আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৯:২১

পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবৈধ লেগুনা ও তিন চাকার গাড়ি

ডান্ডিবার্তা | ১৪ মার্চ, ২০২৩ | ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ লেগুনা, অবৈধ তিন চাকার রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এর ফলে মহাসড়কে প্রায় ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য প্রাণ। উচ্চ আদালত ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মহাসড়কে চলাচল বন্ধ হচ্ছে না এসব অবৈধ যান। মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে লেগুনা, থ্রি হুইলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সরকারি এই সিদ্ধান্তের ৮ বছর অতিবাহিত হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশা নির্বিঘেœ চলাচল করলেও অজ্ঞাত কারণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ বলে অভিযোগ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের। গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচপুর, শিমরাইল মোড় ও সাইনবোড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। সরেজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লেগুনাসহ সব ধরনের থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যান। হাইওয়ে পুলিশকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মহাসড়কে এসব যানবাহন দাপিয়ে চলাচল করছে। অদক্ষ ও লাইসেন্স বিহনীন চালকদের চালিত এসব যানবাহনগুলো বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। ফলে প্রায়ই ঘটছে মর্মান্তিক ঘটনা। গত বছরের ১২ অক্টোবর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়নের পাল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাফিজ (১৮)। সে রূপগঞ্জের বাইল্লা মিয়া বাড়ির নাইম মিয়ার ছেলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাহেরচর গ্রামের পিতা মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুলাল (৫০)। এ ঘটনায় আহত হন আরো চারজন। এছাড়া গত ৯ অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম ঢালে উল্টোপথে আসা এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আরো ৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। সোলাইমান মিয়া নামের স্টারলাইন পরিবহনের এক চালক জানান, এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে আমাদের অনেক ঝুকিঁ নিয়ে মহাসড়কে বাস চালাতে হয়। অধিকাংশ যানবাহনের চালকদের কোন লাইসেন্স না থাকায় তারা কোন নিয়ন নীতির তোয়াক্কা করে না। উল্টো পথে বেপরোয়া গতির কারনে এসব যানবাহনগুলোকে সাইড দিতে গিয়ে মাঝেমধ্যে আমাদেরই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রফিকুল আমীন নামের এক কার্ভাডভ্যান চালক জানান, আমি প্রায়ই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম যাই। এ রাস্তায় পূর্বের তুলনায় এখন প্রচুর পরিমাণে লেগুনা এবং তিন চাকার যানবাহনগুলো চলাচল করে। এসব যানবাহনগুলোকে সাইড দিতে বললেও সাইড দেয় না। আসলে এসব যানবাহনের বেশিরভাগ চালক সিগন্যালই ঠিকমতো বুঝে না। এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দোষ হয় আমাদের। হাইওয়ে পুলিশও এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কার্যক্রর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ বিষয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, মহসড়কে অবৈধ যানবহন পেলেই আমরা জরিমানা বাবদ মামলা, রেকারিং ও ডাম্পিং করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। জনবলের সংখ্যা কম হওয়ায় শতভাগ আইন প্রয়োগ করতে পারছি না। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কাশেম আজাদ জানান, প্রতিদিন আমরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে থ্রী হুইলার, অটো রিক্সা আটক করে জরিমানা বাবদ মামলা বা রেকারিং করা হচ্ছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা