বিভাজনে ডুবছে না’গঞ্জ বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিভাজনের রাজনীতি থেকে বের হতে পারছে না নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। জেলা এবং মহানগরের কমিটি হওয়ার পর থেকে দলের মধ্যে বিরোধ-বিভাজন দেখা দেয়। কমিটি গঠনের পর থেকে নেতায় নেতায় শুরু হয় দ্বন্দ্ব, বাকযুদ্ধ। বিদ্রোহ করেছে দলের অনেক নেতা। শুধু মূল দলেই নয়, অঙ্গ সংগঠনেও বিরোধ দেখা দিয়েছে কমিটি হওয়ার পর থেকে। এরফলে ঐক্যবদ্ধ না হয়ে পৃথক পৃথক শোডাউন করছে নেতারা। বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়েই মূলত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। সবাই দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেছে। সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকে দলের অপর একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেনি। গিয়াসের বিরোধীতা করে দলের মধ্যে বিভাজন শুরু হয়েছে। জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ তাঁর অনুসারীদের নিয়ে পৃথক শোডাউন করছে। কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় কর্মসূচি আলাদা ভাবে পালন করছেন। এ নিয়ে দলের মধ্যে প্রভাব পরেছে। দলের বিশাল একটি অংশ আহবায়ক কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে বিশাল শোডাউন করে তাঁদের শক্তি জানান দিচ্ছেন। ফলে জেলা বিএনপির বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি হওয়ার পর থেকে দলের বিরাট একটি অংশ বিদ্রোহ করেছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে যারা সক্রিয় এবং ত্যাগী তাঁদের বাদ দিয়ে কমিটি করায় সক্রিয় নেতারা বিদ্রোহ করেন। সেই থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে বিভাজন বিদ্যমান রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। নারায়ণগঞ্জ যুবদলেও বিরোধ রয়েছে। দলের ত্যাগী নেতাদের পাশ কাটিয়ে শীর্ষ পদে আসতে বেশ কিছু নেতা কেন্দ্রীয় লবিং অব্যাহত রেখেছেন। এ নিয়েও যুবদলে মৌন বিরোধ চলছে। জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পর সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতানের নেতৃত্বে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। বর্তমান নেতৃত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ছাত্রদলের নেতাদের উপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে হামলা চালানোর পর দলের নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনেও হামলার শিকার হয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিরোধ নিয়ে দলের তৃনমূলে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। নির্বাচনের বছরে বিএনপির এই বিরোধ দলের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে এমন দাবি দলের তৃনমূলের। দলের বিভাজন মিটাতে এখুনি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।