
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ক্ষমতার বাহিরে রয়েছে বিএনপি। যার কারণে নানা হামলা ও মামলা শিকার হতে হচ্ছে এই দলের নেতাকর্মীদের। কিন্ত দলের সকল নেতাকর্মী মামলা হামলার শিকার হলে ও কিছু নেতাকর্মী সরকার দলীয় নেতাকর্মী সাথে আতাঁত থাকায় বেচেঁ যাচ্ছে। তাদের মতোই একজন রয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি‘র সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নিজ কমিটির নেতাকর্মীরা ও বর্তমানে সরকারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তিনি নানাভাবে আতাঁত করে সকল মামলা-হামলা থেকে পাড় পেয়ে যাচ্ছেন। যা আলোচনা সৃষ্টি করছে বিএনপির নেতাদের মনে। তারা দাবি জানিয়েছে, আমরা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে হাঁটতে পারছি না। কিন্তু টিপু দলের এতোবড় পদে বসে থেকে ও কোন মামলা বা হামলার শিকার হয় না। এছাড়াও অনেকে বলছে টিপু কখনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে কোন বিরোধ সৃষ্টি করেনি। তিনি যা করেছেন নিজ দলের নেতাকর্মীদের সাথেই বিরোধ সৃষ্টি করেছেন। যার কারণে তার নামে সরকারী দলের নেতাকর্মীরা মামলা না দিয়ে তাকে রেখেছেন দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করতে। যার কারণে তৃণমূল নেতারা টিপুকে বলে থাকে মহানগর বিএনপি‘র মূল ধ্বংস কারী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহানগর বিএনপি‘র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কমিটিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আস্তে আস্তে এই বিরোধ বিশাল আকার ধারন করে। নতুন কমিটির প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যে পরলেও কমিটির বেশিরভাগ নেতাকর্মীই নাখোশ সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে নিয়ে। এমনি অনেক নেতাকর্মী টিপুকে পল্টিবাজ হিসেবে ও ভূষিত করেছে। আর সকলের একই কথা টিপুর দল ও বলয় চেঞ্জ করা নেতা হিসেবে বিএনপিতে পরিচিতি লাভ করেছে। জানা যায়, বি এন এফ, বিদিশা ফাউন্ডেশন, পরবর্তীতে বিএনপিতে এসে তৈমূর আলম খন্দকার এছাড়ও তিনি সাবেক এমপি আবুল কালামের খাস লোক হিসেবে ও ব্যাপক নাম খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে লালসায় পরে টিপু এখন আরেক নিজস্ব নেতা বানিয়েছেন আড়াইহাজেরর নজরুল ইসলাম আজাদকে। আর তারই নির্দেশ অনুযায়ী সকল কার্যকালাপ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আর দলে সৃষ্টি করছেন নানা বিতর্ক। বিগত দিনেও টিপু মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তখন তিনি নানা সময় নানা বিতর্ক সৃষ্টি করে এসেছেন তখন সকল নেতাকর্মীই টিপুকে ধ্বংসের কারিগর আখ্যা দিয়েছিলেন। অপর দিকে জানা গেছে, ২০২২ সালে ১০ই ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও এই তারিখকে কেন্দ্র করে বিএনপি‘র হাজারো নেতাকর্মী পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী মামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির হাইকমান্ডের নেতাকর্মীরা সেই ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল না বাদ পড়েনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও জেলা বিএনপি‘র আহ্বায়ক থেকে শুরু করে সদস্য সচিব, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য কেউ শান্তিতে নিজ বাসস্থানে বসবাস করতে পারেনি। তারা ছাড়াও জেলা বিএনপি ও আওতাধীন সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। বাদ ছিল না মহানগর বিএনপি এ দলের অঙ্গসংগঠনসহ দলের কিছু যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যদের নামে ও মামলা হয়েছিল তারা ছাড়া কমিটি থেকে যারা পদত্যাগ করে বিদ্রোহী হয়ে ছিলেন তাদের নামে ও দুইটা তিনটা করে মামলা হতে থাকে। কিন্তু মামলা থেকে নানাভাবে বেঁচে যায় কমিটির মূল দায়িত্বে বসা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সাহেবেরা। জানা গেছে, মামলার ভয়ে সাখাওয়াত একটু আত্ম গোপনে থাকলে ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু ছিল খোলামেলা পরিবেশে। তার ছিল না কোন মামলার ভয় তিনি তার মতো করেই ম্যানেজ করে ছাড় পেয়ে গিয়েছিলেন। নেতাকর্মীরা বলছে, টিপু কোন সময় দলের জন্য কোন মামলার শিকার হয়নি। কিন্তু বিএনপির একটি ছোট ইউনিয়ন কমিটির নেতার নামে ও ১৫ থেকে ২০টি মামলা রয়েছে। কিন্তু তিনি দলের জন্য কোন মামলা খায়নি আর যদি খেয়ে ও থাকে এটা আরো ২৫ থেকে ২০ বছর আগে ১টি বা ২টি হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়েছে, টিপু কোন না কোনভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগসাজস রাখে তা না হলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সকল নেতাকর্মী জালাময়ী বক্তব্যে রাখলে ও তিনি কেন রাখেন না আর রাখলেও মেপে মেপে কেন বলে। আর দলের সেন্ট্রালযুক্ত নেতাকর্মীরা ও সেই ১০ তারিখকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু সাখাওয়াত ছিলেন পালিয়ে আর টিপু এই ম্যানেজেই দলের হাইকমান্ড ও নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা বুঝে ফেলেছে টিপু কি ধরনের সুবিধা নিয়ে সদস্য সচিবের চেয়ারে বসে আছে। বর্তমানে দলের দুঃসময়ে যদি টিপুর হাতেই মহানগর বিএনপি জিম্মি করে রাখা হয় তাহলে আগামীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি অনেকটাই ধ্বংস ও সরকারের বিরোধীতায় কোন সুবিধা অর্জন করতে পারবে না। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপি‘র যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল যুগের চিন্তাকে বলেন, মহানগর বিএনপি‘র কমিটির মূল দায়িত্বে যারা বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে এখন বিতর্কের শেষ নেই। আর যখন কমিটিটা দেওয়া হলেছিল তখন আমাদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা করা হয়নি। তাই আমরা প্রথমে বের হয়ে আসি পরবর্তীতে যারা আছে তারা তাদের সম্পর্কে জানতে পেয়ে তারা ও বের হয়ে আমাদের দিকে ঝুঁকছে। আর যারা বর্তমানে রয়েছে তারা তো কমিটি টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আর আজকে আমি কোর্টে একটি আমরা মামলার হাজিরায় গিয়েছিলাম শত শত বিএনপির নেতাকর্মী আমাদের সাথে ছিল। ওরা এটা দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, টিপুর সাথে ক্ষমতাসীন দলের সাথে নানাভাবে যোগসাজস আছে তাই ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমিসহ দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলার শিকার হয়েছিল। কিন্তু এতো বড় একটি পদ নিয়ে বসে থেকে ও কোন মামলার শিকার হয়নি টিপু সাহেব। এটা কেন নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণ ও বুঝে ফেলেছে। মহানগর বিএনপি‘র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ. মামুন বলেন, কমিটিটা যখন সেন্ট্রাল অনুমোদন দেয় তখনই একটি ধাক্কা আসে কমিটি থেকে ১৫জন নেতাকর্মী বের হয়ে যায়। তাদের বের হয়ে যাওয়ার কারণটা ছিল কেন সেন্ট্রাল তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে কমিটি দিল না। তখনই তারা তাৎক্ষনিক তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে ছিল। সেই মুহুর্তেই মহানগর বিএনপি‘র মূল দায়িত্বে যিনি বসে আছেন আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান তিনি সাংবাদিকদের একটি বিবৃতে দেয় যে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটলো। যার কারণে তাদের ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। তাই তারা সেই কমিটির সাথে কাজ করার ইচ্ছা একবারেই ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে কোন রকম চলছিল মহানগর বিএনপির কমিটির কার্যক্রম কিন্তু হঠাৎ সাখাওয়াত ও টিপু বেপরোয়া হয়ে উঠে আর তারা দুই জনের মত অনুযায়ী একঘেয়ামী কার্যকালাপ শুরু করে দেয়। যা আমার পছন্দ হয় না তাই আমি ও তাদের জিম্মিকৃত কমিটি থেকে বের হয় চলে আসি। এটার মূল কারণটা হলো আমি কখনো একাংশের নেতা হয়ে রাজনীতি করতে চাই না আমি চাই দলের মধ্যে চেইন অব কমান্ড ও ঐক্যবদ্ধতা। তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখবেন ১০ই ডিসেম্বরকে ঘিরে কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কারো নামে মামলা হয়নি। কিন্তু এখানে কোন একটি কারণ রয়েছে আমি কমিটির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক আমার নামে মামলা হলো কিন্তু তাদের নামে হলো না এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। মহানগর বিএনপি‘র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা বলেন, মহানগর বিএনপি‘র যখন নতুন কমিটি গঠন করা হয়। তখনই আমি বলেছিলাম এই কমিটি কোন যোগ্যই না সেটারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে নেতারা এখন সঠিক পথে আসছে। তিনি আরো বলেন, মহানগর বিএনপি‘র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু সাহেবের নামে ২ কোটি টাকার অভিযোগ ছিল। আমার মনে হয় সেইভাবেই কারো সাথে তার যোগসাজস রয়েছে যে কারণে উনি বার বার সকল সময় মামলা থেকে বেঁচে যায়। মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া বলেন, ১০ই ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমি ও একটি গায়েবী মামলার আসামী হয়ে ছিলাম আমরা মামলা নাম্বার ছিল ৩৫/১২। এই মামলাটা হয়েছিল কারা আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্টভাবে বক্তব্যে রেখেছিল। সেটা গয়েন্দা সংস্থা এগুলো তদন্ত করে সকলের নামে এই মামলা দায়ের করে। আর আপনারা জানেন কিনা জানি না মহানগর বিএনপি‘র সদস্য সচিব টিপুতো আর আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলে না। টিপু সর্বক্ষেত্রে বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেমন তৈমূর আলম সাহেবের বিরুদ্ধে, আতাউর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে, আমার বিরুদ্ধে এছাড়াও বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকে উনি। আর আমি কখনো দেখি নাই টিপুকে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্যে দিতে আমি দেখি নাই। আর দিলে ও হিসাব করে মাপ করে দেয়। অপর দিকে সাখাওয়াত হোসেন খান সাহেবের তো সুনির্দিষ্ট কথা বলার সাহস থাকে না। বর্তমানে যে এমপি রয়েছে তার বিরুদ্ধে কোন কথায় উনি বলতে পারে না পারবে ও না। আর তাই যখন সকারের পক্ষ যে মামলাগুলো হয় সেখানে টিপু বা সাখাওয়াতের নাম মাইনাস করে রাখা হয়। আর টিপু একনিষ্ঠভাবে দলের কেউ না উনি ফায়দা লুটার জন্য দল করে। টিপু সদস্য সচিব হয়ে বহু টাকা কামিয়ে ফেলেছে এটার রেকর্ড সকলের কাছে রয়েছে। আর যে ফল মানব কল্যানে না আসে সেই ফল কোন দরকার নেই। আর সাখাওয়াত-টিপু সবাই কিন্তু তৈমূর আলম ভাইয়ের লোকই কিন্তু তারা তাদের স্বার্থের টানে তার থেকে বের হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তৈমূর সাহেবের লোকই কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত তার সাথে কোন চোখ পল্টি দিয়েছি এমনটা কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু টিপু যে বলয় থেকে বলয় চেঞ্জ করা পাবলিক এটা সকলেই জানে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯