আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৭:১৮

আ’লীগ-বিএনপির বিরোধ প্রকাশ্যে

ডান্ডিবার্তা | ০১ মার্চ, ২০২৩ | ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টা পাল্টি কর্মসূচিতে সরগম রাজপথ। গত বছর থেকে বিএনপি সরকারের পদত্যাগের দাবী সহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে জাগিয়ে তুলছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতা কর্মীরা জেগে উঠেছে। কিন্তু কমিটি নিয়ে একরে পর এক বিরোধ তৈরী হচ্ছে। যা নিয়ে রাীতিমত নেতা কর্মীরা হতবাক। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এক আহ্বায়ক কমিটি ভেঙ্গে আরেক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হচ্ছে। অপর দিকে আওয়ামী লীগেও বিরোধ চলছে। কিন্তু দুই দলের শীর্ষ নেতারা ঐক্যের কথা বললেও তাদের মাঝে আরু বিরোধ বাড়ছে। অথচ আগামী নির্বাচন ঘিরে তাদের মাঝে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি ঐক্যের প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বিএনপি দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় না থাকার পরেও তারা ঐক্য হতে পারছে না। তবে দলের এই ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের মাঝে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বাদ দিয়ে ঐক্য হওয়ার কথা বললেও তা হচ্ছে না। এদিকে দলীয় সূত্রমতে জানা যায়, গত বছরের শেষের দিকে ১৩ সেপ্টম্বর মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা হয়। তার মাঝে এড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এবং আবু আল হাসান টিপুকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনেক লোক জমায়েত করতে পারলেও নেতৃত্বে ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই কমিটির ঘোষনার পর পরই ১৪ জন বিএনপি নেতা কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। যারা আবু আল হাসান টিপুকে সদস্য সচিব হিসেবে মেনে নিতে পারেন নাই। তাই পর্যায় ক্রমে সাখায়ত টিপু বলয়ের লোক কমতে থাকে। অপরদিকে তাদের ছেড়ে মুকুল কালাম বলয়ে তা বাড়তে থাকে। আর এতে করে তাদের মাঝে ঐক্য তৈরী হওয়ার চেয়ে আরও বিরোধ বাড়ছে। এছাড়া মাস দুয়েক পরে জেলা বিএনপির পূর্বের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙ্গে গত বছরের নভেম্বর মাসে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে জেলা বিএনপির ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মূল কমিটির এখন দৈন্যদশা অবস্থা হয়ে পড়েছে। সাখাওয়াত টিপু বলয় ছেড়ে চলে যাওয়ায় তাদের বলয় ছোট হয়ে আসছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বলয় ছেড়ে মুকুল ও সেন্টুর বলয়কে যোগ্য ও রাজপথের পরীক্ষিতে নেতৃত্বে হিসেবে প্রাদান্ন দিয়ে তাদের সাথেই ভিড়ছে নেতারা। অপর দিকে মুকুল ও সেন্টুর মহানগর বিএনপির কমিটিতে নেতার সংখ্যা ১৬ জন আর এর মধ্যে ছয়জনই যুগ্ম আহ্বায়ক। অপরদিকে সাখাওয়াত টিপুর মহানগর বিএনপি কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কদের উইকেট পরতে পরতে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ জন। যার কারণে দেখা যাচ্ছে সাখাওয়াত-টিপুর মহানগর থেকে মুকুলে বলয় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মুকুল পক্ষে থেকে দাবী উঠেছে অচিরেই দুটি থানা ও একটি উপজেলায় তাদের থেকে পাল্টা কমিটি গঠন করা হবে। যার মাধ্যমে মহানগর বিএনপিতে আরও বিশৃঙ্খলা হতে পারে বলে মনে করেন খোদ দলীয় নেতারা। অপরদিকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি শহরে পদযাত্রা করেন। একই সাথে তাদের বিপরীতে নারায়ণগঞ্জ ২নম্বর রেলগেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে শান্তি সমাবেশ করেন। আবার একই স্থানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনুর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের দুই কদম সামনে শান্তি সমাবেশ করেন। একই স্থানে আওয়ামী লীগ যুবলীগের শান্তি সমাবেশের নামে যে অশান্তি তৈরী হয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সর্ব মহলে সমালোচনা চলে। এই শান্তি সমাবেশে পাল্টা পাল্টি স্লোগান নিয়ে উত্তাল পরিবেশ তৈরী হয়। সেই সাথে যুবলীগের শান্তি সমাবেশে গরম বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল। তার বিপরীতে একই সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বক্তব্য রাখেন। কিন্তু এই সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ আগে থেকে অবস্থান করলেও তাদের শেষ করার জন্য অনরোধ জানান যুবলীগ সভাপতি সাজনু। তাদের দেরী হওয়ায় তারা তখন সামনে থেকে শান্তি সমাবেশ শুরু করেন। তাদের এই শান্তি সমাবেশে পাল্টা পাল্টি কর্মসূচিতে স্লোগানে উত্তেজিত হওয়ায় পরিবেশ অশান্তি হয়ে পরে। যা নিয়ে রীতিমত সর্বমহলে সমালোচনা হয়। এই অশান্তির জন্য আব্দুর হাইকে দোষারোপ করছেন দলীয় নেতা কর্মীরা। অথচ যুবলীগ হলো আওয়ামী লীগের প্রধান সহযোগী সংগঠন। ক্ষমতাসীন দলের দুই সংগঠনের কর্মকান্ড বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের মাঝে প্রকট আকারে বিরোধ চলছে। তাদের এই বিরোধ আরও বাড়ছে। এতে করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মাঝেও চরম ভাবে বিরোধ চলছে তা রাজনৈতিক মহল জানতে পারে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মতে বিএনপি যখন পদযাত্রা করবে তখন আমরা যেন শান্তি সমাবেশ করি সেই নির্দেশনা দেন। কিন্তু যুবলীগের শান্তি সমাবেশের কোন কর্মসূচি ছিলনা। তারা কেন ওই সময় শান্তি সমাবেশ করতে আসলে যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু বলেন, যুবলীগ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা মহানগরে শান্তি সমাবেশ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ যে এখানে সমাবেশ করতাছে আমরা তা জনতাম না। কিন্তু আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দু হাই ভাইকে তাদের সমাবেশ শেষ করার জন্য অনুরোধ করি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা