আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:০৩

বহিষ্কারে কোনঠাসা বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ৩০ মার্চ, ২০২৩ | ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সাংগঠনিক কার্যক্রম পূনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র এখন পর্যন্ত অসংখ্য নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম। যে কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব নেতাকে বহিষ্কারের ফল উল্টো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। পুরো প্রক্রিয়াটি দলের শীর্ষপর্যায় থেকে গৃহীত হওয়ার কারণে কোনও নেতাই ভেতরে-বাইরে এ বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান স্পষ্ট করা থেকে বিরত রয়েছেন। বিগত সময়ে কমিটি গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলাপকালে এই চিত্র পাওয়া গেছে। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কোথাও রাখা হয়নি বিএনপির সাবেক সভাপতি এড.তৈমুর আলম খন্দকারকে। দলেল বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষ সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে মিষ্টি-বিনিময়ের জের ধরে বহিষ্কৃত হন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির পরিচিত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। বহিষ্কারের পাশাপাশি তৈমুরের মত আরো কয়েকজন নেতাকে কোণঠাসা করে রেখেছে বিএনপি। এছাড়াও দলীয় কোন্দলের কারনে, জেলা ও মহানগর বিএনপির অনেক নেতাই আবার স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অব্যাহতি ও কোণঠাসা করে রাখার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা বলছেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ দেখিয়ে তাদের অব্যাহতি বা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বিএনপিই। বিশেষত, যাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে বা বসিয়ে রাখা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সামাজিক ও রাজণৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নেতা। এ কারণে সাংগঠনিকভাবে প্রভাব না পড়লেও রাজনৈতিকভাবে আদতে দলের ক্ষতিই হবে। এর পুরো দায় তখন শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেই যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি যে খেলায় মেতেছে তা সরকার না শেষমেষ এসব বিষয়কে খেলার অংশ করে। কারণ, যাদের অব্যাহতি বা বহিষ্কার বা বসিয়ে রাখা হচ্ছে, তারা তো সামাজিকভাবে গৃহীত। সেক্ষেত্রে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ‘বিএনপি হিসেবে’ পরিচিত করানোর আশঙ্কা কিন্তু থেকে যায়। দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের প্রভাবশালী একটি সূত্রের তথ্য, সামনের রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক যেকোনও ইস্যুতেই বিষয়গুলো উঠে আসবে। ফ্যাক্টর হবে কী হবে না তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু ইস্যুগুলো উপযুক্ত পক্ষকে দুর্বল করার জন্য কাজে লাগানো হতে পারে। সূত্রের দাবি, ভুলতথ্য আর শত্রুতা’কে কাজে লাগিয়ে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা বলছেন, জেলা বিএনপির নব্য আহ্বায়ক কমিটিতে বিএনপি নেতা এড.তৈমুর আলম খন্দকার বা তার অনুসারী কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। সাইডলাইনে রেখে নতুন কমিটি করা হয়েছে। এ প্রতিক্রয়ায় শীর্ষনেতৃত্বকে কনভিন্স করেছেন কেন্ত্রীয় দফতরের প্রভাবশালী একজন নেতা। তার পেছনে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্যের ইন্ধন রয়েছে, বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, যখন দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে যায়, যেমন কিছুদিন আগে সিটি কর্পোরেশন এবং উপজেলা নির্বাচনে অনেকে সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছিল। তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আবার অনেককে অব্যাহতি থেকে দলে ফেরানো হয়েছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতারা জানান, বহিষ্কার ও অব্যাহতির বিষয়ে দলকে আরও অনেক বেশি হিসাবী ও সাবধানী হলে ভালো হত। জেলার রাজনীতিতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দলের জন্য ক্ষতি ছাড়া মঙ্গল জনক নয়। দলের আরেক নেতার দাবি, বিএনপিতে একটি অংশের নেতা আছেন, যারা হয়তো দলকে ক্ষমতায়ও দেখতে চায় না। তারা ভাবে এখন যেভাবে আছে, তাতেই বা মন্দ কী! সেক্ষেত্রে বহিষ্কার বা অব্যাহতির বিষয়ে দলকে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা