আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জে বউ-শাশুড়ির অত্যাচারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খবির হোসেন (৪০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা ঘটনাকে হত্যা হিসেবে উল্লেখ করে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা-বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা। গতকল রোববার দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে খবির হোসেনের বাবা আমিনুল হক বলেন, আমার ছেলে গত ৯ মার্চ তারিখ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগের দিন স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি দ্বারা নির্যাতনের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই আইডিতে পোস্ট করেছিলো। আত্মহত্যার আগের দিন খাবিরুলের স্ত্রী মুক্তি, তার মেয়ে খাদিজা, তার শাশুরি লতিফা ও লতিফার ভাই রমজান খাবিরুলকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে মারধর করে। সেই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে আমাকে জানায়। এরপর আবার কারা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় এ ব্যাপারে কেউ জানে না। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে খাবির হোসেনের স্ত্রী আমার নাতনীর লজিং মাস্টারের সাথে পরকীয়া করে এবং আমার নাতনী তার খালাতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে আমার ছেলের সাথে তাদের ঝামেলা চলছিলো। গত ৯ মার্চ দুপুরে খাবিরুলের মেয়ে খাদিজাকে ফোন করলে সে বলে খাবিরুল ঘুমের ঔষধ সেবন করে ঘুমিয়েছে। এমতাবস্থায় ঘুম থেকে উঠানোর কথা বললে নানা টালবাহানা করে। সন্ধ্যার দিকে আমি জানতে পারি খাবিরুল আত্মহত্যা করেছে। আমিনুল হক বলেন বলেন, এই ঘটনায় খাবিরুলের শ্বাশুড়ি লতিফা, স্ত্রী মুক্তি, রমজান ও লুৎফর রহমানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করি। এই মামলায় শ্বাশুড়ি লতিফা ও স্ত্রী মুক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু পরবর্তীতে তার মেয়ে খাদিজা আমার ছেলেকে পাগল বলে স্বাক্ষী দেয়। যার কারণে শ্বাশুড়ি লতিফা ছাড়া পেয়ে যায়। তারা আমার ছেলেকে পাগল হিসেবে আখ্যা দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা আমাদের ছেলে হত্যার বিচার চাই। আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের শাস্তি দাবী করছি। খাবিরুলের মা খালেদা বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। তারা সকলে মিলে আমার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমি এই আত্মহত্যার প্ররোচনার বিচার চাই।