
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে বর্তমানে একগুচ্ছ আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। তারা তাদের মতো করেই কমিটির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তারা সংগঠনের কোন নেতাকেই তাদের কোন কাজে যুক্ত করতে চান না। আর এজন্য অনেকে তাদের ছেড়ে বিদ্রোগী গ্রুপের যোগ দিয়েছে। যার কারণে তছনছ হয়ে গেছে মহানগর বিএনপির কমিটি। আর এ কারণে সংগঠনে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিশৃঙ্খলার যার দোষ সকলেই দিচ্ছে সাখাওয়াত ও টিপুর উপরে। বর্তমানে মহানগর বিএনপি আস্তে আস্তে তাদের মেরুদ- নিজেরাই ভেঙ্গে ফেলা শুরু করেছে। তাদের একগুচ্ছ আধিপত্য বিস্তারের কারনেই একের পর এক নেতা তাদের বলয় থেকে বেড় হয়ে আরেক বলয়ে যুক্ত হচ্ছেন। যা তাদের জন্য মাইনাস পয়েন্ট বলা চলে। যার কারণে তারা তাদের ব্যর্থতা ডাকতে অনেক কর্মকান্ডই পরিচালনা করে যাচ্ছে। কিন্তু কোনটাতেই আর কিছু হচ্ছে না। এখন আর কোন নেতাকর্মী তাদের সঙ্গ দিচ্ছে না। যার কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছে সাখওয়াত ও টিপুর একগুচ্ছের কারণে ধ্বংসের পথে মহানগর বিএনপির রাজনীতি। সর্বশেষ মহানগর বিএনপি‘র আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনের ৬ দিনের মাথায় সাখাওয়াত ও টিপুর অনুমোদিত কমিটির ৩ জন সদস্য গত ১ মার্চ কমিটি থেকে বের হয়ে। বিদ্রোহী কমিটির আতাউর রহমান মুকুল ও হাজী নূর উদ্দিনের হাতে ফুল দিয়ে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা হলেন, বন্দর থানা বিএনপি‘র সদস্য ভিক্টর মৃধা, ইলিয়াস, জাবেদ মুন্সি। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বন্দর থানা বিএনপিতে নূর মোহাম্মদ পনেছকে আহ্বায়ক ও নাজমুল হক রানাকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপি‘র আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই একের পর এক ঘটনায় নানা বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে মহানগর বিএনপিতে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর বিএনপিকে অযোগ্য ও বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে কমিটি হওয়ার প্রথমেই কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান ১৫ জন। এখন আবার নতুন করে সাখাওয়াত-টিপুর জিম্মিকৃত কমিটি ত্যাগ করেছে কমিটি যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এইচ মামুন। আবারো গুঞ্জন উঠছে মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনুও বের হয়ে গেছেন। জানা গেছে, সাখাওয়াত টিপুর এক কর্মকান্ডে আনু উচ্চ কন্ঠে উত্তেজিত হয়ে তাদের সাথে নারাজ হয়ে তাদের সাথে আর কোন পোগ্রামে উপস্থিত থাকে না। এছাড়ও কমিটি থেকে আরো যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যবৃন্দরা ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছে তারা ও যেকোন সময় টিপু ও সাখাওয়াতের বলয় চেঞ্জ করবে। এমন করেই সাখাওয়াত ও টিপুর নানা ব্যর্থতায় ধীরে ধীরে মহানগর বিএনপি মেরুদন্ডহীন হয়ে গেছে। আরো জানা গেছে, মহানগর বিএনপি কমিটির মূল দায়িত্বে থাকা দুইজন নেতা কমিটিতে কোন চেইন অব কমান্ড বঝায় রাখেনি। তারা সব কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তাদের কাজে হাত বাটলেই কমিটিতে থাকা সদস্য সচিব তাদের সাথে খারাপ আচরন করে। যার ভয়ে অনেকের তাদের সাথে কথা বলতে যায় না। আবার অনেকে অঝোরে কেঁদে ফেলে। দলের দুঃসময় থাকার কারণে প্রথমত কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু বর্তমানে ধৈর্য্যর বাদ ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেকে কিছু কিছু সময় প্রতিবাদ ও করে ফেলে আবার অনেকে অভিমানে, রাগে, ক্ষোভে সাহস দেখিয়ে তাদের জিম্মিকৃত কমিটি থেকে বেড় হয়ে যাচ্ছে। কমিটিতে থাকা অনেক নেতাকর্মী বলছে, সাখাওয়াত-টিপু কমিটির ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে বানিজ্যে অব্যাহত রেখেছে। এখানে কমিটিতে থাকা কোন যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যদের কোন মত চলবে না। বর্তমানে তারা তাদের ব্যর্থতা যেন বাহিরের নেতাকর্মীদের চোখে না পরে সেটা ডাকতে। তারা সম্মেলন ছাড়াই তারাতারি করে ঘরে বসে কমিটি বানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তারা ইউনিয়ন কমিটিগুলো গঠনের সময় হাঁক ডাক দিয়ে বলেছিলেন আমরা যোগ নেতৃত্ব দ্বারা সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করবো। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তার উল্টো তারা প্রথমে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বন্দর থানা বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়। সেখানে দেখা যায়নি কোন ত্যাগী নেতার মূল্যালয়ন নিজেদের বানানো কিছু নেতাকর্মীদের দিয়েই কমিটি গঠন করেছে। যা অনেকেই অযোগ্য বলে আখ্যা দিচ্ছে আজকেই আবার থানা কমিটির তিনজন নেতা বিদ্রোহীদের মহানগর বিএনপির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, মহানগর বিএনপির কমিটির সাথে জুম ভিডিও এক পোগ্রামে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছিলেন আমি আর কতদিন এমন ভিডিও কলে আপনাদের সাথে যোগাযোগ অবহৃত রাখবো। আমারও তো নিজ মাতৃভূমি দেশে আসতে ইচ্ছে পোষন করে। আপনারা সকলেই তারাতারি করে ঐক্যবদ্ধ হন আরো দল ও সংগঠনের শক্তি আরো বৃদ্ধি করেন। যাতে আমি অতি শীঘ্রই দেশের মাটিতে পা রাখতে পারি। কিন্তু তারা চেয়ারম্যানের কথার কোন মূল্যায়ন না করে নিজেদের মধ্যে কোন্দাল আরো বাড়িয়ে তুলছে। এ কারণে অনেকে বলছে এই ধরনের নেতাকর্মীদের কারণে তারেক রহমানের দেশে আসতে রিড়ম্বনা সৃষ্টি হচ্ছে। মহানগর বিএনপি‘র কিছু তৃণমূল নেতাকর্মী জানিয়েছে বিএনপি‘র এতো বছরের রাজনীতিতে মহানগর বিএনপিতে এতো কেন্দাল, বিশৃঙ্খলা ও নানা ব্যর্থতার দেখা মিলেনি যা বর্তমানে মিলছে। তারাই দুইজন মহানগরকে নরক্ষেত্রে পরিনত করেছে। বিশেষ করে সদস্য সচিব টিপু তিনি বলা চলে দলের জন্য একটি অভিশাপ। তিনি নানা ঘাট থেকে পানি খাওয়া একজন নেতা। যার কারণে তিনি কমিটির একটি ভালো পর্যায়ের দায়িত্বে পেয়ে দিশেহারা হয়ে উঠেছে। আর সকল নিয়মনীতি ভেঙ্গে ফেলছে। তাই কমিটিতে আবারো শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে অতি শীগ্রই সেন্ট্রালের ব্যবস্থা অতন্ত জরুরী। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এইচ মামুন বলেন, মহানগর বিএনপি‘র কমিটি যখন নতুন কেন্দ্র থেকে গঠন করা হয়। তখন থেকেই তারেক জিয়ার নাম বিক্রি করে। কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব তারা নানা জায়গায় বলে থাকে সবাই যদি কমিটি থেকে চলে যায় তারা দুইজন থেকে কমিটি টিকিয়ে রাখবে। এটা কোন গ্রহণযোগ্য কথাই না। এছাড়াও যখন আবার কমিটি গঠনের পর কমিটি থেকে ১৫জন নেতা কমিটি থেকে বেড় হয়ে যায়। তখন তারা তাদেরকে নানা সময় তাদের সাথে আবারো যুক্ত হওয়ার জন্য কয়েক দফায় আল্টিমেডাম দিয়েছে। তখনও তারা তারেক রহমানকে নিয়ে আরেক বিতর্কিত কথা বলেছে যে তিনি নাকি সাখাওয়াত ও টিপুকে বলছে যারা বেড় হয়ে গেছে তাদেরকে আর কমিটিতে রাখা হবে না। তারা তাদের উপরে যখনই কোন ঝড় এসেছে তারা তারেক রহমানের নাম বিক্রি করেছেন। এছাড়াও কমিটি হওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। তারা সংগঠনের কোন কার্যক্রমে আমাদের ডাক দেয় না। আর আমাদের সাথে কোন আলাপ বা সমন্বয়তা ও করে না। আর কমিটি হওয়ার পর থেকে কমিটিতে যতগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে সকলগুলো তারা দুইজনেই নিয়েছে। তাই বলা চলে তাদের হাতে মহানগর বিএনপি নিরাপদ নয়। সকলেই চায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে কিন্তু মূল বিরোধ আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের মধ্যে। তাদের যদি শোভনীয় আচরন থাকতো হলে মহানগর বিএনপিতে কোন কোন্দল থাকতো না। তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন সাহেবের বাসায় এক অনুষ্ঠানে এড. সাখাওয়াত হোসেন ও টিপুর যে আচরন ছিল তখন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সালাম ও টিটু ভাই তাদের উপর অনেকটাই বিরক্ত হয়েছে। সেদিন কেউ যদি বক্তব্যে দিতে যায় তখন কোন শ্লোগানতো দূরের কথা দাঁড়াবার ৫ সেকেন্ড পরই বলে আপনার বক্তব্যে শেষ নামেন। অঙ্গসংগঠনের মধ্যে যুবদলের সভাপতি মন্তুকে ও কোন বক্তব্যে দিতে দেয়নি। তিনি মাত্র বক্তব্যে দিবে তখনই তাকে বলে শেষ বক্তব্যে নেমে যাও। এমনটা তারা সকল পোগ্রাই করে। তারা কাউকে শান্তি দেয় না। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, আমরা ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা নেতা। সেন্ট্রাল যখন মহানগর বিএনপির কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন তখন আমাকে যোগ্যতা যাচাই করেই কমিটিতে রেখেছে। আমি মহানগর বিএনপির সকল আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছি। কিন্তু নানা কারণে বর্তমানে আমি মহানগর বিএনপির কোন কর্মসূচিতেই তাদের সাথে নেই। আর আমি নানা যাবতীয় বিষয়ে সেন্ট্রালকে অবগত করেছি। দেখি কেন্দ্র কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আমি সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯