আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৯:২৭

কমিটি গঠনে বিএনপি সতর্ক

ডান্ডিবার্তা | ২৫ মার্চ, ২০২৩ | ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মূল দুই নেতার সকল কার্যক্রম বর্তমানে সকলের সামনে এসে পড়েছে। তারা বিগত দিনে কি করেছে। নির্বাচনের নামে কিভাবে সকলের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সকল বিষয়ে একটি ইঙ্গিত দিয়ে গত ১৮ মার্চ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীদের অনুষ্ঠানে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এইচ মামুন বক্তব্য রাখেন। আর বির্কত নেতাকর্মীরা কিভাবে পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব নিয়ে বিএনপিকে সকল ভরাডুবিতে কাদের হাত বেশি এ বিষয়ে স্পষ্ট সব পরিষ্কার করে দেন। যার কারণে তৃণমূলের দাবি আগামী নির্বাচনে সংগঠনের পাশাপাশি কোন ভারই যেন নেতারা তাদের হাতে না দেয়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচিতে টিপু ও সাখাওয়াতের বিগত দিনের সকল কর্মকান্ড বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এইচ মামুন বলেন, নির্বাচন পরিচালনার সময় যখনই নির্বাচন আসে। তখন একটি গ্রুপ নির্বাচন পরিচালনার জন্য মাঠে নামে। আপনারা অবগত আছেন এড. সাখাওয়াত হোসেন খান মেয়র নির্বাচন করেছিল। আর সেই নির্বাচন কারা পরিচালনা করেছিলেন। এটা আপনারা সবাই জানেন। আপনারা আরো অবগত আছেন আকরাম সাহেবের নির্বাচনের দিন কারা কক্সবাজার গিয়েছিলেন। তারা নির্বাচনের দিন ভোট দেয়নি। তাদের থেকে সতর্ক থাকবেন। বিগত মেয়র নির্বাচনে এড. তৈমূর আলম খন্দকার যেখান থেকে দাঁড়িয়েছে। এই পরিচালনা কমিটিতে কারা গিয়েছি কে বহিষ্কার হয়েছে কারা বহিষ্কার হয়নি কেন হলো না। কারা নির্বাচনের পাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেছে। তাই আমি বলতে চাই আগামী নির্বাচনে এই সমস্ত লোক যদি নির্বাচনের ভার নিয়ে থাকে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই আমি আপনাদের কাছে দাবি জানাচ্ছি ওই সমস্ত লোক যাতে এই ধরনের ভার না পায়। তিনি আরো বলেন, আপনারা অবগত আছেন কিছুদিন আগে আমাদের আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে। এই নির্বাচনে কত টাকা লেন দেন হয়েছে। কাদের পকেটে গিয়েছে রাত্রে বেলা কতটাকা এসেছে। সেটাও আমরা জানি। আর এই আইনজীবী সমিতির ভরা ডুবি হয়েছে। কেন হয়েছে এটার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত। আমাদের যারা বিদ্রোহী আইনজীবী রয়েছে তাদেরকে আমরা অনুরোধ করছি। অতি তাড়াতাড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করুন। আর আমরা অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নারায়ণগঞ্জ বারে তাহলে কেন আমরা পরাজিত হলাম। কেন নবীন আইনজীবী ৫০০ ভোটের অধিক পেল আর সিনিয়র আইনজীবী ২৩০ বা ৩০০ ভোট পেয়েছে কেন পেল। এটার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। জানা গেছে, বর্তমানে মহানগর বিএনপির মূল দায়িত্বে বসে থাকা আবু আল ইউসুফ খান টিপু বিতর্কের রাজা। রাজনীতিতে এমন কোন বিতর্ক নেই যে তার দ্বারা হয়নি। বিভিন্ন দলে দলে গাপটি মারা এই নেতার নানান রূপ রয়েছে। সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০১৬ সালে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান যখন মেয়র নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচনের পুরোটা সময় সাখাওয়াত খানের সাথে ছায়ার মতো ছিলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নির্বাচনের পরেই কোন একটি বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে ফাটল ধরে। তার পরেই বেড়িয়ে আসে মূল ঘটনা। যে নির্বাচনের দোহাই দিয়ে এক ক্ষমতাসীনের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা নিয়েছেন এই অভিযোগ তোলেন টিপু। এছাড়া ও ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের মানোনীত প্রার্থী আকরামের নির্বাচনে পরিচালনা কমিটির প্রধান ছিলেন এটিএম কালাম ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু। কিন্তু নির্বাচনের আগে দিন রাতে তারা এসএম আকরামকে একলা ফেলে কক্সবাজার চলে গিয়েছিলেন। তাকে ভোট ও দেয়নি। পরবর্তীতে ২০২২ সালে মেয়র নির্বাচন করেছিলেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার আর এটারও পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন টিপু কিন্ত নানা নাটকীয়তায় নির্বাচনে বিশাল ভরাডুবি হয় তার। সর্বশেষ ২০২৩ সালে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ও মূল পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন এড. সাখাওয়াত ও এড. টিপু। জানা গেছে নির্বাচনের আগের রাতে দলীয় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নির্বাচনের আগেরদিন রাতে টাকা আসছিল। তার ভার নিয়েছিলেন টিপু ও সাখাওয়াত কিন্তু যত টাকা আসছিল সেই টাকা কোন কাজে আসেনি। এমনকি টাকা আসার পরে ও এত বড় করে কিভাবে নির্বাচনের ভরাডুব হলো। এ বিষয়ে ও তদন্ত কমিটি গঠনের জোরদার দাবি জানিয়েছেন, বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দ। এদিকে তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে অনেক নেতাকর্মীরা তাদের বিতর্কিত মুখ চিনতে সুবিধা হলো। তৃণমূলের দাবি বিগত দিনের মতো যদি নেতাকর্মীরা এবারও এই ধরনের লোক দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা করায় তাহলে আবারো ভরাডুবি নিশ্চিত।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা