আজ সোমবার | ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ | ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭ | রাত ৩:৪৮
শিরোনাম:
ব্যর্থতার গøানি নিয়ে চলছে জেলা বিএনপি    ♦     অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন তারেক জিয়ার প্রশ্ন    ♦     বিএনপি কি নিজেদের ঘর পরিষ্কার করবে?    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজ বাহিনী সক্রিয়    ♦     শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার    ♦     পুরানো রূপে ফিরছে মীর জুমলা সড়ক    ♦     তিন শ’ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পরিদর্শনে ডিসি    ♦     সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ    ♦     সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রচারপত্র বিতরণ    ♦     জুলাই বিপ্লবে শহীদের পরিবার ও আহতদের রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় পুনর্বাসন করতে হবে    ♦    

চার মাসেও হয়নি জেলা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

ডান্ডিবার্তা | ০২ মার্চ, ২০২৩ | ১:২১ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সম্মেলন হওয়ার চার মাসেও হয়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যদিও সম্মেলনে ঘোষিত শীর্ষ দুই পদে আসীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পন্ন করতে এক মাস সময় দেয়া হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটির খসড়াও তৈরী করতে পারেননি তারা। বরং পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তৈরী করতে কেন্দ্রের কছে তারা আরও সময় চেয়েছেন। এদিকে সম্মেলনে শীর্ষ দুই পদে পুরনোরাই অধিষ্ঠ থাকায় এমতিই জেলার বহু নেতাকর্মী হতাশ হয়েছেন, তার উপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। দলীয় একাধিক সূত্রমতে, পদ ভাগাভাগিতে সমন্বয় না হওয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখছে না। শুধু তাই নয়, পদ ভাগাভাগির কারণে বিগত কমিটিতেও ৬টি পদ শূন্য ছিল। সূত্রটি অভিযোগ করেন, শীর্ষ নেতাদের মধ্যে পদ ভাগাভাগির কারণে দলের পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা অবমূল্যায়ন হচ্ছেন। ফলে বিগত কমিটি যেমন সাংগঠনিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, তেমনি বর্তমান কমিটিও এ ব্যতিক্রম হবে না বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিমত। তৃণমূল নেতাকর্মীদের একাধিক সূত্রমতে, বছরের পর বছর ধরে জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়নে একই ব্যক্তি দলীয় শীর্ষ পদগুলো দখল করে আছে। এতে ওই নেতাদের সুবিধা নেয়ার পাল্লা ভারী হলেও নতুন নেতৃত্ব তৈরী হচ্ছে না। দীর্ঘ ১৯ বছর পর গত বছরের ২৩ অক্টোবর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলন ঘিরে পুরো জেলার মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ একডজন কেন্দ্রীয় নেতার আগমন ঘটে সম্মেলনে। নানা আলোচনা হতে থাকে নতুন নেতৃত্ব আসছে জেলা আওয়ামীলীগে। কিন্তু দিন শেষে শীর্ষ দুই পদে পুরনোদের রেখেই সম্মেলন শেষ করা হয়। ফলে ফুটো বেলুনের মতো নিমিষেই চুপসে যায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, যে কমিটি দীর্ঘ ৫ বছরেও একটি সমাবেশ ও কমিটির ৬ শূন্য পদ পুরণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সকল উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নের কমিটি করতে পারেনি নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। সেই নেতৃত্ব আগামী দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে কি ভুমিকা রাখবে তা দেখার বিষয়। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে নিতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নেতাকর্মীদের দৌড়-ঝাঁপ। স্থানীয় বলয় ঠিক রেখে তাদের লভিং চলছে কেন্দ্র পর্যন্ত। এ দৌড়ে সাবেক ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে আছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তবে দৌড়-ঝাঁপ যারাই করুক বিতর্কিতদের যেন কমিটিতে ঠাই দেয়া না হয় এ দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তাদের দাবী, দৌড়-ঝাঁপ যেই করুক, সৎ, ত্যাগী ও নতুন-পুরাতনের সমন্বয়ে হবে জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, মূলত ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান, রূপগঞ্জ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, আড়াইহাজার আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী এবং বর্তমান কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ বাদল চাচ্ছেন তাদের পছন্দের লোকজনকে কমিটিতে স্থান দিতে। এই নেতাদের মধ্যেই পদগুলো ভাগাভাগি হবে। তাদের মধ্যে সমন্বয় হলেই হয়তো জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখবে। ওদিকে গত বছরের ২৩ অক্টোবরের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি আগামী তিন বছরের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে সভাপতি ও এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদলকে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আগামী একমাসের মধ্যে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির খসড়া তালিকা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সাড়ে ৩ মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া কেন্দ্রে জমা হয়নি। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পন্ন করতে আমরা কেন্দ্রের কাছে সময় চেয়েছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই আমরা জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া সম্পন্ন করে কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য জমা দিতে পারবো। প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর। অধ্যাপিকা নাজমা রহমান সভাপতি ও এমপি শামীম ওসমান সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এর পর ২০০২ সালের ২৭ মার্চ সদর-বন্দর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরামকে আহ্বায়ক করে কেন্দ্র থেকে ৬১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়। পরে আহ্বায়ক এস এম আকরাম পদত্যাগ করে যুক্ত হয়ে পড়েছেন নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে। পরে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মফিজুল ইসলামকে। ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মফিজুল ইসলাম মারা যান। এরপর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের তাৎকালীন প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে সভাপতি এবং সিটি কর্পোরেশনের বর সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামীলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর ১৩ মাস পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। কিন্তু ৬ পদ শূন্য রেখেই এই কমিটি তাদের মেয়াদ শেষ করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা