সোনারগাঁয়ে হট্টগোলের ঘটনায় ২১জনের বিরুদ্ধে র‌্যাবের মামলা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁ এলাকায় গুলিতে নিহত আবুল কাশেমের বাড়িতে এখনো চলছে শোকের মাতম। ঘটনার পর নিহত কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলামসহ ২০ জনকে র‌্যাব আটক করে নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের লোকজন জানান। গত শনিবার রাতে নজরুল ইসলামসহ ৫জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে অন্য ১৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। গতকাল রবিবার সকালে র‌্যাব-১১ ওয়ারেন্ট অফিসার নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা রুজু করেন। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর আটক পাঁচজনকে র‌্যাব সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা করেনি। গত শুক্রবার মধ্যরাতে ‘সাদাপোশাকে’ হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে র‌্যাব সদস্যদের হট্টগোলের ঘটনায় রবিবার মামলা হয়। হট্টগোলের সময় গুলিতে নিহত বৃদ্ধ আবুল কাশেমের ছেলেসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই মামলা করে র‌্যাব। বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি কেন জানতে চাইলে গ্রেপ্তার নজরুল ইসলামের স্ত্রী আমিনা বেগম বলেন, ‘আমার শ্বশুরকে খুন করা হইল। ওনারে নিয়া হাসপাতালে যাওয়ার আগেই আমার স্বামী-সন্তানকে ধরে নিয়া গেল। এখন শুনতাছি র‌্যাব উল্টা আমার স্বামীরেই গ্রেপ্তার করছে। আমার স্বামীকে গ্রেফতার করায় সে তার বাবার দাফন ও জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকায় সন্দেহভাজন আসামি ধরতে অভিযানকালে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব বলছে, হামলাকারী ব্যক্তিরা আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব বাধা দেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে র‌্যাবের ওপর হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। হট্টগোলের মধ্যে আবুল কাশেম নামের স্থানীয় এক বৃদ্ধ গুলিতে নিহত হন। গ্রামবাসীদের আটকের বিষয়ে রাতে র‌্যাব-১১ অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ বলেন, খুনের আসামি ধরতে র‌্যাবের অভিযানের সময় দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিদের হামলায় র‌্যাবের চারজন আহত হন। পরে র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ জনকে ধরে নিয়ে আসে। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে রেখে বাকি ১৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।