিয়নের মত কমিটি ঘোষণা না করে পরে ঘোষণা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য টিপু সুলতান। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কিছু ওয়ার্ডেও একই কথা বলা হয়। তাদের এই ধরনের সম্মেলন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল সহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। তার মাঝে অভিযোগ উঠেছে এই ভাবে পরে কমিটি ঘোষনা দেয়ার কথা বলে দায়িত্বরত নেতারা প্রার্থীদের থেকে অর্থের ফায়দা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে। এছাড়া জেলা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি না থাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে সম্মেলন হওয়ায় স্থানীয় নেতারা তাদের কতৃত্ব হারাচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধমহল। কেননা নতুন কমিটিতে যারা আসছে তারা জেলা কিংবা মহানগরের কোন সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে নেতা হন নাই। যার জন্য ওয়ার্ড বা থানার নির্বাচিত নেতারা জেলা মহানগরের নেতাদের কাছে ধর্ণা দেন না। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, দলের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদর থানা সম্মেলনে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে যারা প্রার্থী হবে তাদের মাঝ থেকে নেতা নির্বাচিত হবে। এখানে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থী হলে তাহলে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হবে। আর একের অধিক কোন প্রার্থী না থাকলে সে ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি বিনা প্রতিযোগিতা সভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু একের অধিক প্রার্থী থাকলে তখন কাউন্সিলরদের ভোটে মাধ্যমে নির্ধারণ হবে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ইদানিং নারায়ণগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির গতকালকের সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলনে কোন কমিটি ঘোষণা করা হয় নাই। এখানে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি শফিউল বাসার বাবু। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন। তারা হলেন রফিকলু ইসলাম প্রধান, ও রানা আহম্মেদ রবি। কিন্তু এই সম্মেলন নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। কারণ হিসেবে স্থানীয় নেতারা কর্মীরা সম্মেলন স্থলে বলাবলি করছেন তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে অর্থের বিনিময়ে নেতা হচ্ছে। একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা কেউই ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ থেকে উঠে আসা নয়। এমনকি দলের দুঃসময়ে তারা দলের জন্য নিবেদিত হয়ে হামলা মামলা খেয়েছেন এমন কথাও কেউ জানেন না। কিন্তু বিভিন্নভাবে টাকা কামিয়ে মোটা অংকের মালিক ঠিকই বনে গেছেন। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে টাকার বিনিময়ে নেতা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে শফিউল বাসার বাবু অন্যদের কুক্ষিগত করে একা প্রার্থী হওয়ায় তিনি ঘোষণা ছাড়া সভাপতি হয়ে যাচ্ছেন। সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, কোন হাইব্রীড যেন নেতা না হতে পারেন। আবার অনেকে আছে দিনের বেলা আওয়ামী লীগ করে রাতের বেলা জামাত বিএনপির সাথে আঁতাত করে নিজেদের ঠিক রাখে। দল যদি ক্ষমতায় না থাকে তখন তারা যেন কোন অসুবিধায় না পড়েন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই হাইব্রীড নেতা। রজানৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এইভাবে কাউন্সিলরদের ভোট ছাড়া কমিটি হতে থাকলে তখন ওয়ার্ড পর্যায়ের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন থাকবে না। আর এতে করে কর্মীরা ক্ষোভ নিয়ে দল থেকে দূরে সরে যেতে পারে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও তার ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গুলোর সম্মেলনে ভোটবিহীন কমিটি হতে যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়া আগামী নির্বাচনের আগমুহুর্তে তারা গণতন্ত্রের কথা বললেও খোদ জেলা মহানগরের স্বেচ্ছাসেবক লীগে অগণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন রাজনৈতিক বিষেøশকরা। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ন্ত্রণে সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হওয়ায় স্থানীয় শীর্ষ নেতারা তাদের কর্তৃত্ব হারাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করবো। তবে কোন মাদককারবারি, চাদাঁবাজ, সন্ত্রাসের স্থান স্বেচ্ছাসেবক লীগে ঠাঁই হবে না। সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগে উপস্থিত ছিলেন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজির মাদবর, মহানগর সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, ছগীর আহমেদ, জামির হোসেন রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী কায়কোবাদ রুবেল সহ অন্যনা নেতৃবৃন্দ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা