আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৭:১১

আমি এখনো মুক্তিযুদ্ধের সনদ পাইনি সনদ বাতিলের প্রশ্নই উঠেনা

ডান্ডিবার্তা | ০৪ মার্চ, ২০২৩ | ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শিরিন বেগমের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একজন মহিলা। এই জন্য আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আমাকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে। আমি নারায়ণগঞ্জের একমাত্র পিএইচডি করা মহিলা। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছি। আমাকে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষামাতা হিসেবে হিসেবে উপাধি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আমি নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত সাংবাদিক খোন্দকার মাসুদুর রহমান দিপু। অধ্যাপক শিরিন বেগম বলেন, আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সহযোদ্ধা ছিলাম। এর পূর্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মনোনীত সামসুন্নাহার হলের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মহিলা গেরিলা কমান্ডার ও তৎকানীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ফোরকান বেগমের নেতৃত্বে ও অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। তৎমর্মে ফরিদপুর ও নারায়ণগঞ্জ সহ অন্যান্য এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং স্বীকৃতিস্বরূপ তৎমর্মে অসংখ্য প্রমাণপত্র রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার কর্তৃক ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়ার ঘোষণা অনুযায়ী আমি তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করি। পরবর্তীতে উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সম্মুখে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার দেই। ওই সাক্ষাৎকারে আমার মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই, যাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের সময় একসাথে কাজ করেছি সে সমস্ত মহিলা গেরিলা কমান্ডার সহ অন্যান্য কমান্ডারদের ব্যক্তিগত উপস্থিতিতে যাচাই বাছাই নিয়ে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় জামুকা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে প্রেক্ষিতে অন্যান্যদের সাথে আমার নামও তালিকাভুক্ত হয়। যা আমি জানতে পেরেছি। তবে আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা, ভাতা সহ অন্যান্য কোনো সুবিধা নেই নাই। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাকে কোনো প্রকার সনদ প্রদান করা হয় নাই। কাজেই সনদ বাতিল এবং সরকারি ভাতা আত্মসাৎ করার প্রশ্নই আসে না। শিরিন বেগম বলেন, আমি সরকারি তোলারাম কলেজে, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ পদে অত্যন্ত সুনামের সাথে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সততা ও কর্মনিষ্ঠার জন্য প্রধামন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশক্রমে আমাকে অধ্যক্ষ পদে সরকারি তোলারাম কলেজে দুই বছর চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করেছিলেন। কুচক্রী মহলকে দায়ী করে তিনি বলেন, কিছু কুচক্রী মহল আমার সততা, নিষ্ঠা ও রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা ক্ষুণœ করার জন্য কথি সংবাদ প্রচার করছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা এটা আমাকে সনদ দেয়া হোক বা না হোক আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে স্ব-শরীরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে আমার নাম আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে বাতিল করায় আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য উক্ত বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করি এবং মহামান্য হাইকোর্ট আমার মুক্তিযোদ্ধা বাতিলের আদেশটি স্থগিত করে বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। পরিশেষ শিরিন বেগম বলেন, আমি বলবো আমার মানসম্মান, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানে হিংসাবিদ্বেষ ও ইর্ষান্বিত হয়ে এসব কাজ করছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা