রাজনৈতিক বক্তব্যে বাড়ছে উত্তাপ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাকবিতন্ডায় উত্তাপ, উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে। আওয়ামীলীগ,বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে তীর্যক বক্তব্য, মন্তব্য করায় নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছে এমন দাবি বিশ্লেষক মহলের। নির্বাচনের বছরে এমন উত্তাপ স্বাভাবিক হলেও পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজনীতির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। কয়েকদিন ধরে আওয়ামীলীগের একাধিক শীর্ষ নেতা সাংসদ শামীম ওসমান, মেয়ার আইভী,মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন একে অপরকে উদ্দেশ্য করে আকারইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। দলের ভেতরের প্রতিপক্ষের পাশাপাশি দলের বাইরের নেতারাও এই বিতর্কে জড়িয়েছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন এবং সাংসদ শামীম ওসমানের মধ্যে দূর থেকে বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছে। এই বিতর্কে অংশ নিয়েছেন সাংসদপুত্র অয়ন ওসমান এবং মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাও প্রায় সময় জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আর এসব বক্তব্য, মন্তব্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন সরব রয়েছে। তবে সাংসদ শামীম ওসমান ও বিএনপি নেতা গিয়াসের পাল্টা পাল্টি বক্তব্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বেশী ছড়িয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, কবে খেলবেন; কখন খেলবেন; কয়টা বাজে খেলবেন বলেন? আপনাদের সঙ্গে আমি খেলব। সরকারি তোলারাম কলেজে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান এসময় অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন নিজ দলের ও আওয়ামী লীগের অনেক মানুষকে খুন করিয়েছেন। দশ বছর পর মাঠে নেমে তিনি নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি (গিয়াসউদ্দিন) সভা সমাবেশ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে উচ্ছৃঙ্খল স্লোগান দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নামে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি (গিয়াসউদ্দিন) বলছেন আমার নাকি বারোটা বাজাবেন। দেখি কয়টা বাজাতে পারেন। ঈদুল ফিতরের পর বিএনপি এই ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন শামীম ওসমান। গিয়াস উদ্দিনও সাংসদ শামীম ওসমানের বক্তব্যের পাল্ট জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘শামীম ওসমান ২০০১ সালে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন, তার কারণে এসব মন্তব্য করছেন। শুধু তাই নয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। উনি যার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তার বিরুদ্ধে এইসব মিথ্যা বানোয়াট কথা ছড়ান। যদি কাউকে হত্যা করে থাকি তাহলে উনি এত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি আমাকে কাঠগড়ায় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতেন।’ শামীম ওসমানের খেলা হবে এমন মন্তব্যে গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, ‘২০০১ সালে আমার সাথে নির্বাচনের খেলায় হেরেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের খেলায় হেরেছেন। এখন কোন খেলা খেলতে চান। খেলাধুলা ছেড়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনী বছরে এসব বক্তব্য রাজনীতিকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যাবে।