আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৯:৫১

না’গঞ্জ বিএনপিতে বাড়ছে বিভক্তি

ডান্ডিবার্তা | ১৭ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিচর্বাচনকে সামনে রেখে কৌশলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করছেন সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিন্তু এর ঠিক উল্টো চিত্র নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিতে নতুন করে বিভেদ বিভক্তির সৃষ্টি করে দলকে দুর্বল করে চেষ্টা হচ্ছে। সরকারী দলকে সুবিধা দিতেই বিএনপিতে বিভক্তি তৈরী করা হচ্ছে বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আর এসব বিভেদ বিভক্তির মাষ্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলকে। এ দুজন মিলে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদের দেয়াল তুলে দিয়ে দলকে দুর্বল করে দিতে চাইছে বলে অভিমত তৃণমূলের। সূত্রে প্রকাশ, গত ১৫ নভেম্বর ঘোষনা করা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি। সাবেক এমপি মো: গিয়াসউদ্দিনকে আহবায়ক এবং জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ঘোষিত কমিটিতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে করা হয় ১ম যুগ্ম আহবায়ক। কমিটি ঘোষনার পর থেকেই বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: গিয়াসউদ্দিন সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। দলের এই চরম ক্রান্তিকালে নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্ব সংঘাত ভুলে সবাইকে এক প্লাটফরমে এসে কাজ করার আহবান জানান তিনি। কিন্তু গিয়াসউদ্দিনের সেই ডাকে সাড়া দেননি মামুন মাহমুদ। জেলা বিএনপির প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতেই তিনি থেকেছেন অনুপস্থিত। এছাড়া কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি বিএনপির কিছু বিপথগামী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আলাদা ব্যানের শোডাউন করেন। ফলে জেলা বিএনপিতে সৃষ্টি হয় বিভেদ বিভক্তি আর নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয় হতাশা। নতুন কমিটি পেয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ করার পরিবর্তে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তির বীজ রোপন করতে শুরু করেন কুচক্রি নেতা মামুন মাহমুদ। তৃণমূলের মতে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের বর্তমান সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের মাথাব্যাথার কারন হয়ে উঠেছেন মো: গিয়াসউদ্দিন। গিয়াসউদ্দিনকে জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই নানাভাবে তাকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিতে থাকেন সাংসদ শামীম ওসমান। তাছাড়া কমিটি পেয়ে গিয়াসউদ্দিন সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু করেন এবং ইউনিট কমিটিগুলোতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। ফলে শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে এ অঞ্চলের বিএনপির কমিটিগুলো। যে কারনে গিয়াসউদ্দিনকে দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেন শামীম ওসমান এবং যে কোনোভাবে গিয়াসউদ্দিনের দূর্গে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করতে থাকেন। আর এই কাজের প্রথম ধাপ হিসেবে মামুন মাহমুদের মাধ্যমে জেলা বিএনপির ব্যানার আলাদা করে ফেলা হয় এবং নেতাকর্মীদের মাঝে ভুল ম্যাসেজ সরবরাহ করা হয়। শামীম ওসমানের ওসমানের প্রেসক্রিপশনেই মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপিতে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে মনে করেন সাধারণ নেতাকর্মীরা। কারন ইতিপূর্বে মামুন মাহমুদকে “একজন ভদ্রলোক” আর গিয়াসউদ্দিনকে “খুনি” উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান। অপরদিকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ঘোষনা করা হয় ৪১ সদস্যের নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি। এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক এবং এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষনার পর থেকেই কমিটির বিরোধীতা করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সবচেয়ে বিতর্কিত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। কমিটি ঘোষনার কয়েকদিনের মধ্যেই বহিস্কৃত বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবনে গিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন মুকুলের নেতৃত্বে ১৪ জন বিএনপি নেতা। তাদের সেই পদত্যাগপত্র কেন্দ্রেও পাঠানো হয়। কেন্দ্র থেকে মহানগর বিএনপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয় রেজুলেশনের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহন করতে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি বর্ধিত সভার আয়োজন করে সর্বসম্মতিতে তাদের পদত্যাগপত্র পাশ করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা